টানা দ্বিতীয় দিন কমলো সূচক ও লেনদেন

হঠাৎ বেড়েছে ব্লকের লেনদেন

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল টানা দ্বিতীয় দিনে গড়াল পুঁজিবাজারের পতন। গতকাল দেশের উভয় পুঁজিবাজারে কমেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। ফলে সবধরণের সূচক কমেছে দুই বাজারেই। একই সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক সাড়ে ১৩ পয়েন্ট আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি টাকার বেশি। আর সিএসইতে কমেছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। অনেকের মতে ডিএসই’র সঙ্গে বিএসইসির চলমান টানা পোড়েনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। সম্প্রতি বিএসইসি থেকে ডিএসইর পর্ষদ সদস্যদেরকে বাজার পতনের জন্য দায়ী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও ৩৫ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। দিন শেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৩.৫০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৬৫.৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৭.০৭ পয়েন্ট কমে ১৫১৯.২৩ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ২.০২ পয়েন্ট কমে ১০২৯.৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল মোট ৩৫৬টি কোম্পানির ১৫ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ১১৯টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ছিল ৪২০ কোটি ৬০ লক্ষ ৬ হাজার ৩৫৯ টাকা।

এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৪৭৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১০৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৫২৬ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৩১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৫টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার ব্লক মার্কেটে মোট ৯ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট এক কোটি ৬৮ লাখ ৬২ হাজার ১৫৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২২ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের। ওয়ান ব্যাংক ৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের ৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ব্রাক ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, এসএস স্টিল ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস লিমিটেড।

হল্টেড : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার লেনদেনের প্রায় ৩ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে ২ কোম্পানির শেয়ারে। এতে কোম্পানি দুইটির শেয়ার হল্টেড হয়ে মূল্য স্পর্শ করছে সার্কিট ব্রেকারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি দুইটি হচ্ছে- অ্যাপেক্স স্পিনিং ও শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

টানা দ্বিতীয় দিন কমলো সূচক ও লেনদেন

হঠাৎ বেড়েছে ব্লকের লেনদেন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল টানা দ্বিতীয় দিনে গড়াল পুঁজিবাজারের পতন। গতকাল দেশের উভয় পুঁজিবাজারে কমেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। ফলে সবধরণের সূচক কমেছে দুই বাজারেই। একই সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক সাড়ে ১৩ পয়েন্ট আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি টাকার বেশি। আর সিএসইতে কমেছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। অনেকের মতে ডিএসই’র সঙ্গে বিএসইসির চলমান টানা পোড়েনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। সম্প্রতি বিএসইসি থেকে ডিএসইর পর্ষদ সদস্যদেরকে বাজার পতনের জন্য দায়ী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও ৩৫ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। দিন শেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৩.৫০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৬৫.৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৭.০৭ পয়েন্ট কমে ১৫১৯.২৩ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ২.০২ পয়েন্ট কমে ১০২৯.৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল মোট ৩৫৬টি কোম্পানির ১৫ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ১১৯টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ছিল ৪২০ কোটি ৬০ লক্ষ ৬ হাজার ৩৫৯ টাকা।

এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৪৭৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১০৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৫২৬ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৩১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৫টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার ব্লক মার্কেটে মোট ৯ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট এক কোটি ৬৮ লাখ ৬২ হাজার ১৫৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২২ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের। ওয়ান ব্যাংক ৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের ৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ব্রাক ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, এসএস স্টিল ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস লিমিটেড।

হল্টেড : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার লেনদেনের প্রায় ৩ ঘণ্টার মধ্যে বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে ২ কোম্পানির শেয়ারে। এতে কোম্পানি দুইটির শেয়ার হল্টেড হয়ে মূল্য স্পর্শ করছে সার্কিট ব্রেকারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি দুইটি হচ্ছে- অ্যাপেক্স স্পিনিং ও শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড।