সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বৃহৎ কলেবরের একটি সংখ্যা প্রকাশ করেছে। গতকাল বিকেল ৫টায় লালমাটিয়ার বেঙ্গল বইয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত।
শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের একটি অগ্রন্থিত কবিতা পাঠ করেন হাসান আরিফ।
কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত বলেন, ৩১ প্রবন্ধ ও একগুচ্ছ কবিতায় তার বহুমুখী রাজনৈতিক কর্মধারা, বাঙ্গালিত্বের সাধনা, অসাম্প্রদায়িক বোধ প্রসারে অঙ্গীকার, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন, মানবিকতা এবং নবগঠিত রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কল্যান ও ন্যায়ভিক্তিক সমাজনির্মাণের জন্য যে দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে আলোচনায় প্রয়াসী হয়েছি। বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন বলেন, আমরা এই দেশের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই জনগণের নেতা, সব বাঙ্গালির প্রাণের নেতা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এই সংখ্যাটি বাংলা সাহিত্যে একটি মূল্যবান সংযোজন। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ ও ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত অনেক পছন্দ করতেন। এমনকি ১০ জানুয়ারির ভাষণ শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শণ তাকে আজো অভিভূত করে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করার এক সহজাত ক্ষমতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল। কিন্তু তিনি কখনও বিভেদ করতেন না। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙ্গালিকেই তিনি ভালবাসতেন।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৭ মাঘ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |
সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কালি ও কলম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বৃহৎ কলেবরের একটি সংখ্যা প্রকাশ করেছে। গতকাল বিকেল ৫টায় লালমাটিয়ার বেঙ্গল বইয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত।
শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের একটি অগ্রন্থিত কবিতা পাঠ করেন হাসান আরিফ।
কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত বলেন, ৩১ প্রবন্ধ ও একগুচ্ছ কবিতায় তার বহুমুখী রাজনৈতিক কর্মধারা, বাঙ্গালিত্বের সাধনা, অসাম্প্রদায়িক বোধ প্রসারে অঙ্গীকার, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন, মানবিকতা এবং নবগঠিত রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কল্যান ও ন্যায়ভিক্তিক সমাজনির্মাণের জন্য যে দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে আলোচনায় প্রয়াসী হয়েছি। বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন বলেন, আমরা এই দেশের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই জনগণের নেতা, সব বাঙ্গালির প্রাণের নেতা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এই সংখ্যাটি বাংলা সাহিত্যে একটি মূল্যবান সংযোজন। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ ও ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত অনেক পছন্দ করতেন। এমনকি ১০ জানুয়ারির ভাষণ শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শণ তাকে আজো অভিভূত করে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করার এক সহজাত ক্ষমতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল। কিন্তু তিনি কখনও বিভেদ করতেন না। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙ্গালিকেই তিনি ভালবাসতেন।