ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক

অক্টোবরের মধ্যেই শেয়ারবাজারে আসছে আরও ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা যেকোন মূল্যে পুঁজিবাজার শক্তিশালী করতে চাই। আগামী অক্টোবরের মধ্যে আরও চারটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসছে। এছাড়া বাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার আরও বাড়ানো হবে। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল অর্থনৈতিক এলাকা কোথাও কোন খারাপ সংকেত দিচ্ছে না। আমাদের একটি খাত এখন নেগেটিভ আছে। তবে একটি খাত দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি বিবেচনা করা যাবে না। প্রত্যেক দেশেই সব খাত যে সমানভাবে চলবে এমনটি নয়। সারাবিশ্বের অর্থনীতির বিবেচনায় আমাদের অর্থনীতির অবস্থা ভালো। একটা জায়গা নিয়ে সবসময় আমরা চিন্তাগ্রস্ত, সেটি হচ্ছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবার হচ্ছে অর্থনীতির রিফ্লেকশন, অর্থনীতির যে ফান্ডামেন্টাল সে ফান্ডামেন্টালের ওপর সবসময় অবস্থান করে পুঁজিবাজার। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজার কেন যেন অর্থনীতির সঙ্গে অ্যালায়েন নয়। অর্থনীতির যে গতিশীলতা তার সঙ্গে পুঁজিবাজার যায় না। পুঁজিবাজার এ রকম হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম। আমরা লক্ষ্য করলাম, বাজারে কিছুটা মিসম্যাচ রয়েছে। বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ কম। যারা বিনিয়োগ করে নিজ উদ্যোগে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কম হলে কিছু সময় বাজারে বিশৃঙ্খলা থাকে। এ কারণে বাজার কমে গেলে খারাপ ইঙ্গিত বহন করে। আমরা দেখলাম, আমাদের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো পুঁজিবাজারে আসা উচিত সেগুলোকে আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব।

রূপালী ব্যাংকের শেয়ার বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি যেসব ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে একটির শেয়ার বাড়ানোসহ পাঁচটি ব্যাংক আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব। এর মধ্যে বাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করব। পাশাপাশি আমরা নতুনভাবে শেয়ারবাজারে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডকে (বিডিবিএল) নিয়ে আসব। এরপর অগ্রণী, জনতা এবং সর্বশেষ সোনালী ব্যাংককে নিয়ে আসব। আমরা এ বিষয়ে একটি কমিটিও করেছি। কমিটিতে পাঁচটি ব্যাংকের প্রতিনিধি থাকবে এবং এটিকে দেখাশোনা করবে আইসিবি।

কবে নাগাদ এসব ব্যাংক বাজারে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অক্টোবরের পরে যাব না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মাধ্যেই আমরা এগুলো করে ফেলব। এ বছরের মধ্যেই আমরা ভালো কাজ যা আছে করব। সোনালী ব্যাংককেও আমরা নিয়ে আসব। এটায় একটু সময় লাগবে। ইভেনচ্যুয়ালি আমরা তাদেরও নিয়ে আসব। বাকি চারটা আমরা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত করে ফেলব। এ কাজগুলো হয়তো দুই পর্যায়ে হতে পারে। সেপ্টেম্বরের মাঝেই কাজগুলো করতে চাই। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। তারাই সরকারকে টাকা দিচ্ছে। তাই এখন আর রিফাইন্যানন্সিং এর দরকার পড়ছে না। প্রত্যেকটা ব্যাংকই লাভজনক। আমরা এ মুহূর্তে অবকাঠামো খাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছি। এখন অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে চাই। অর্থনীতি যেখানে ওঠানামা করে সেগুলোতে আমরা হাত দেব। এজন্য আমাদের ব্যাংক-বীমা খাত দেখতে হবে। এগুলো ঠিক করতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যে সমস্যাগুলো ছিল সেগুলো দূর করা হচ্ছে। আইনি কাঠামোতে সমস্যাগুলো দূর করছি।

তিনি আরও বলেন, এনবিআর ও ব্যাংকিং খাত দেখার জন্য আদালতে আমরা দুটো ডেডিগেটেড বেঞ্চ পেয়েছি। ফলে আমাদের মামলার সংখ্যা কমে যাবে। অপরাধী অপরাধ করলে মামলা করতে হবে এবং সেটার রায় দ্রুত হবে। এতে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে।

আমরা ইতোমধ্যে পাওয়ার সেক্টর থেকে লাভজনক সাতটি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাতটির মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে আনা হবে বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হবে। বাজার শক্তিশালী করতে সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে বাজার বাজারের মতো থাকবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকার করে না। আমরা যদি কোন সহায়ক ভূমিকা রাখি এর উপকার পাবে জনগণ। বাজারে যদি একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসতে পারি, এটা যাবে জনগণের কাছে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে এলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ধসের পরই বড় সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে গত পাঁচ বছরে অর্ধশতাধিক কম্পানি শেয়ারবাজারে এসেছে। নতুন বিনিয়োগকারীও বাজারে এসেছে। ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকের পর নতুন পণ্য বাজারে আনতে আইন-কানুনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ রকম কিছু উন্নয়ন সত্ত্বেও আবারও সেই পুরনো জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে পুঁজিবাজার। ২০১৯ সালজুড়ে মন্দাবস্থার পর নতুন বছর ২০২০ সালেও পুঁজিবাজারে ধস অব্যাহত রয়েছে। শেয়ারবাজারের এই অস্থির অবস্থায় কয়েকদিন পর পর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বৈঠক করছে। বৈঠকে নানা ধরনের সুপারিশও আসছে। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বলাও হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই অস্থির শেয়ারবাজার স্থির হচ্ছে না। এবার শেয়ারবাজার শক্তিশালী করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হলো।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক

অক্টোবরের মধ্যেই শেয়ারবাজারে আসছে আরও ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা যেকোন মূল্যে পুঁজিবাজার শক্তিশালী করতে চাই। আগামী অক্টোবরের মধ্যে আরও চারটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসছে। এছাড়া বাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার আরও বাড়ানো হবে। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল অর্থনৈতিক এলাকা কোথাও কোন খারাপ সংকেত দিচ্ছে না। আমাদের একটি খাত এখন নেগেটিভ আছে। তবে একটি খাত দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি বিবেচনা করা যাবে না। প্রত্যেক দেশেই সব খাত যে সমানভাবে চলবে এমনটি নয়। সারাবিশ্বের অর্থনীতির বিবেচনায় আমাদের অর্থনীতির অবস্থা ভালো। একটা জায়গা নিয়ে সবসময় আমরা চিন্তাগ্রস্ত, সেটি হচ্ছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবার হচ্ছে অর্থনীতির রিফ্লেকশন, অর্থনীতির যে ফান্ডামেন্টাল সে ফান্ডামেন্টালের ওপর সবসময় অবস্থান করে পুঁজিবাজার। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজার কেন যেন অর্থনীতির সঙ্গে অ্যালায়েন নয়। অর্থনীতির যে গতিশীলতা তার সঙ্গে পুঁজিবাজার যায় না। পুঁজিবাজার এ রকম হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম। আমরা লক্ষ্য করলাম, বাজারে কিছুটা মিসম্যাচ রয়েছে। বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ কম। যারা বিনিয়োগ করে নিজ উদ্যোগে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কম হলে কিছু সময় বাজারে বিশৃঙ্খলা থাকে। এ কারণে বাজার কমে গেলে খারাপ ইঙ্গিত বহন করে। আমরা দেখলাম, আমাদের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো পুঁজিবাজারে আসা উচিত সেগুলোকে আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব।

রূপালী ব্যাংকের শেয়ার বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি যেসব ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে একটির শেয়ার বাড়ানোসহ পাঁচটি ব্যাংক আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব। এর মধ্যে বাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করব। পাশাপাশি আমরা নতুনভাবে শেয়ারবাজারে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডকে (বিডিবিএল) নিয়ে আসব। এরপর অগ্রণী, জনতা এবং সর্বশেষ সোনালী ব্যাংককে নিয়ে আসব। আমরা এ বিষয়ে একটি কমিটিও করেছি। কমিটিতে পাঁচটি ব্যাংকের প্রতিনিধি থাকবে এবং এটিকে দেখাশোনা করবে আইসিবি।

কবে নাগাদ এসব ব্যাংক বাজারে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অক্টোবরের পরে যাব না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মাধ্যেই আমরা এগুলো করে ফেলব। এ বছরের মধ্যেই আমরা ভালো কাজ যা আছে করব। সোনালী ব্যাংককেও আমরা নিয়ে আসব। এটায় একটু সময় লাগবে। ইভেনচ্যুয়ালি আমরা তাদেরও নিয়ে আসব। বাকি চারটা আমরা সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত করে ফেলব। এ কাজগুলো হয়তো দুই পর্যায়ে হতে পারে। সেপ্টেম্বরের মাঝেই কাজগুলো করতে চাই। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। তারাই সরকারকে টাকা দিচ্ছে। তাই এখন আর রিফাইন্যানন্সিং এর দরকার পড়ছে না। প্রত্যেকটা ব্যাংকই লাভজনক। আমরা এ মুহূর্তে অবকাঠামো খাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছি। এখন অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে চাই। অর্থনীতি যেখানে ওঠানামা করে সেগুলোতে আমরা হাত দেব। এজন্য আমাদের ব্যাংক-বীমা খাত দেখতে হবে। এগুলো ঠিক করতে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যে সমস্যাগুলো ছিল সেগুলো দূর করা হচ্ছে। আইনি কাঠামোতে সমস্যাগুলো দূর করছি।

তিনি আরও বলেন, এনবিআর ও ব্যাংকিং খাত দেখার জন্য আদালতে আমরা দুটো ডেডিগেটেড বেঞ্চ পেয়েছি। ফলে আমাদের মামলার সংখ্যা কমে যাবে। অপরাধী অপরাধ করলে মামলা করতে হবে এবং সেটার রায় দ্রুত হবে। এতে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে।

আমরা ইতোমধ্যে পাওয়ার সেক্টর থেকে লাভজনক সাতটি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাতটির মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে আনা হবে বাকি দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হবে। বাজার শক্তিশালী করতে সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে বাজার বাজারের মতো থাকবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকার করে না। আমরা যদি কোন সহায়ক ভূমিকা রাখি এর উপকার পাবে জনগণ। বাজারে যদি একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসতে পারি, এটা যাবে জনগণের কাছে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে এলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ধসের পরই বড় সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে গত পাঁচ বছরে অর্ধশতাধিক কম্পানি শেয়ারবাজারে এসেছে। নতুন বিনিয়োগকারীও বাজারে এসেছে। ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকের পর নতুন পণ্য বাজারে আনতে আইন-কানুনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ রকম কিছু উন্নয়ন সত্ত্বেও আবারও সেই পুরনো জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে পুঁজিবাজার। ২০১৯ সালজুড়ে মন্দাবস্থার পর নতুন বছর ২০২০ সালেও পুঁজিবাজারে ধস অব্যাহত রয়েছে। শেয়ারবাজারের এই অস্থির অবস্থায় কয়েকদিন পর পর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বৈঠক করছে। বৈঠকে নানা ধরনের সুপারিশও আসছে। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বলাও হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই অস্থির শেয়ারবাজার স্থির হচ্ছে না। এবার শেয়ারবাজার শক্তিশালী করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হলো।