রাজধানীর কদমতলী এলাকার একটি বাসায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই কিশোরী। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো, রানা ব্যাপারী, সোহেল ব্যাপারী ও আক্তার আলী। তারা সবাই কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। গতকাল সকালে কদমতলী থানার এসআই পঙ্কজ এ তথ্য জানান। ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরীর বয়স ১৩ ও ১৫ বছর। দুই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেছে পুলিশ। এসআই জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে তার বাবা-মা বাসায় রেখে বাইরে যান। তার সঙ্গে ছিল ১৩ বছরের আরেক কিশোরী। রাত ১০টার দিকে তিন লোক ওই বাসায় ঢুকে হাত-পা বেঁধে দুই কিশোরীকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। রোববার সকালে বিষয়টি কিশোরীরা তাদের স্বজনদের জানায়। এরপর তারা কদমতলী থানায় মামলা করে।
কদমতলী থানার পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, কিশোরী দুইজন বান্ধবী। তাদের দুইজনকে বাসায় রেখে বাবা-মা বাইরে গিয়েছিলেন। ওই সময় তারা ধর্ষণের শিকার হয়। অভিযোগ পেয়ে তিন জনকেই গ্রেফতার করেছি। তাদের সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত। এখনও আর কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এদিকে, দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলায় তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। কদমতলী থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহাবুব আলম সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৮ মাঘ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর কদমতলী এলাকার একটি বাসায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই কিশোরী। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো, রানা ব্যাপারী, সোহেল ব্যাপারী ও আক্তার আলী। তারা সবাই কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। গতকাল সকালে কদমতলী থানার এসআই পঙ্কজ এ তথ্য জানান। ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরীর বয়স ১৩ ও ১৫ বছর। দুই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেছে পুলিশ। এসআই জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে তার বাবা-মা বাসায় রেখে বাইরে যান। তার সঙ্গে ছিল ১৩ বছরের আরেক কিশোরী। রাত ১০টার দিকে তিন লোক ওই বাসায় ঢুকে হাত-পা বেঁধে দুই কিশোরীকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে। রোববার সকালে বিষয়টি কিশোরীরা তাদের স্বজনদের জানায়। এরপর তারা কদমতলী থানায় মামলা করে।
কদমতলী থানার পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, কিশোরী দুইজন বান্ধবী। তাদের দুইজনকে বাসায় রেখে বাবা-মা বাইরে গিয়েছিলেন। ওই সময় তারা ধর্ষণের শিকার হয়। অভিযোগ পেয়ে তিন জনকেই গ্রেফতার করেছি। তাদের সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত। এখনও আর কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এদিকে, দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের মামলায় তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। কদমতলী থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহাবুব আলম সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।