সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তাকে অপসারণ দাবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, সরকারবিরোধী কার্যকলাপসহ নানা অভিযোগে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সেকশন অফিসার সাইফুল ইসলামকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বোর্ডের অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগে এ দাবি জানানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, গত বছর প্রকাশ্যে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করায় চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেয় এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। এরপরই তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে তদন্ত কার্যক্রম ধীরগতিতে চলায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়া তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পরও সিলেট জেলা বারের তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিগতদিনে তার এমন কর্মকাণ্ডের কারণে পূর্বের চেয়ারম্যানগণ তাকে সতর্ক করেন। তবে তিনি তা কর্নপাত না করে আদালতের আশ্রয় নেন। আদালতে মামলায় হেরে যাওয়ায় ক্ষেপে ছিলেন তাদের প্রতি। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম বোর্ডের সাবেক দুই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. গোলাম কিবরিয়া তাপাদার ও প্রফেসর মো. আব্দুল কুদ্দুছসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বোর্ডের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বোর্ড সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা শিবিরের তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলাম ২০০০ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পর থেকেই তিনি বোর্ডকে শিবির-জামাতির নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা স্বপক্ষের কর্মকর্তাদের কারণে তা হয়ে উঠেনি। তাদের অভিযোগ, বোর্ডের মধ্যে জামাতি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন ওই দুই সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্যরা। আর এ ক্ষোভ থেকেই সাইফুল ইসলাম আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়ে সেকশন অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটি গ্রুপ করি। আমি সাইফুল গ্রুপের প্রধান। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। তারাই আমার শত্রু। আমি যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি তারা অপরাধী। সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।’

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তাকে অপসারণ দাবি

প্রতিনিধি, সিলেট

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, সরকারবিরোধী কার্যকলাপসহ নানা অভিযোগে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সেকশন অফিসার সাইফুল ইসলামকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বোর্ডের অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগে এ দাবি জানানো হয়। অভিযোগে বলা হয়, গত বছর প্রকাশ্যে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করায় চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেয় এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। এরপরই তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে তদন্ত কার্যক্রম ধীরগতিতে চলায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এছাড়া তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পরও সিলেট জেলা বারের তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিগতদিনে তার এমন কর্মকাণ্ডের কারণে পূর্বের চেয়ারম্যানগণ তাকে সতর্ক করেন। তবে তিনি তা কর্নপাত না করে আদালতের আশ্রয় নেন। আদালতে মামলায় হেরে যাওয়ায় ক্ষেপে ছিলেন তাদের প্রতি। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম বোর্ডের সাবেক দুই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. গোলাম কিবরিয়া তাপাদার ও প্রফেসর মো. আব্দুল কুদ্দুছসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বোর্ডের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বোর্ড সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা শিবিরের তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলাম ২০০০ সালে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পর থেকেই তিনি বোর্ডকে শিবির-জামাতির নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা স্বপক্ষের কর্মকর্তাদের কারণে তা হয়ে উঠেনি। তাদের অভিযোগ, বোর্ডের মধ্যে জামাতি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন ওই দুই সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্যরা। আর এ ক্ষোভ থেকেই সাইফুল ইসলাম আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়ে সেকশন অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটি গ্রুপ করি। আমি সাইফুল গ্রুপের প্রধান। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। তারাই আমার শত্রু। আমি যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি তারা অপরাধী। সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।’