নতুন বই আসছে প্রতিদিনই

আজ ও কাল ছুটির দিন শিশুপ্রহর

দিন যত যাচ্ছে বইমেলায় লেখক, পাঠক আর দর্শনার্থীদের পদচারণা তত বাড়ছে। দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই আসছেন দল বেধে। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব আবার কেউ পরিবার-পরিজন ও প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিশু, কিশোর-কিশোরী এসেছে তাদের মা-বাবার সঙ্গে। গতকাল মেলার পঞ্চম দিনে স্কুল-কলেজের নানা বয়সী শিক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতি যেন নজর কেড়েছে বই বিক্রেতাদের।

কিন্তু বই বিক্রেতাদের কাছে দর্শনার্থীদের আগমনে নজর কাড়লেও বই বিক্রিতে তারা সন্তুষ্ট না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল শুরু হওয়ার পর থেকেই আসা শুরু হয় নানা বয়সী মানুষের। সবাই স্টল ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের বই দেখছে। কিন্তু বই কেনার ক্ষেত্রে কেউ আগ্রহী না। তারা আরও জানায়, তাদের এখনও বইয়ের কাজ অনেক বাকি আছে। বাংলাবাজারে তাদের বইয়ের কাজ এখনও চলছে। আগামী ১০ তারিখের ভিতরে তাদের সব বই মেলায় আনা হবে। তবে বাণিজ্যমেলা থাকায় লোক কম আসছে বলে অনেকে জানান। অবশ্য গতকাল বাণিজ্যমেলা শেষ হয়েছে। তাই তারা আশা করছে আজ থেকে তাদের বই বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে।

প্রথমা প্রকাশনী থেকে জানা যায়, তাদের বিক্রি আশানুরূপ। তবে তারা সামনে আরও ভালো বিক্রি আশা করছ। এবারের বই মেলায় তাদের নতুন বই এসেছে ৭০টি। সামনে আরও ৩০টি নতুন বই আসবে। ঐতিহ্য প্রকাশনী জানায়, মেলায় তাদের ১৫টি নতুন বই এসেছে। তার মধ্যে ‘আত্ম উন্নয়ন সিরিজ-১’ নামের বইটিতে তারা ভালো সাড়া পাচ্ছেন। বইটি বিশ্বের দশটি বেস্ট সেলিং আত্ম উন্নয়নমূলক বইয়ের সার সংক্ষেপ। বইটিতে রয়েছে মানুষকে মোটিভেট করার অনেক তথ্য।

ইত্যাদি প্রকাশনীর মাসুদ পারভেজ জানান, বিক্রি মোটামুটি ভালো। আরও ভালো আশা করছি। দর্শনার্থীরা দেখতে আসে যা কিনে নেয় তাতেই আমরা সন্তুষ্ট। কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে কাথা বলে জানা যায়, তারা ভালো বই খুঁজছেন কিন্তু আশানুরূপ ভালো বই পাচ্ছেন না। তারা খুঁজছেন তাদের পছন্দের বই। গতকাল বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে জানা যায় এ সব তথ্য।

শিশুপ্রহর উপলক্ষে অমর একুশে বইমেলা আজ শুরু হবে বেলা ১১টায়। মেলার প্রথম পর্ব চলবে দুপুর ১টা পর্যন্তু। প্রতি শনিবার ও শুক্রবার মেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি স্টল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি স্টলসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। ছুটির দিন মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তু।

২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতাকে নিয়ে ২৫টি বই প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। নতুন এসব বই নিয়েও আলোচনা করা হবে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার উদ্বোধন করেন। এবার পুরো মেলা প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ছোঁয়া লেগেছে। নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বইমেলা।

শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৪ মাঘ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

নতুন বই আসছে প্রতিদিনই

আজ ও কাল ছুটির দিন শিশুপ্রহর

তারেক আজিজ

image

দিন যত যাচ্ছে বইমেলায় লেখক, পাঠক আর দর্শনার্থীদের পদচারণা তত বাড়ছে। দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই আসছেন দল বেধে। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব আবার কেউ পরিবার-পরিজন ও প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিশু, কিশোর-কিশোরী এসেছে তাদের মা-বাবার সঙ্গে। গতকাল মেলার পঞ্চম দিনে স্কুল-কলেজের নানা বয়সী শিক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতি যেন নজর কেড়েছে বই বিক্রেতাদের।

কিন্তু বই বিক্রেতাদের কাছে দর্শনার্থীদের আগমনে নজর কাড়লেও বই বিক্রিতে তারা সন্তুষ্ট না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল শুরু হওয়ার পর থেকেই আসা শুরু হয় নানা বয়সী মানুষের। সবাই স্টল ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের বই দেখছে। কিন্তু বই কেনার ক্ষেত্রে কেউ আগ্রহী না। তারা আরও জানায়, তাদের এখনও বইয়ের কাজ অনেক বাকি আছে। বাংলাবাজারে তাদের বইয়ের কাজ এখনও চলছে। আগামী ১০ তারিখের ভিতরে তাদের সব বই মেলায় আনা হবে। তবে বাণিজ্যমেলা থাকায় লোক কম আসছে বলে অনেকে জানান। অবশ্য গতকাল বাণিজ্যমেলা শেষ হয়েছে। তাই তারা আশা করছে আজ থেকে তাদের বই বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে।

প্রথমা প্রকাশনী থেকে জানা যায়, তাদের বিক্রি আশানুরূপ। তবে তারা সামনে আরও ভালো বিক্রি আশা করছ। এবারের বই মেলায় তাদের নতুন বই এসেছে ৭০টি। সামনে আরও ৩০টি নতুন বই আসবে। ঐতিহ্য প্রকাশনী জানায়, মেলায় তাদের ১৫টি নতুন বই এসেছে। তার মধ্যে ‘আত্ম উন্নয়ন সিরিজ-১’ নামের বইটিতে তারা ভালো সাড়া পাচ্ছেন। বইটি বিশ্বের দশটি বেস্ট সেলিং আত্ম উন্নয়নমূলক বইয়ের সার সংক্ষেপ। বইটিতে রয়েছে মানুষকে মোটিভেট করার অনেক তথ্য।

ইত্যাদি প্রকাশনীর মাসুদ পারভেজ জানান, বিক্রি মোটামুটি ভালো। আরও ভালো আশা করছি। দর্শনার্থীরা দেখতে আসে যা কিনে নেয় তাতেই আমরা সন্তুষ্ট। কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে কাথা বলে জানা যায়, তারা ভালো বই খুঁজছেন কিন্তু আশানুরূপ ভালো বই পাচ্ছেন না। তারা খুঁজছেন তাদের পছন্দের বই। গতকাল বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে জানা যায় এ সব তথ্য।

শিশুপ্রহর উপলক্ষে অমর একুশে বইমেলা আজ শুরু হবে বেলা ১১টায়। মেলার প্রথম পর্ব চলবে দুপুর ১টা পর্যন্তু। প্রতি শনিবার ও শুক্রবার মেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি স্টল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি স্টলসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। ছুটির দিন মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তু।

২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতাকে নিয়ে ২৫টি বই প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। নতুন এসব বই নিয়েও আলোচনা করা হবে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার উদ্বোধন করেন। এবার পুরো মেলা প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ছোঁয়া লেগেছে। নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বইমেলা।