চীনে বাংলাদেশিদের খাবার ও পানি দেয়া হচ্ছে

ফ্লাইট পাঠানো যাচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনে আটকে থাকা বাংলাদেশিদের সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, যারা এখন আসতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা অনেক খরচ করেছি। তারপরও সম্ভব হচ্ছে না। চেষ্টা থাকলেও চীন থেকে ১৭১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর হচ্ছে না। তবে চীনের ২৩টি জায়গায় বাংলাদেশিরা থাকে, সবগুলো জায়গায়ই খাবার, পানি সময়মতো যাচ্ছে।

গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

আবদুল মোমেন বলেন, বিমানের ক্রুরা কেউ বাইরে যেতে পারছে না, বিমান কোথাও যেতে পারছে না। সিঙ্গাপুর পর্যন্ত যেতে পারছে না। একমাত্র চাইনিজ চাটার্ড ফ্লাইটে তাদের আনা সম্ভব হতো। এক পর্যায়ে চীন রাজিও হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা না করে দিয়েছে। আমরা তো কোন ফ্লাইট পাঠাতে পারছি না, কোন ক্রুও যেতে চাচ্ছে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে থাকা ওই বাংলাদেশিদের অন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাদের খাওয়া-দাওয়া চাইনিজরা এনশিওর করছে। ২৩টি জায়গায় বাংলাদেশিরা থাকে, সবগুলো জায়গায়ই খাবার, পানি সময়মতো পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। তারা খাবার সংকটে আছে বলে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তা সঠিক না। আমাদের দূতাবাস ওদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করছে। ৩৮৪ জনের একটা গ্রুপ কনটিনিউয়াসলি খোঁজ নিচ্ছে তাদের।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহাবুব উজ জামান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, হিচেং শহরে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা অত্যন্ত সাফল্যজনকভাবে লোকাল কো-অর্ডিনেশন শেষ করেছি। যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। ২২টি সেন্টারে লোকাল কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করেছি, ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ করেছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা চীন ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি। এটি একটি যৌথ পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের নাগরিকদের সুরক্ষা, কল্যাণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই দূতাবাস কাজ করছে।

নতুন ধরনের এই ভাইরাসে চীনে ইতোমধ্যে সাত শতাধিক মানুষ মারা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। চীন থেকে দুই ডজনের বেশি দেশে সংক্রমিত হয়েছে প্রাণ সংহারী এই ভাইরাস। করোনাভাইরাস চীনের যে নগরী থেকে ছড়িয়েছিল সেই উহান থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩১২ বাংলাদেশিকে বিমানের একটি উড়োজাহাজ গিয়ে দেশে ফেরত আনে। কিন্তু তারপর ওই পাইলটদের অন্য দেশ ঢুকতে দিতে না চাওয়া বিপাকে পড়েছে বিমান। অন্যদিকে চীনের বিভিন্ন শহরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটানো বাংলাদেশিদের অনেকে ফেরার দিন গুনছেন।

রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৬ মাঘ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১

চীনে বাংলাদেশিদের খাবার ও পানি দেয়া হচ্ছে

ফ্লাইট পাঠানো যাচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

চীনে আটকে থাকা বাংলাদেশিদের সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, যারা এখন আসতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা অনেক খরচ করেছি। তারপরও সম্ভব হচ্ছে না। চেষ্টা থাকলেও চীন থেকে ১৭১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভবপর হচ্ছে না। তবে চীনের ২৩টি জায়গায় বাংলাদেশিরা থাকে, সবগুলো জায়গায়ই খাবার, পানি সময়মতো যাচ্ছে।

গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

আবদুল মোমেন বলেন, বিমানের ক্রুরা কেউ বাইরে যেতে পারছে না, বিমান কোথাও যেতে পারছে না। সিঙ্গাপুর পর্যন্ত যেতে পারছে না। একমাত্র চাইনিজ চাটার্ড ফ্লাইটে তাদের আনা সম্ভব হতো। এক পর্যায়ে চীন রাজিও হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা না করে দিয়েছে। আমরা তো কোন ফ্লাইট পাঠাতে পারছি না, কোন ক্রুও যেতে চাচ্ছে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে থাকা ওই বাংলাদেশিদের অন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাদের খাওয়া-দাওয়া চাইনিজরা এনশিওর করছে। ২৩টি জায়গায় বাংলাদেশিরা থাকে, সবগুলো জায়গায়ই খাবার, পানি সময়মতো পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। তারা খাবার সংকটে আছে বলে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তা সঠিক না। আমাদের দূতাবাস ওদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করছে। ৩৮৪ জনের একটা গ্রুপ কনটিনিউয়াসলি খোঁজ নিচ্ছে তাদের।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহাবুব উজ জামান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, হিচেং শহরে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা অত্যন্ত সাফল্যজনকভাবে লোকাল কো-অর্ডিনেশন শেষ করেছি। যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। ২২টি সেন্টারে লোকাল কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করেছি, ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ করেছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা চীন ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি। এটি একটি যৌথ পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের নাগরিকদের সুরক্ষা, কল্যাণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই দূতাবাস কাজ করছে।

নতুন ধরনের এই ভাইরাসে চীনে ইতোমধ্যে সাত শতাধিক মানুষ মারা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। চীন থেকে দুই ডজনের বেশি দেশে সংক্রমিত হয়েছে প্রাণ সংহারী এই ভাইরাস। করোনাভাইরাস চীনের যে নগরী থেকে ছড়িয়েছিল সেই উহান থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি ৩১২ বাংলাদেশিকে বিমানের একটি উড়োজাহাজ গিয়ে দেশে ফেরত আনে। কিন্তু তারপর ওই পাইলটদের অন্য দেশ ঢুকতে দিতে না চাওয়া বিপাকে পড়েছে বিমান। অন্যদিকে চীনের বিভিন্ন শহরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটানো বাংলাদেশিদের অনেকে ফেরার দিন গুনছেন।