সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ফখরুল

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল গুলশানে একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিটি নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বিএনপির দুই মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (সরকার) অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা সচেতনভাবে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেই যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভিন্ন কৌশলে বাকশালি কায়দায় দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলছি, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের কোন আস্থা নেই। এজন্য আমরা দেখতে পেলাম সিটি নির্বাচনে ৭-৯ শতাংশ লোকও ভোট দেয়নি। সিটি নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আহ্বান করছি। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কখনোই সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল গুলশানে একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিটি নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বিএনপির দুই মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (সরকার) অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা সচেতনভাবে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেই যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভিন্ন কৌশলে বাকশালি কায়দায় দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলছি, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের কোন আস্থা নেই। এজন্য আমরা দেখতে পেলাম সিটি নির্বাচনে ৭-৯ শতাংশ লোকও ভোট দেয়নি। সিটি নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আহ্বান করছি। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কখনোই সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।