আলোচ্য সূচি নিয়ে ডাকসুর ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বন্দ্ব

সভা বর্জনের ঘোষণা

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সভার আলোচ্য সূচি নির্ধারণ নিয়ে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ডাকসুর আলোচ্য সূচিতে এজিএস সাদ্দাম হোসেনের ব্যক্তিগত এজেন্ডাই বেশি। এক্ষেত্রে ডাকসুর অন্য সদস্যদের মতামত নেয়া হয় না। কার্যনির্বাহী সভার এসব এজেন্ডায় শিক্ষার্থীবান্ধব কিছুই নেই। শিক্ষার্থীবান্ধব এজেন্ডা না থাকায় কার্যকরী সভা বর্জন করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ডাকসু সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল বেলা ৩টায় ডাকসু কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আলোচ্য সূচি হিসেবে ৬টি এজেন্ডা রাখা হয়েছে। এসব এজেন্ডার মধ্যে শিক্ষার্থীবান্ধব কোন এজেন্ডা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত ডাকসু প্রতিনিধিরা। ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত ডাকসুর বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, ডাকসুর কার্যকরী সভায় কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেগুলো সাদ্দাম নিজে নিজে ঠিক করেন যেখানে তার ইশতেহারের বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়েছে। এর আগের সভাগুলোর এজেন্ডাও তিনি নিজে ঠিক করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সদস্য তানভীর হাসান সৈকতসহ অন্তত ১০ জন প্রতিনিধি ডাকসুর আলোচ্য সূচির বিষয়ে জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের প্রধান সমস্যা গণরুম সংকট। আর এটি সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। কিন্তু তার এই দাবিটি অন্তুর্ভুক্ত করা হয়নি ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভার আলোচ্য সূচিতে। এই ক্ষোভে সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সৈকত বলেন, ডাকসুর আলোচ্য সূচি তৈরি করার সময় অন্য সদস্যদের মতামত নেয়া হয় না। ডাকসুর অনেক প্রতিনিধি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু সেগুলোও আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়নি। আমি গণরুম সংকট নিয়ে কাজ করছি; বছরের শুরুতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু আলোচ্য সূচিতে আমার কোন এজেন্ডা রাখা হয়নি।

শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৪ মাঘ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আলোচ্য সূচি নিয়ে ডাকসুর ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বন্দ্ব

সভা বর্জনের ঘোষণা

প্রতিনিধি, ঢাবি

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সভার আলোচ্য সূচি নির্ধারণ নিয়ে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ডাকসুর আলোচ্য সূচিতে এজিএস সাদ্দাম হোসেনের ব্যক্তিগত এজেন্ডাই বেশি। এক্ষেত্রে ডাকসুর অন্য সদস্যদের মতামত নেয়া হয় না। কার্যনির্বাহী সভার এসব এজেন্ডায় শিক্ষার্থীবান্ধব কিছুই নেই। শিক্ষার্থীবান্ধব এজেন্ডা না থাকায় কার্যকরী সভা বর্জন করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ডাকসু সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল বেলা ৩টায় ডাকসু কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আলোচ্য সূচি হিসেবে ৬টি এজেন্ডা রাখা হয়েছে। এসব এজেন্ডার মধ্যে শিক্ষার্থীবান্ধব কোন এজেন্ডা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত ডাকসু প্রতিনিধিরা। ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত ডাকসুর বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, ডাকসুর কার্যকরী সভায় কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেগুলো সাদ্দাম নিজে নিজে ঠিক করেন যেখানে তার ইশতেহারের বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়েছে। এর আগের সভাগুলোর এজেন্ডাও তিনি নিজে ঠিক করেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সদস্য তানভীর হাসান সৈকতসহ অন্তত ১০ জন প্রতিনিধি ডাকসুর আলোচ্য সূচির বিষয়ে জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের প্রধান সমস্যা গণরুম সংকট। আর এটি সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। কিন্তু তার এই দাবিটি অন্তুর্ভুক্ত করা হয়নি ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভার আলোচ্য সূচিতে। এই ক্ষোভে সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সৈকত বলেন, ডাকসুর আলোচ্য সূচি তৈরি করার সময় অন্য সদস্যদের মতামত নেয়া হয় না। ডাকসুর অনেক প্রতিনিধি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু সেগুলোও আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়নি। আমি গণরুম সংকট নিয়ে কাজ করছি; বছরের শুরুতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু আলোচ্য সূচিতে আমার কোন এজেন্ডা রাখা হয়নি।