হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন

কুমিল্লায় এক সার্জারি ডাক্তারের বিরুদ্ধে এক রোগীর হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ও জেলা সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দফতরে দফতরে এ অভিযোগ করা হয়। কুমেক-এর সহকারী অধ্যাপক ও নগরীর সিডি প্যাথ অ্যান্ড হসপিটালের খণ্ডকালীন ডা. জুবায়ের আহমদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড় এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আমিন উল্লাহর ছেলে রোগী আনিছুর রহমান।

অভিযোগে রোগী আনিছুর রহমান উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে হার্নিয়ার ব্যথার কারণে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে কুমেক হাসপাতালের একজন ডাক্তারের চিকিৎসা নেন। তারা রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর হার্নিয়া চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে হার্নিয়ার ব্যথা তীব্র অনুভব হলে তিনি কুমেক এর সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডা. জুবায়ের আহমদের (এমবিবিএস, এফিসিপিএস) স্মরণাপন্ন হলে তিনি পুনরায় রোগীর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নগরীর সিডি প্যাথ অ্যান্ড হসপিটাল (প্রা.) লি. এ ভর্তি হয়ে অপারেশনের পরামর্শ দেন। গত ২৪ জানুয়ারি ওই হসপিটালে ডা. জুবায়ের রোগীর অপারেশন করেন। অভিযোগে বলা হয়, কিছুদিন পর আবারও আগের মতো হার্নিয়ার ব্যথা হলে রোগী ওই ডাক্তারের নিকট যান। তখন ডাক্তার হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করে ফেলেছেন বলে ওই রোগীকে জানান। রোগী জানান, তার সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নরমাল উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ডা. জুবায়ের আহমদ অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের মাধ্যমে ভুল চিকিৎসার কারণে হার্নিয়ার তীব্র ব্যথা নিয়ে তিনি হার্ট ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আর্থিক ক্ষতিসহ জীবনঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এ বিষয়ে তিনি তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ডা. জুবায়ের আহমদ সেলফোনে বলেন, রোগীর (আনিছুর রহমান) অ্যাপেন্ডিসাইটিসেরও সমস্যা ছিল, তাই অপারেশন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর সঙ্গে আসা একজন বলেছে রোগীর অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা আছে। তবে রোগীর হার্নিয়ার সমস্যাও আছে। রোগীর সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নরমাল উল্লেখ থাকলেও কেন অপারেশন করা হলো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এখন চট্টগ্রামে আছি, কুমিল্লা ফিরে কথা বলব বলে সংযোগ কেটে দেন। এ বিষয়ে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের তদন্ত করা হবে, সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কুমিল্লায়

হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন

প্রতিনিধি, কুমিল্লা

কুমিল্লায় এক সার্জারি ডাক্তারের বিরুদ্ধে এক রোগীর হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ও জেলা সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দফতরে দফতরে এ অভিযোগ করা হয়। কুমেক-এর সহকারী অধ্যাপক ও নগরীর সিডি প্যাথ অ্যান্ড হসপিটালের খণ্ডকালীন ডা. জুবায়ের আহমদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড় এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আমিন উল্লাহর ছেলে রোগী আনিছুর রহমান।

অভিযোগে রোগী আনিছুর রহমান উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে হার্নিয়ার ব্যথার কারণে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে কুমেক হাসপাতালের একজন ডাক্তারের চিকিৎসা নেন। তারা রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর হার্নিয়া চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে হার্নিয়ার ব্যথা তীব্র অনুভব হলে তিনি কুমেক এর সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডা. জুবায়ের আহমদের (এমবিবিএস, এফিসিপিএস) স্মরণাপন্ন হলে তিনি পুনরায় রোগীর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নগরীর সিডি প্যাথ অ্যান্ড হসপিটাল (প্রা.) লি. এ ভর্তি হয়ে অপারেশনের পরামর্শ দেন। গত ২৪ জানুয়ারি ওই হসপিটালে ডা. জুবায়ের রোগীর অপারেশন করেন। অভিযোগে বলা হয়, কিছুদিন পর আবারও আগের মতো হার্নিয়ার ব্যথা হলে রোগী ওই ডাক্তারের নিকট যান। তখন ডাক্তার হার্নিয়ার পরিবর্তে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করে ফেলেছেন বলে ওই রোগীকে জানান। রোগী জানান, তার সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নরমাল উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ডা. জুবায়ের আহমদ অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের মাধ্যমে ভুল চিকিৎসার কারণে হার্নিয়ার তীব্র ব্যথা নিয়ে তিনি হার্ট ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আর্থিক ক্ষতিসহ জীবনঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এ বিষয়ে তিনি তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ডা. জুবায়ের আহমদ সেলফোনে বলেন, রোগীর (আনিছুর রহমান) অ্যাপেন্ডিসাইটিসেরও সমস্যা ছিল, তাই অপারেশন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর সঙ্গে আসা একজন বলেছে রোগীর অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা আছে। তবে রোগীর হার্নিয়ার সমস্যাও আছে। রোগীর সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নরমাল উল্লেখ থাকলেও কেন অপারেশন করা হলো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এখন চট্টগ্রামে আছি, কুমিল্লা ফিরে কথা বলব বলে সংযোগ কেটে দেন। এ বিষয়ে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের তদন্ত করা হবে, সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।