কিশোরগঞ্জে নারী হত্যা এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে এক নারী হত্যার দায়ে এক প্রতিবেশির মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার এক নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম তার রায়ে তাড়াইলের রতনপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে মারুফা আক্তারকে (২৫) হত্যার দায়ে প্রতিবেশী মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়ার (৩২) বিরুদ্ধে তার উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন। বাচ্চু মিয়ার বোন হিমা আক্তার ও ভাই রতন মিয়াকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ মে বিকেলে জ্বালানি কাঠ শোকাতে গিয়ে একটি মাটির চুলার ক্ষতি করাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে মারুফা ও তার পরিবারের লোকদের কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিন আব্দুর রশিদ কাটা ধান পাহাড়া দিতে হাওরে রাত্রীযাপন করেন। পরদিন সকালে খবর পান, বাড়ির পেছনের পতিত জমিতে তার মেয়ে মারুফার দুই হাত পেছনে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। এ ব্যাপারে আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় মামলা করলে পুলিশ বাচ্চু মিয়া, হিমা আক্তার ও রতন মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। গত মঙ্গলবার আদালত কেবল বাচ্চু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিলেও অপর দু’জনকে খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী, আর আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কিশোরগঞ্জে নারী হত্যা এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে এক নারী হত্যার দায়ে এক প্রতিবেশির মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার এক নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম তার রায়ে তাড়াইলের রতনপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে মারুফা আক্তারকে (২৫) হত্যার দায়ে প্রতিবেশী মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়ার (৩২) বিরুদ্ধে তার উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন। বাচ্চু মিয়ার বোন হিমা আক্তার ও ভাই রতন মিয়াকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ মে বিকেলে জ্বালানি কাঠ শোকাতে গিয়ে একটি মাটির চুলার ক্ষতি করাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে মারুফা ও তার পরিবারের লোকদের কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিন আব্দুর রশিদ কাটা ধান পাহাড়া দিতে হাওরে রাত্রীযাপন করেন। পরদিন সকালে খবর পান, বাড়ির পেছনের পতিত জমিতে তার মেয়ে মারুফার দুই হাত পেছনে গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। এ ব্যাপারে আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় মামলা করলে পুলিশ বাচ্চু মিয়া, হিমা আক্তার ও রতন মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। গত মঙ্গলবার আদালত কেবল বাচ্চু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিলেও অপর দু’জনকে খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী, আর আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস।