জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস আজ

আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষের সব কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘পড়ব বই, গড়ব দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সভায় ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আলোকিত মানুষ সৃষ্টিতে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরসহ সৃজনশীল চর্চার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি সরকারি গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার সংযোজন করা হয়েছে। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের অনলাইন ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন গ্রন্থাগার সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে পাঠক বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে এ গণগ্রন্থাগারের বই সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবারের মতো এবারো শাহবাগস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদফতর চত্বর থেকে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির শুরু হবে। সকাল সাড়ে আটটায় এর উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। র‌্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তন (টিএসসি) হয়ে অধিদফতরেরর চত্বরে এসে শেষ হবে। এরপর সকাল ১০টায় শওকত ওসমান মিলনায়তনে দিবসটির গুরুত্ব বিবেচনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। এর উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মান্নান ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল আলোচক থাকবেন লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এবং গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের আওতাধীন বিভাগীয় ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোর আয়োজনে সব জেলায় র‌্যালি, আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কন, রচনা, বইপাঠ অনুষ্ঠিত হবে। তাদের সঙ্গে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, কবি নজরুল ইনিস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ/ইনস্টিটিউটসহ বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি (এলএবি), বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতি, বাংলাদেশ গ্রন্থাগারিক ও তথ্যায়নবিদ সমিতি (বিএএলআইডি), বেসরকারি গ্রন্থাগার সমিতি, ব্রাক, ব্রিটিশ কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একযোগে দিবসটি পালন করবে।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস আজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষের সব কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘পড়ব বই, গড়ব দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সভায় ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আলোকিত মানুষ সৃষ্টিতে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরসহ সৃজনশীল চর্চার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি সরকারি গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার সংযোজন করা হয়েছে। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের অনলাইন ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন গ্রন্থাগার সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে পাঠক বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে এ গণগ্রন্থাগারের বই সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবারের মতো এবারো শাহবাগস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদফতর চত্বর থেকে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির শুরু হবে। সকাল সাড়ে আটটায় এর উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। র‌্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তন (টিএসসি) হয়ে অধিদফতরেরর চত্বরে এসে শেষ হবে। এরপর সকাল ১০টায় শওকত ওসমান মিলনায়তনে দিবসটির গুরুত্ব বিবেচনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। এর উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল মান্নান ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল আলোচক থাকবেন লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এবং গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের আওতাধীন বিভাগীয় ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোর আয়োজনে সব জেলায় র‌্যালি, আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কন, রচনা, বইপাঠ অনুষ্ঠিত হবে। তাদের সঙ্গে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, কবি নজরুল ইনিস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ/ইনস্টিটিউটসহ বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি (এলএবি), বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতি, বাংলাদেশ গ্রন্থাগারিক ও তথ্যায়নবিদ সমিতি (বিএএলআইডি), বেসরকারি গ্রন্থাগার সমিতি, ব্রাক, ব্রিটিশ কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একযোগে দিবসটি পালন করবে।