নানা অজুহাতে বিনা রশিদে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের ডায়েরি, টাই-সোল্ডার, ব্যাজ ও আইডি কার্ড দেয়ার নামে বিনা রশিদে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম, ফরম ফিলাপ, কোচিংয়ের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ তুলেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষক ও কর্মকর্তা যোগসাজশ করে বিনা রশিদে অনৈতিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অভিভাবকদের স্কুল অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি বলেও জানান।

এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। গত সোমবার জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জোবায়ের ফাহিমের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ ও অভিভাবক সদস্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

অভিভাবকরা জানান, এক সময়ের অত্র এলাকার নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ বর্তমানে কতিপয় দুর্নীতিবাজ শিক্ষক-কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে মানসম্মত শিক্ষা ও আশানুরুপ ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অথচ শিক্ষা খরচ আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি গুণতে হচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রের রেজিস্ট্রেশনসহ সবকিছু ঠিকঠাক আছে তারপরও কোচিংয়ের নামে শিক্ষকরা সিন্ডিকেট করে ১০-২০ হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ২০১২ সাল থেকে মনসুর আলম মিলন নামে এক সরকারি কর্মকর্তা কোনরুপ নির্বাচন ছাড়াই নিয়মবহির্ভূতভাবে অভিভাবক সদস্যপদ গ্রহণ করে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে কর্তৃত্ব খাটিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কতিপয় শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে অভিভাবকদের স্বার্থ না দেখে প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের পক্ষে কথা বলছেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে তাকেই বারবার অভিভাবক সদস্য মনোনীত করা হচ্ছে। এতে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মনসুর আলম মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কতিপয় কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন অর্থ আদায় করা হয় না। নিয়মানুযায়ী ভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করা হয়। কোন অভিভাবকের ছেলে মেয়ে প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করলে তিনি অভিভাবক সদস্য হতে পারেন।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একা. কলেজ

নানা অজুহাতে বিনা রশিদে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রতিনিধি, টঙ্গী (গাজীপুর)

টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের ডায়েরি, টাই-সোল্ডার, ব্যাজ ও আইডি কার্ড দেয়ার নামে বিনা রশিদে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম, ফরম ফিলাপ, কোচিংয়ের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ তুলেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষক ও কর্মকর্তা যোগসাজশ করে বিনা রশিদে অনৈতিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অভিভাবকদের স্কুল অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি বলেও জানান।

এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। গত সোমবার জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জোবায়ের ফাহিমের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ ও অভিভাবক সদস্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

অভিভাবকরা জানান, এক সময়ের অত্র এলাকার নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ বর্তমানে কতিপয় দুর্নীতিবাজ শিক্ষক-কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে মানসম্মত শিক্ষা ও আশানুরুপ ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অথচ শিক্ষা খরচ আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি গুণতে হচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রের রেজিস্ট্রেশনসহ সবকিছু ঠিকঠাক আছে তারপরও কোচিংয়ের নামে শিক্ষকরা সিন্ডিকেট করে ১০-২০ হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ২০১২ সাল থেকে মনসুর আলম মিলন নামে এক সরকারি কর্মকর্তা কোনরুপ নির্বাচন ছাড়াই নিয়মবহির্ভূতভাবে অভিভাবক সদস্যপদ গ্রহণ করে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে কর্তৃত্ব খাটিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কতিপয় শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে অভিভাবকদের স্বার্থ না দেখে প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের পক্ষে কথা বলছেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে তাকেই বারবার অভিভাবক সদস্য মনোনীত করা হচ্ছে। এতে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মনসুর আলম মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কতিপয় কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন অর্থ আদায় করা হয় না। নিয়মানুযায়ী ভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করা হয়। কোন অভিভাবকের ছেলে মেয়ে প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করলে তিনি অভিভাবক সদস্য হতে পারেন।