মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ অবস্থান জামুকা অফিসে

ভারতীয় তালিকাভুক্ত, লাল মুক্তিবার্তায় নাম অন্তর্ভুক্ত, বেসরকারি গেজেটভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অ-মুক্তিযোদ্ধা অভিহিত করে হয়রানি-হেনস্তা করার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানালেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ২ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল মুক্তিযোদ্ধারা বেলা ১১টায় থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অবস্থান নেন রাজধানীর কাকরাইলের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অফিসের (জামুকায়) সামনে। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিবাদ করে জানান তারা। মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর সঙ্গে জামুকার অফিসে বৈঠক করেন সোনারগাঁ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দল। এ দলের নেতৃত্ব দেন সোনারগাঁ থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী চেয়ারম্যান।

জামুকার সামনে আগত মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন, ২০১৭ সালে ১৬৩ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অমুক্তিযোদ্ধা অভিহিত জামুকায় অভিযোগ করে চলেছে একই সংঘবদ্ধ চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও দালাল চক্র। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৭ সদস্যের বাছাই কমিটি অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই করেন। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কমিটিতে ছিলেন সদস্য সচিব হিসেবে সোনারগাঁ উপজেলার ইউএনও শাহীনুর ইসলাম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল প্রতিনিধি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল প্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। কমিটির সদস্যদের সামনে যেসব মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল তাদের স্বশরীরে হাজির করে, ’৭১ এর রণাঙ্গনের বিভিন্ন প্রশ্নত্তোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। কমিটি অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা), জেলা প্রশাসক ও ইউএনও অফিসে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র অত্র কার্যালয়ে রক্ষিত আছে। বাছাইয়ে প্রমাণিত হয়, যাদের অ-মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়েছে, তারা ভারতীয় তালিকাভুক্ত, লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত, বেসরকারি গেজেট ও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এখন আবার তাদের নামেই কখনও ১০ জন, আবার কখনও ৯ জন, আবার কখনও ১৫ জন করে জামুকা থেকে আবারও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপস্থিত হওয়ার নোটিশ ইস্যু করা হয় জামুকা অফিস থেকে। এক শ্রেণীর চাঁদাবাজ ও দালাল মুক্তিযোদ্ধা জামুকা অফিসের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ, অসৎ কর্মকর্তার সহায়তায় বাছাই হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে জামুকা অফিস থেকে নোটিশ ইস্যু করিয়ে বিরাট অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। এর প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাতে সোনারগাঁ থেকে এসেছিলেন দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।

শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৪ মাঘ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

অ-মুক্তিযোদ্ধা বলায়

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ অবস্থান জামুকা অফিসে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ভারতীয় তালিকাভুক্ত, লাল মুক্তিবার্তায় নাম অন্তর্ভুক্ত, বেসরকারি গেজেটভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অ-মুক্তিযোদ্ধা অভিহিত করে হয়রানি-হেনস্তা করার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানালেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ২ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল মুক্তিযোদ্ধারা বেলা ১১টায় থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অবস্থান নেন রাজধানীর কাকরাইলের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অফিসের (জামুকায়) সামনে। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিবাদ করে জানান তারা। মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর সঙ্গে জামুকার অফিসে বৈঠক করেন সোনারগাঁ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দল। এ দলের নেতৃত্ব দেন সোনারগাঁ থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী চেয়ারম্যান।

জামুকার সামনে আগত মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন, ২০১৭ সালে ১৬৩ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অমুক্তিযোদ্ধা অভিহিত জামুকায় অভিযোগ করে চলেছে একই সংঘবদ্ধ চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও দালাল চক্র। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৭ সদস্যের বাছাই কমিটি অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬৩ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই করেন। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কমিটিতে ছিলেন সদস্য সচিব হিসেবে সোনারগাঁ উপজেলার ইউএনও শাহীনুর ইসলাম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল প্রতিনিধি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল প্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। কমিটির সদস্যদের সামনে যেসব মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল তাদের স্বশরীরে হাজির করে, ’৭১ এর রণাঙ্গনের বিভিন্ন প্রশ্নত্তোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। কমিটি অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা), জেলা প্রশাসক ও ইউএনও অফিসে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র অত্র কার্যালয়ে রক্ষিত আছে। বাছাইয়ে প্রমাণিত হয়, যাদের অ-মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়েছে, তারা ভারতীয় তালিকাভুক্ত, লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত, বেসরকারি গেজেট ও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এখন আবার তাদের নামেই কখনও ১০ জন, আবার কখনও ৯ জন, আবার কখনও ১৫ জন করে জামুকা থেকে আবারও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপস্থিত হওয়ার নোটিশ ইস্যু করা হয় জামুকা অফিস থেকে। এক শ্রেণীর চাঁদাবাজ ও দালাল মুক্তিযোদ্ধা জামুকা অফিসের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ, অসৎ কর্মকর্তার সহায়তায় বাছাই হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে জামুকা অফিস থেকে নোটিশ ইস্যু করিয়ে বিরাট অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। এর প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাতে সোনারগাঁ থেকে এসেছিলেন দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।