‘অডিটররা এমডি সিইও’র কাছে বন্দী’

পজিশন অথরিটির (এমডি-সিইও) কাছে বন্দী ইন্টারনাল অডিটর বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী। গতকাল রাজধানীর অডিটর ভবনে আয়োজিত প্রপোজাল ফর এনএক্টমেন্ট অব ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব ইন্টার্নাল অডিটর্স বাংলাদেশ এক্ট’ এর ওয়ার্কশপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, বর্তমানে ইন্টার্নাল অডিটররা পজিশন অথোরিটি যেমন এমডি সিইও এ রকম পজিশনের কাছে বন্দী থাকে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে, হবে বন্দী থাকবেন কি না। আমরা ইন্টার্নাল অডিট এর বিষয়টি খুব শীঘ্রই করপোরেট গভর্ন্যান্স কোডের অন্তর্ভুক্ত করব। বর্তমান অবস্থায় ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল থেকে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। এ বাস্তবতা আমরা দেখতে ও বুঝতে পেরিছি। সুতারাং আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে আসতে হবে। আর জনগণকে ক্যাপিটাল মার্কেটমুখী করতে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে করপোরেট গভর্নেন্সের স্বচ্ছতা। বাস্তবতার আলোকে আমরা দেখেছি, রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার যে চিন্তাভাবনা কিংবা নিরীক্ষার যে কার্যক্রম, এ সব ভেজাল অডিট রিপোর্টের কারণে কমপক্ষে বাজেটের এক পঞ্চমাংশ থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। এ পরিমাণ রেভিনিউ কেবল নিরীক্ষার অসৎ উদ্দেশের কারণে আমাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো আমাদের বন্ধ করতে হবে। জবাবদিহিতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমিও একটি প্রতিষ্ঠানে করপোরেট গভর্নেন্স দেখি। এটি আমাদের প্রধান কাজ। অডিটররা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা রুলস রেগুলেশন তৈরি করেছি। আমাদের সে সক্ষমতা আছে। তারপরেও সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছি তা আমরা বলব না। আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত অডিট রিপোর্টের কোন ডাটা সার্ভার নেই। আমি জানি এসবে বাধা আসবে। আমরা চাই, একটি সেন্ট্রাল অডিট রিপোর্টের ডাটা সার্ভার যদি থাকে তাহলে রিপোর্ট তৈরিতে সমস্ত খারাপ উদ্দেশ্য কন্ট্রোল করা যাবে। এটি বাস্তবায়নে উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৪ মাঘ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

‘অডিটররা এমডি সিইও’র কাছে বন্দী’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

পজিশন অথরিটির (এমডি-সিইও) কাছে বন্দী ইন্টারনাল অডিটর বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী। গতকাল রাজধানীর অডিটর ভবনে আয়োজিত প্রপোজাল ফর এনএক্টমেন্ট অব ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব ইন্টার্নাল অডিটর্স বাংলাদেশ এক্ট’ এর ওয়ার্কশপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, বর্তমানে ইন্টার্নাল অডিটররা পজিশন অথোরিটি যেমন এমডি সিইও এ রকম পজিশনের কাছে বন্দী থাকে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে, হবে বন্দী থাকবেন কি না। আমরা ইন্টার্নাল অডিট এর বিষয়টি খুব শীঘ্রই করপোরেট গভর্ন্যান্স কোডের অন্তর্ভুক্ত করব। বর্তমান অবস্থায় ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল থেকে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। এ বাস্তবতা আমরা দেখতে ও বুঝতে পেরিছি। সুতারাং আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে আসতে হবে। আর জনগণকে ক্যাপিটাল মার্কেটমুখী করতে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে করপোরেট গভর্নেন্সের স্বচ্ছতা। বাস্তবতার আলোকে আমরা দেখেছি, রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার যে চিন্তাভাবনা কিংবা নিরীক্ষার যে কার্যক্রম, এ সব ভেজাল অডিট রিপোর্টের কারণে কমপক্ষে বাজেটের এক পঞ্চমাংশ থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। এ পরিমাণ রেভিনিউ কেবল নিরীক্ষার অসৎ উদ্দেশের কারণে আমাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো আমাদের বন্ধ করতে হবে। জবাবদিহিতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমিও একটি প্রতিষ্ঠানে করপোরেট গভর্নেন্স দেখি। এটি আমাদের প্রধান কাজ। অডিটররা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা রুলস রেগুলেশন তৈরি করেছি। আমাদের সে সক্ষমতা আছে। তারপরেও সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছি তা আমরা বলব না। আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত অডিট রিপোর্টের কোন ডাটা সার্ভার নেই। আমি জানি এসবে বাধা আসবে। আমরা চাই, একটি সেন্ট্রাল অডিট রিপোর্টের ডাটা সার্ভার যদি থাকে তাহলে রিপোর্ট তৈরিতে সমস্ত খারাপ উদ্দেশ্য কন্ট্রোল করা যাবে। এটি বাস্তবায়নে উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।