বগুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক-স্বল্পতার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেলার ১ হাজার ৬০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৭০৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব স্কুলে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২১১টি।
বগুড়ায় শিক্ষক সংকটের খবরটি হতাশাজনক। তবে এ সংকট শুধু বগুড়ায় নয়, দেশের সর্বত্রই কমবেশি বিরাজমান। শিক্ষক সংকটের খবরগুলো অহরহ গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে। কেবল প্রাথমিক পর্যায়েই নয়, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়েও শিক্ষকদের বহু পদ শূন্য রয়েছে। অথচ এ ব্যাপারে কারও কোন মাথাব্যথা নেই, যেন বিষয়টি খুবই সামান্য বিষয়। প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ এবং পদোন্নতি দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকায় দিন দিন শূন্য পদ বাড়ছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই বিভাগে একাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। তাহলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া কীভাবে হবে? মানসম্মত শিক্ষাদান নিশ্চিত করার জন্যই একসময় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণ করা হয়েছিল। এখন যদি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান আরও নিম্নমুখী হয়, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছুই থাকবে না।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা সর্বাগ্রে। একই সঙ্গে প্রয়োজন চাহিদা মোতাবেক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। পাশাপাশি লেখাপড়ার পরিবেশ আরও আনন্দময় করা। যখন একজন শিক্ষার্থী কয়েক বছর স্কুলে যাওয়ার পরও কিছুই শিখতে না পারে, যখন লেখাপড়ার কোনো বিষয়েই তার মনে কোনো কৌতূহল জাগ্রত করে না, তখন তার কাছে বিদ্যালয় ভালো লাগার কথা নয়। লেখাপড়া তখন তার কাছে বোঝা মনে হয়। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীটি বিদ্যালয় থেকে পালানোর পথ খোঁজে। লেখাপড়ার আনন্দ খুঁজে না পাওয়া শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দিয়ে, বৃত্তি দিয়ে কিংবা নানারকম চেষ্টা করেও বিদ্যালয় রাখা যাবে না। এখানেই এসে যায় প্রয়োজনীয়, দক্ষ-যোগ্য শিক্ষকের কথা।
জরুরিভিত্তিতে শূন্যপদে নিয়োগের সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করাই হবে সরকারের প্রধান কাজ। বগুড়াসহ যেসব অঞ্চলে শিক্ষক সংকট রয়েছে, তা আশু নিরসন করে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতেই হবে।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১
বগুড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক-স্বল্পতার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেলার ১ হাজার ৬০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৭০৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব স্কুলে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২১১টি।
বগুড়ায় শিক্ষক সংকটের খবরটি হতাশাজনক। তবে এ সংকট শুধু বগুড়ায় নয়, দেশের সর্বত্রই কমবেশি বিরাজমান। শিক্ষক সংকটের খবরগুলো অহরহ গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে। কেবল প্রাথমিক পর্যায়েই নয়, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়েও শিক্ষকদের বহু পদ শূন্য রয়েছে। অথচ এ ব্যাপারে কারও কোন মাথাব্যথা নেই, যেন বিষয়টি খুবই সামান্য বিষয়। প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ এবং পদোন্নতি দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকায় দিন দিন শূন্য পদ বাড়ছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই বিভাগে একাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। তাহলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া কীভাবে হবে? মানসম্মত শিক্ষাদান নিশ্চিত করার জন্যই একসময় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণ করা হয়েছিল। এখন যদি সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান আরও নিম্নমুখী হয়, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছুই থাকবে না।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা সর্বাগ্রে। একই সঙ্গে প্রয়োজন চাহিদা মোতাবেক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। পাশাপাশি লেখাপড়ার পরিবেশ আরও আনন্দময় করা। যখন একজন শিক্ষার্থী কয়েক বছর স্কুলে যাওয়ার পরও কিছুই শিখতে না পারে, যখন লেখাপড়ার কোনো বিষয়েই তার মনে কোনো কৌতূহল জাগ্রত করে না, তখন তার কাছে বিদ্যালয় ভালো লাগার কথা নয়। লেখাপড়া তখন তার কাছে বোঝা মনে হয়। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীটি বিদ্যালয় থেকে পালানোর পথ খোঁজে। লেখাপড়ার আনন্দ খুঁজে না পাওয়া শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দিয়ে, বৃত্তি দিয়ে কিংবা নানারকম চেষ্টা করেও বিদ্যালয় রাখা যাবে না। এখানেই এসে যায় প্রয়োজনীয়, দক্ষ-যোগ্য শিক্ষকের কথা।
জরুরিভিত্তিতে শূন্যপদে নিয়োগের সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করাই হবে সরকারের প্রধান কাজ। বগুড়াসহ যেসব অঞ্চলে শিক্ষক সংকট রয়েছে, তা আশু নিরসন করে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতেই হবে।