গত এক বছরে

চব্বিশ হাজার অগ্নিকাণ্ড প্রাণ গেছে ১৮৫ জনের

আহত ৫৮৬ জন সম্পদের ক্ষতি ৩৩০ কোটি টাকার

গত বছর রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা, ভাষানটেক বস্তি, কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানা, গাজীপুরের ফ্যান তৈরির কারখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৪ হাজার ৭৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনায় ঘটনাস্থলে ও দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮৫ জন। আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৫৮৬ জন। সম্পদের ক্ষতি হয়েছে ৩৩০ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৪ টাকার। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো (ইফসি)-২০২০।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৫৪টি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। একটি প্রকল্প চালু আছে তা শেষ হলে ৫৬৭ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করা হবে। তখন প্রত্যেকটি উপজেলাতে একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকবে। সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ১১টি মডার্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হয়েছে। এখানে ৬৮ মিটার টিটিএল লেডার সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণে ২২ তলা থেকে ২৫ তলা পর্যন্ত উচ্চতায় কাজ করা যাবে। তিনি বলেন, আগুন লাগার পরে সুউচ্চ ভবন থেকে নামার জন্য গত ২৪ নভেম্বর তিনটি জাম্পিং কুশন সংযোজন করা হয়েছে। পুরান ঢাকায় সরু রাস্তায় কাজ করার জন্য দুটি রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে।

রাজধানীতে যেসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ আছে। আমরা যেগুলো নোটিশ দিয়েছিলাম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে। সেই তালিকা দেখে অতি শীঘ্রই ওই সব ভবনের ফলোআপ করা হবে। এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্ক, ইউএই, পর্তুগাল, স্পেন, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ ২৫টি দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হবে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি থাকবেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক।

মেলার বিশেষ আকর্ষণ ‘ইসাব সেফটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০’। বাণিজ্যিক, শিল্প ও আবাসিক এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৯ প্রতিষ্ঠানকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে হাতে নেয়া এ কার্যক্রমের পুরস্কার মেলার দ্বিতীয় দিন রাত আটটায় নির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

গত এক বছরে

চব্বিশ হাজার অগ্নিকাণ্ড প্রাণ গেছে ১৮৫ জনের

আহত ৫৮৬ জন সম্পদের ক্ষতি ৩৩০ কোটি টাকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

গত বছর রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা, ভাষানটেক বস্তি, কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানা, গাজীপুরের ফ্যান তৈরির কারখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৪ হাজার ৭৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনায় ঘটনাস্থলে ও দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮৫ জন। আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৫৮৬ জন। সম্পদের ক্ষতি হয়েছে ৩৩০ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৪ টাকার। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো (ইফসি)-২০২০।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৫৪টি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। একটি প্রকল্প চালু আছে তা শেষ হলে ৫৬৭ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করা হবে। তখন প্রত্যেকটি উপজেলাতে একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকবে। সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ১১টি মডার্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হয়েছে। এখানে ৬৮ মিটার টিটিএল লেডার সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণে ২২ তলা থেকে ২৫ তলা পর্যন্ত উচ্চতায় কাজ করা যাবে। তিনি বলেন, আগুন লাগার পরে সুউচ্চ ভবন থেকে নামার জন্য গত ২৪ নভেম্বর তিনটি জাম্পিং কুশন সংযোজন করা হয়েছে। পুরান ঢাকায় সরু রাস্তায় কাজ করার জন্য দুটি রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে।

রাজধানীতে যেসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ আছে। আমরা যেগুলো নোটিশ দিয়েছিলাম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে। সেই তালিকা দেখে অতি শীঘ্রই ওই সব ভবনের ফলোআপ করা হবে। এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্ক, ইউএই, পর্তুগাল, স্পেন, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ ২৫টি দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হবে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি থাকবেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক।

মেলার বিশেষ আকর্ষণ ‘ইসাব সেফটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০’। বাণিজ্যিক, শিল্প ও আবাসিক এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৯ প্রতিষ্ঠানকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে হাতে নেয়া এ কার্যক্রমের পুরস্কার মেলার দ্বিতীয় দিন রাত আটটায় নির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।