গাজীপুরে শাসন করতে গিয়ে মায়ের হাতে মেয়ের শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। গত সোমবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মা রত্না বেগম ও মেয়ের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।

নিহতের নাম মিলা খাতুন (২০)। তিনি শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার চরপাড়া বড়বাড়ি গ্রামের নয়ন মিয়ার স্ত্রী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত মিলার মা রত্না বেগম (৩৫) এবং স্বামী নয়ন মিয়া (৩০)। রত্না বেগম পাবনার চাটমোহর থানার বিন্নাবাড়ী এলাকার নেফাজ মিয়ার স্ত্রী। নয়ন শেরপুরের চরপাড়া বড়বাড়ি এলাকার মো. হাবিবুল্লাহর ছেলে। মিলা নয়নের দ্বিতীয় স্ত্রী। গাজীপুর মেট্টো পুলিশের বাসন থানার এসআই উৎপল কুমার সাহা ও স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে নয়ন মিলাকে বিয়ে করেন। নয়ন স্ত্রীকে নিয়ে মোগড়খাল এলাকার কবির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে দর্জির (কাপড় সেলাই) কাজ করতেন। রত্না বেগম পার্শ্ববর্তী চান্দনা এলাকার সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে গার্মেন্টে চাকরি করেন। মিলা সম্প্রতি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এ বিষয়ে নয়ন তার শাশুড়ি রত্না বেগমের কাছে অভিযোগ করে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রত্না মিলাদের ভাড়া বাসায় যায়। মেয়েকে শাসন করার এক পর্যায়ে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এতে মিলা নিস্তেজ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাসন থানার ওসি কাওসার চৌধুরী জানান, নিহতের কানে রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে মা রত্না বেগম ও মিলার স্বামী নয়নকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা করেছেন।