অমর একুশে গ্রন্থমেলার অষ্টম দিনে বইমেলায় নতুন বই এসেছে মোট ১১৬টি। এরমধ্যে গল্প ১৪টি, উপন্যাস ১৯টি, প্রবন্ধ ৫টি, কবিতা ৩০টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ২টি, শিশু সাহিত্য ৭টি, জীবনী ২টি, রচনাবলি ১টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৪টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান বিষয়ক ২টি, ভ্রমণ ২টি, ইতিহাস ৫টি, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ৬টি, অনুবাদ ১টি, সায়েন্স ফিকশন ৩০টি ও অন্যসব ১০টি। গতকাল অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৮ম দিনে মেলা চলে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মিল্টন বিশ্বাস রচিত ‘উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রশান্ত মৃধা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পাপড়ি রহমান ও মোজাফ্ফর হোসেন। লেখকের বক্তব্য প্রদান করেন মিল্টন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। সন্ধ্যায় ছিল কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রাবন্ধিক বলেন, উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থে লেখক মিল্টন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে যত উপন্যাস রচিত হয়েছে, সবকটিকেই আলোচনায় রেখেছেন। মিল্টন বিশ্বাস আলোচিত উপন্যাসগুলোর প্রতিটিতে সময় ও সমকালীন রাজনীতির ঘটনাক্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এসব উপন্যাসে ঔপন্যাসিকরা কাহিনী নির্মাণের জন্যে ভাষা এমনকি উপভাষা আর সংলাপের ক্ষেত্রে যে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে, তা আলোচনা করেছেন। উপন্যাসের কাহিনী উপস্থাপনায় প্রথাগত রীতির বাইরেও নানা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং কখনও ইতিহাসের উপকরণের হুবহু বর্ণনা, কখনও আবার আত্মজৈবনিক কৌশল কিংবা নিজের অনুভূতির প্রসারণ ঘটেছে আখ্যান বুননে।
আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখিত উপন্যাসগুলোকে শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক দুটি দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখার অবকাশ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সমার্থক। তিনি হলেন সেই মহামানব যার মধ্যদিয়ে আমরা স্বদেশকে উপলব্ধি করতে পারি। বাংলার ইতিহাসের এই মহান নেতাকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রেখে উপন্যাসের ভাষ্য নির্মাণ এবং সব ধরনের শিল্প মাধ্যমে তার গৌরবগাথা তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন।
গ্রন্থের লেখক বলেন, এ গ্রন্থ লেখার প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লিখিত সব উপন্যাস পাঠ আমার জন্য সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এসব উপন্যাসে ইতিহাসের নানা কাল-প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বহুমাত্রিক জীবনের চিত্র উঠে এসেছে।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি হৃদয়ের এত কাছের একজন মানুষ যে তাকে নিয়ে সাহিত্য রচনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ঔপন্যাসিককে এই আবেগের স্রোত এড়িয়ে নির্মোহভাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উপন্যাস লিখতে হবে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর কীর্তিময় জীবনগাথা সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে।
কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি হালিম আজাদ, শাকিরা পারভীন, বায়তুল্লাহ কাদেরী এবং নাজমুল হুসাইন বিদ্যুৎ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, শুচিতা সপর্যা। সংগীত পরিবেশন করেন ফকির আজমল শাহ, মো. আনোয়ার হোসেন, কাঙালিনি সুফিয়া, আমজাদ দেওয়ান, মমতা দাসী বাউল এবং প্রশান্ত সরকার। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন গৌতম মজুমদার (তবলা), মো. হোসেন আলী (বাঁশি), নওফেল বাদশা (দোতারা), শিবনাথ শিবু (বাংলা ঢোল), বাউল মিলন (মন্দিরা)।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন পারভেজ হোসেন, ওবায়েদ আকাশ, মোস্তফা হোসেইন এবং খায়রুল বাবুই।
আজকের অনুষ্ঠান :
আজ অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৯ম দিনে মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে দিব্যদ্যুতি সরকার রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাশিদ আসকারী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সাহিদা বেগম ও আশফাক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আবুল মোমেন। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, ঢাবি
