সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৭ জন নিহত, ১১৪১ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত, ১০ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ৫৮ জন আহত এবং ৩০ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, ২ দশমিক ৫ শতাংশ নিহতের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করে সংগঠনটি। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৪০ জন চালক, ১৩৭ জন পথচারী, ৮২ জন নারী, ৬৮ জন ছাত্রছাত্রী, ৪৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৭ জন শিশু, ০৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন চিকিৎসক, ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৭ জন শিক্ষক, ১ জন প্রকৌশলী। এ সব দুর্ঘটনায় ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ বাস, ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ১২ দশমিক ২১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
মোট দুর্ঘটনার ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ খাদে পড়ে, ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ চাকায় ওড়না প্যাঁচিয়ে এবং ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বেপরোয়া গতির কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১ দশমিক ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়নের ফলে যানবাহনের গতি বাড়ার কারণে জাতীয় মহাসড়কে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ফিডার রোডে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও আঞ্চলিক মহাসড়কে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে। জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৬ জানুয়ারি এই দিনে ৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ৭৩ জন আহত হয়। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ২৬ জানুয়ারি এই দিনে ০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ০৯ জন নিহত ০৮ জন আহত হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।।
এ বিষয়ে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যানবাহনের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা, বিপদজনক অভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ছোট যানবাহন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৮ মাঘ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৭ জন নিহত, ১১৪১ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত, ১০ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ৫৮ জন আহত এবং ৩০ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, ২ দশমিক ৫ শতাংশ নিহতের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করে সংগঠনটি। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৪০ জন চালক, ১৩৭ জন পথচারী, ৮২ জন নারী, ৬৮ জন ছাত্রছাত্রী, ৪৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৭ জন শিশু, ০৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন চিকিৎসক, ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৭ জন শিক্ষক, ১ জন প্রকৌশলী। এ সব দুর্ঘটনায় ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ বাস, ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ১২ দশমিক ২১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
মোট দুর্ঘটনার ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ খাদে পড়ে, ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ চাকায় ওড়না প্যাঁচিয়ে এবং ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বেপরোয়া গতির কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১ দশমিক ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়নের ফলে যানবাহনের গতি বাড়ার কারণে জাতীয় মহাসড়কে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ফিডার রোডে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও আঞ্চলিক মহাসড়কে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে। জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৬ জানুয়ারি এই দিনে ৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ৭৩ জন আহত হয়। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ২৬ জানুয়ারি এই দিনে ০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ০৯ জন নিহত ০৮ জন আহত হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।।
এ বিষয়ে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যানবাহনের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা, বিপদজনক অভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ছোট যানবাহন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।