আ-মরি বাংলা ভাষা

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির আজ পঞ্চম দিন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি আদায়ে বুকের রক্তে রাজপথ সিক্ত করে দিয়েছেন ভাষাসৈনিকরা। ভ্রুক্ষেপ নেই তবু কারও- বিরাম নেই এ চলার। যেতে হবে আরও- আরও... ওই যে দেখা যাচ্ছে বিজয় তোরণ!’ বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়ে বাঙালি চলেছে অবিরাম। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল ১৫ বছরের মধ্যে বাংলা মাধ্যমে উচ্চতর স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। কিন্তু আন্দোলনের পর তার ৪ গুণ সময় চলে গেলেও উচ্চশিক্ষায় বাংলা মাধ্যম প্রচলন সম্ভব হয়নি।

১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক নূরুল হক, আবদুল মান্নান, গোলাম মাহবুব ও আতাউর রহমান। ১৯৪৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা প্রচার তহবিলের প্রচারিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক নূরুল হক, অধ্যাপক এমএ কাশেম, অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম, আজিজ আহমদ, আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী, এম আবুল খায়ের, নাইমুদ্দিন আহমেদ, অলি আহাদ প্রমুখ।

’৫২-এর ৩ মার্চ এক বেতার বক্তৃতায় নূরুল আমিন ঘোষণা করেন, ‘উহাতে (ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানো) যদি কাহাকেও দোষী বলিয়া দেখা যায় তাহা হইলে সরকার তাহার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ ২২ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের গায়েবি জানাজায় ৩০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ভাষা শহীদদের জন্য মোনাজাতে বলা হয়, ‘সাড়ে চার কোটি মানুষের মাতৃভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যারা শহীদ হলেন আল্লাহ তাদের রুহের ওপর শান্তিবর্ষণ করুন’।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আ-মরি বাংলা ভাষা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির আজ পঞ্চম দিন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি আদায়ে বুকের রক্তে রাজপথ সিক্ত করে দিয়েছেন ভাষাসৈনিকরা। ভ্রুক্ষেপ নেই তবু কারও- বিরাম নেই এ চলার। যেতে হবে আরও- আরও... ওই যে দেখা যাচ্ছে বিজয় তোরণ!’ বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়ে বাঙালি চলেছে অবিরাম। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল ১৫ বছরের মধ্যে বাংলা মাধ্যমে উচ্চতর স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। কিন্তু আন্দোলনের পর তার ৪ গুণ সময় চলে গেলেও উচ্চশিক্ষায় বাংলা মাধ্যম প্রচলন সম্ভব হয়নি।

১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক নূরুল হক, আবদুল মান্নান, গোলাম মাহবুব ও আতাউর রহমান। ১৯৪৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা প্রচার তহবিলের প্রচারিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক নূরুল হক, অধ্যাপক এমএ কাশেম, অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম, আজিজ আহমদ, আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী, এম আবুল খায়ের, নাইমুদ্দিন আহমেদ, অলি আহাদ প্রমুখ।

’৫২-এর ৩ মার্চ এক বেতার বক্তৃতায় নূরুল আমিন ঘোষণা করেন, ‘উহাতে (ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানো) যদি কাহাকেও দোষী বলিয়া দেখা যায় তাহা হইলে সরকার তাহার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ ২২ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের গায়েবি জানাজায় ৩০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ভাষা শহীদদের জন্য মোনাজাতে বলা হয়, ‘সাড়ে চার কোটি মানুষের মাতৃভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যারা শহীদ হলেন আল্লাহ তাদের রুহের ওপর শান্তিবর্ষণ করুন’।