অমর একুশে গ্রন্থমেলার অষ্টম দিনে বইমেলায় নতুন বই এসেছে মোট ১১৬টি। এরমধ্যে গল্প ১৪টি, উপন্যাস ১৯টি, প্রবন্ধ ৫টি, কবিতা ৩০টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ২টি, শিশু সাহিত্য ৭টি, জীবনী ২টি, রচনাবলি ১টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৪টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান বিষয়ক ২টি, ভ্রমণ ২টি, ইতিহাস ৫টি, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ৬টি, অনুবাদ ১টি, সায়েন্স ফিকশন ৩০টি ও অন্যসব ১০টি। গতকাল অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৮ম দিনে মেলা চলে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মিল্টন বিশ্বাস রচিত ‘উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রশান্ত মৃধা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পাপড়ি রহমান ও মোজাফ্ফর হোসেন। লেখকের বক্তব্য প্রদান করেন মিল্টন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। সন্ধ্যায় ছিল কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রাবন্ধিক বলেন, উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থে লেখক মিল্টন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে যত উপন্যাস রচিত হয়েছে, সবকটিকেই আলোচনায় রেখেছেন। মিল্টন বিশ্বাস আলোচিত উপন্যাসগুলোর প্রতিটিতে সময় ও সমকালীন রাজনীতির ঘটনাক্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এসব উপন্যাসে ঔপন্যাসিকরা কাহিনী নির্মাণের জন্যে ভাষা এমনকি উপভাষা আর সংলাপের ক্ষেত্রে যে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে, তা আলোচনা করেছেন। উপন্যাসের কাহিনী উপস্থাপনায় প্রথাগত রীতির বাইরেও নানা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং কখনও ইতিহাসের উপকরণের হুবহু বর্ণনা, কখনও আবার আত্মজৈবনিক কৌশল কিংবা নিজের অনুভূতির প্রসারণ ঘটেছে আখ্যান বুননে।
আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখিত উপন্যাসগুলোকে শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক দুটি দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখার অবকাশ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সমার্থক। তিনি হলেন সেই মহামানব যার মধ্যদিয়ে আমরা স্বদেশকে উপলব্ধি করতে পারি। বাংলার ইতিহাসের এই মহান নেতাকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রেখে উপন্যাসের ভাষ্য নির্মাণ এবং সব ধরনের শিল্প মাধ্যমে তার গৌরবগাথা তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন।
গ্রন্থের লেখক বলেন, এ গ্রন্থ লেখার প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লিখিত সব উপন্যাস পাঠ আমার জন্য সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এসব উপন্যাসে ইতিহাসের নানা কাল-প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বহুমাত্রিক জীবনের চিত্র উঠে এসেছে।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি হৃদয়ের এত কাছের একজন মানুষ যে তাকে নিয়ে সাহিত্য রচনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ঔপন্যাসিককে এই আবেগের স্রোত এড়িয়ে নির্মোহভাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উপন্যাস লিখতে হবে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর কীর্তিময় জীবনগাথা সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে।
কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি হালিম আজাদ, শাকিরা পারভীন, বায়তুল্লাহ কাদেরী এবং নাজমুল হুসাইন বিদ্যুৎ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, শুচিতা সপর্যা। সংগীত পরিবেশন করেন ফকির আজমল শাহ, মো. আনোয়ার হোসেন, কাঙালিনি সুফিয়া, আমজাদ দেওয়ান, মমতা দাসী বাউল এবং প্রশান্ত সরকার। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন গৌতম মজুমদার (তবলা), মো. হোসেন আলী (বাঁশি), নওফেল বাদশা (দোতারা), শিবনাথ শিবু (বাংলা ঢোল), বাউল মিলন (মন্দিরা)।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন পারভেজ হোসেন, ওবায়েদ আকাশ, মোস্তফা হোসেইন এবং খায়রুল বাবুই।
আজকের অনুষ্ঠান :
আজ অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৯ম দিনে মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে দিব্যদ্যুতি সরকার রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাশিদ আসকারী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সাহিদা বেগম ও আশফাক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আবুল মোমেন। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।