গত সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অন্তত ৩০ জন ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু এই যাত্রায়ও নেই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ৩৩ ইয়াবা গডফাদারের কেউ। এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল তালিকাভুক্ত শীর্ষ ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।
সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত শীর্ষ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এজন্য এখনও মাদকের চালান অব্যাহত রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে গত ২১ মাসে বন্দুকযুদ্ধে চার শতাধিক নিহত হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবার চালান। এখনো বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইয়াবার ব্যবসা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে আমরা মনে করি, মূল হোতা অর্থাৎ গডফাদারদের ধরতে না পারা। অভিযানে মাদকের ছোট কারবারিরা অর্থাৎ চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে মাদকের গডফাদাররা। ফলে মাদক ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার পরও তালিকাভুক্ত শীর্ষ ব্যবসায়ীদের না ধরার কারণে এ ব্যবসা চলছেই। এর আগেও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসর্পণের সময় শীর্ষ তালিকাভুক্তদের আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায়নি। এবারও দেখা যাচ্ছে না। ইয়াবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে বহুদিন ধরেই কিন্তু সেখানে সফলতা বলতে কিছুই নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন যে, যত বড় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবতা সেটা বলে না। যারা আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল তারা ফিরে এসেছে অনেক আগেই। মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ থাকায় তাদের ধরা যাচ্ছে না। শুধু ইয়াবার ক্ষেত্রেই নয়, সন্ত্রাসী ধরার ক্ষেত্রে এবং ক্যাসিনোকাণ্ডেও শুধু চুনোপুঁটিদেরই ধরা হয়েছে। মূলহোতাদের ধরা হয়নি বা ধরার কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের আসলে উদ্দেশ্য কী? ইয়াবার শীর্ষ তালিকাভুক্তদের ধরে বিচার করা, নাকি অভিযানের নামে তাদের রক্ষা করা। মাদক নির্মূল করতে হলে অবশ্যই গডফাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১
গত সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অন্তত ৩০ জন ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু এই যাত্রায়ও নেই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ৩৩ ইয়াবা গডফাদারের কেউ। এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল তালিকাভুক্ত শীর্ষ ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।
সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত শীর্ষ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এজন্য এখনও মাদকের চালান অব্যাহত রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে গত ২১ মাসে বন্দুকযুদ্ধে চার শতাধিক নিহত হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পরও ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবার চালান। এখনো বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইয়াবার ব্যবসা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে আমরা মনে করি, মূল হোতা অর্থাৎ গডফাদারদের ধরতে না পারা। অভিযানে মাদকের ছোট কারবারিরা অর্থাৎ চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে মাদকের গডফাদাররা। ফলে মাদক ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার পরও তালিকাভুক্ত শীর্ষ ব্যবসায়ীদের না ধরার কারণে এ ব্যবসা চলছেই। এর আগেও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসর্পণের সময় শীর্ষ তালিকাভুক্তদের আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায়নি। এবারও দেখা যাচ্ছে না। ইয়াবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে বহুদিন ধরেই কিন্তু সেখানে সফলতা বলতে কিছুই নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন যে, যত বড় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবতা সেটা বলে না। যারা আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল তারা ফিরে এসেছে অনেক আগেই। মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ থাকায় তাদের ধরা যাচ্ছে না। শুধু ইয়াবার ক্ষেত্রেই নয়, সন্ত্রাসী ধরার ক্ষেত্রে এবং ক্যাসিনোকাণ্ডেও শুধু চুনোপুঁটিদেরই ধরা হয়েছে। মূলহোতাদের ধরা হয়নি বা ধরার কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের আসলে উদ্দেশ্য কী? ইয়াবার শীর্ষ তালিকাভুক্তদের ধরে বিচার করা, নাকি অভিযানের নামে তাদের রক্ষা করা। মাদক নির্মূল করতে হলে অবশ্যই গডফাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।