সরকারি অফিসে ছাত্রলীগের হামলা-ভাঙচুর

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় যুবক। ভাঙচুরের পর তালাবদ্ধ করে রাখা হয় অফিস সহকারী শামসুজ্জামান খানকে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে শামসুজ্জামানকে উদ্ধার করেন। গতকাল বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা সেখানে ছিলেন না।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, জনশুমারির জন্য উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন এবং পৌর শহরের গণনাকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩০০ জনের তালিকা টানিয়ে দেয়া হয় পরিসংখান কর্মকর্তার কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে। নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা টানিয়ে দেবার পর ওই কার্যালয়ের সামনে যান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। এ সময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আক্কাস হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনসহ ১০/১৫ জন সাইফুলের সঙ্গে ছিলেন। এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া ও তার সহযোগীরা নোটিশ বোর্ডে টানানো নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা ছিড়ে ফেলেন এবং অফিস কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে অফিস সহকারী শামসুজ্জামানকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।

উল্লেখ্য ৪ দিনের জনশুমারির জন্য গণনাকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতাকে অবহিত করেননি ইউএনও। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই দুই নেতার সমর্থক ছাত্রলীগ নামধারীরা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। একাধিক হামলাকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউএনও আওয়ামী লীগ নেতাদের না জানিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন। যা মেনে নেয়া যায় না।

ইউএনও মাধবী রায় বলেন, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার দোহাই দিয়ে কতিপয় যুবক ভাঙচুর শেষে এক কর্মচারীকে আটকে রেখেছিল। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া বলেন, তিনি ঘটনার সময় উপজেলা পরিষদে ছিলেন। তবে হামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বাকেরগঞ্জে

সরকারি অফিসে ছাত্রলীগের হামলা-ভাঙচুর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় যুবক। ভাঙচুরের পর তালাবদ্ধ করে রাখা হয় অফিস সহকারী শামসুজ্জামান খানকে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে শামসুজ্জামানকে উদ্ধার করেন। গতকাল বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা সেখানে ছিলেন না।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, জনশুমারির জন্য উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন এবং পৌর শহরের গণনাকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩০০ জনের তালিকা টানিয়ে দেয়া হয় পরিসংখান কর্মকর্তার কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে। নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা টানিয়ে দেবার পর ওই কার্যালয়ের সামনে যান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। এ সময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আক্কাস হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনসহ ১০/১৫ জন সাইফুলের সঙ্গে ছিলেন। এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া ও তার সহযোগীরা নোটিশ বোর্ডে টানানো নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকা ছিড়ে ফেলেন এবং অফিস কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে অফিস সহকারী শামসুজ্জামানকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।

উল্লেখ্য ৪ দিনের জনশুমারির জন্য গণনাকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতাকে অবহিত করেননি ইউএনও। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই দুই নেতার সমর্থক ছাত্রলীগ নামধারীরা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। একাধিক হামলাকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউএনও আওয়ামী লীগ নেতাদের না জানিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন। যা মেনে নেয়া যায় না।

ইউএনও মাধবী রায় বলেন, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার দোহাই দিয়ে কতিপয় যুবক ভাঙচুর শেষে এক কর্মচারীকে আটকে রেখেছিল। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া বলেন, তিনি ঘটনার সময় উপজেলা পরিষদে ছিলেন। তবে হামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।