সুবিধা বাড়লো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের

বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অথবা স্বেচ্ছায় বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে সেই অর্থ ফেরত নিতে পারবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ এ-সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে। বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সব অনুমোদিত ডিলারদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে নিজস্ব মালিকানাধীন শেয়ার বিক্রি করে তা ফেরত নিয়ে যেতে পারবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। নিয়ম সংক্রান্ত কারণে আদালতের আদেশে অথবা স্বেচ্ছায় কোম্পানি বন্ধ হলে অর্থ নেয়া যাবে। এতে বলা হয়, আদালত কোন কোম্পানি বন্ধের নির্দেশ দিলে অর্থ নেয়ার জন্য সেই আদেশের কপিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারের সংখ্যা, অর্থের পরিমাণ, করকর্তন এবং অবসায়কের সনদসহ যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। স্বেচ্ছায় বন্ধ করতে চাইলে সব ধরনের কাগজপত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অবশ্যই সব ধরনের কাগজপত্র ও নিয়মনীতি যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ারের অর্থ ফেরত নিতে হলে সম্ভাব্য দলিলাদির তালিকা দেয়া হয়েছে ওই সার্কুলারে। এরমধ্যে রয়েছে- কোম্পানি গঠনের সার্টিফিকেট, মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন, রিটার্ন অব অ্যালটমেন্ট, ইনস্ট্রমেন্ট অব ট্রান্সফার শেয়ার, অডিটেড ব্যালেন্সশিট, অবসায়কের সনদ, সিআইবি রিপোর্ট, কর সনদপত্র ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অপার সম্ভাবনা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও নিয়মনীতির কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসতে চায় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনার কারণে এখন বিদেশিরা দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ২৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ১৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ২ দশমকি ৫৭ শতাংশ। তবে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। আলোচিত সময়ে মাত্র ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে বিদেশিরা। যা তার আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সুবিধা বাড়লো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অথবা স্বেচ্ছায় বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে সেই অর্থ ফেরত নিতে পারবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ এ-সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে। বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সব অনুমোদিত ডিলারদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে নিজস্ব মালিকানাধীন শেয়ার বিক্রি করে তা ফেরত নিয়ে যেতে পারবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। নিয়ম সংক্রান্ত কারণে আদালতের আদেশে অথবা স্বেচ্ছায় কোম্পানি বন্ধ হলে অর্থ নেয়া যাবে। এতে বলা হয়, আদালত কোন কোম্পানি বন্ধের নির্দেশ দিলে অর্থ নেয়ার জন্য সেই আদেশের কপিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারের সংখ্যা, অর্থের পরিমাণ, করকর্তন এবং অবসায়কের সনদসহ যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। স্বেচ্ছায় বন্ধ করতে চাইলে সব ধরনের কাগজপত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অবশ্যই সব ধরনের কাগজপত্র ও নিয়মনীতি যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ারের অর্থ ফেরত নিতে হলে সম্ভাব্য দলিলাদির তালিকা দেয়া হয়েছে ওই সার্কুলারে। এরমধ্যে রয়েছে- কোম্পানি গঠনের সার্টিফিকেট, মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন, রিটার্ন অব অ্যালটমেন্ট, ইনস্ট্রমেন্ট অব ট্রান্সফার শেয়ার, অডিটেড ব্যালেন্সশিট, অবসায়কের সনদ, সিআইবি রিপোর্ট, কর সনদপত্র ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অপার সম্ভাবনা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও নিয়মনীতির কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসতে চায় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনার কারণে এখন বিদেশিরা দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ২৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ১৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ২ দশমকি ৫৭ শতাংশ। তবে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। আলোচিত সময়ে মাত্র ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে বিদেশিরা। যা তার আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার।