বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এখনও অনিশ্চিত

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ঘোষণা দিলেও বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আপত্তির কারণে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার অনিশ্চয়তা কাটছে না। অপেক্ষাকৃত ছোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাবি ও বুয়েটসহ বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজি না হলে ছোট বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষও সমন্বিত পরীক্ষায় না আসার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠকে অনেক উপাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নে ঢাবি ও বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। বৈঠকে জাতীর স্বার্থে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আওতায় আসার আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) জন্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পরিকল্পনা আটকে থাকবে না। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ঢাবি ও বুয়েট সিদ্ধান্তহীনতার জন্য গোটা জাতির আকাক্সক্ষা অপূর্ণ থাকতে পারে না।’গতকাল ইউজিসিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক বৈঠকে এমন মতামত উঠে এসেছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, চট্টগ্রাম প্রকেশৈল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শেখ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ প্রমুখ।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ইউজিসি ঘোষণা দেয়, চলতি বছর থেকেই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই মত পোষণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। তবে ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে পরিচালিত চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি, চবি, রাবি, জাবি) এবং বুয়েট এখনও এ বিষয়ে কথা দেয়নি।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শীঘ্রই ইউজিসি বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। যদিও ভর্তি প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন বা স্বাতন্ত্র বজায় রাখতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একমত হতে পারছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝেও। সমন্বিত পরীক্ষার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু।

গতকাল বৈঠকে রুয়েট উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘বুয়েট হচ্ছে প্রাচীন প্রতিষ্ঠান, তারা আমাদের আদর্শ, তাই বুয়েটকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা চাই ইউজিসির আহ্বানে বুয়েট এগিয়ে আসবে, নতুবা এটি বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।’

চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘ইউজিসির সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাই। বুয়েট যদি পাশে থাকে তবে গুচ্ছ পদ্ধতিকে আমরা এগিয়ে নেব, তবে বুয়েট অংশগ্রহণ না করলে চুয়েট থাকবে না।’

কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমাদ বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে, তবে বড় কোন বিশ্ববিদ্যালয় না এলে এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের বাধার মুখে পড়তে হবে।’

উপাচার্যদের মতামতের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সব স্থান থেকে আমরা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এ বিষয়ে কিছু চাপও রয়েছে; এতে কিছু আসে যায় না। অভিভাবক ও নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব। কারও ইগো যেন অন্যদের প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

ইউরোপ ও ভারতে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কেন সেটি বাস্তবায়ন করতে পারব না? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে না। তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য অন্যদের ভোগান্তি হবে তা মেনে নেয়া হবে না। আমরা জাতির স্বার্থে যে কোন মূল্যে সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। যদি কেউ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না আসে তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়বে। আমরা এবার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। এটি চালু হলে আগামীতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না।’

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে-মন্তব্য করে ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু ও সান্ধ্যকোর্স বন্ধে আপনারা (উপাচার্য) এগিয়ে এলে শিক্ষক সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি।’

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নে আগামী বুধবার ইউজিসিতে পরবর্তী সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ঢাবি ও বুয়েট উপাচার্যসহ ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

আরও খবর
গণপরিবহনে লাগামহীন ভাড়া
সড়ক দুর্ঘটনা ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
বোনের মৃত্যু শোককে শক্তিতে পরিণত করে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে এনেছে আকবর
আনন্দে মেতেছে সারাদেশ
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের প্লট ও সম্মানি দেয়ার দাবি সংসদে
বিশ্বসেরা আরচার রোমান সানা
আনসার আল ইসলামের ৫ জঙ্গি গ্রেফতার
ফিরতি টিকিট ৫০ শতাংশ করার দাবি
চীন থেকে আর কাউকে আনবে না সরকার
ভোট পুনর্যাচাই ঘুড়ি নয়, ঝুড়ি জিতেছে
চীন থেকে আসা একজনকে রংপুর থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর
দুই কিশোরী ধর্ষণ
তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে
কলকাতা বইমেলা ২০২১ বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে
ক্ষণগণনা : আর ৩৪ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৮ মাঘ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এখনও অনিশ্চিত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ঘোষণা দিলেও বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আপত্তির কারণে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার অনিশ্চয়তা কাটছে না। অপেক্ষাকৃত ছোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাবি ও বুয়েটসহ বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজি না হলে ছোট বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষও সমন্বিত পরীক্ষায় না আসার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠকে অনেক উপাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নে ঢাবি ও বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। বৈঠকে জাতীর স্বার্থে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আওতায় আসার আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) জন্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পরিকল্পনা আটকে থাকবে না। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ঢাবি ও বুয়েট সিদ্ধান্তহীনতার জন্য গোটা জাতির আকাক্সক্ষা অপূর্ণ থাকতে পারে না।’গতকাল ইউজিসিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক বৈঠকে এমন মতামত উঠে এসেছে। ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, চট্টগ্রাম প্রকেশৈল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শেখ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ প্রমুখ।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ইউজিসি ঘোষণা দেয়, চলতি বছর থেকেই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই মত পোষণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। তবে ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে পরিচালিত চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি, চবি, রাবি, জাবি) এবং বুয়েট এখনও এ বিষয়ে কথা দেয়নি।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শীঘ্রই ইউজিসি বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। যদিও ভর্তি প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন বা স্বাতন্ত্র বজায় রাখতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একমত হতে পারছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝেও। সমন্বিত পরীক্ষার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু।

গতকাল বৈঠকে রুয়েট উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘বুয়েট হচ্ছে প্রাচীন প্রতিষ্ঠান, তারা আমাদের আদর্শ, তাই বুয়েটকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা চাই ইউজিসির আহ্বানে বুয়েট এগিয়ে আসবে, নতুবা এটি বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।’

চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘ইউজিসির সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাই। বুয়েট যদি পাশে থাকে তবে গুচ্ছ পদ্ধতিকে আমরা এগিয়ে নেব, তবে বুয়েট অংশগ্রহণ না করলে চুয়েট থাকবে না।’

কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমাদ বলেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে, তবে বড় কোন বিশ্ববিদ্যালয় না এলে এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের বাধার মুখে পড়তে হবে।’

উপাচার্যদের মতামতের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সব স্থান থেকে আমরা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এ বিষয়ে কিছু চাপও রয়েছে; এতে কিছু আসে যায় না। অভিভাবক ও নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব। কারও ইগো যেন অন্যদের প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

ইউরোপ ও ভারতে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কেন সেটি বাস্তবায়ন করতে পারব না? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে না। তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য অন্যদের ভোগান্তি হবে তা মেনে নেয়া হবে না। আমরা জাতির স্বার্থে যে কোন মূল্যে সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। যদি কেউ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না আসে তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়বে। আমরা এবার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। এটি চালু হলে আগামীতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না।’

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে-মন্তব্য করে ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু ও সান্ধ্যকোর্স বন্ধে আপনারা (উপাচার্য) এগিয়ে এলে শিক্ষক সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি।’

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নে আগামী বুধবার ইউজিসিতে পরবর্তী সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে ঢাবি ও বুয়েট উপাচার্যসহ ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।