সাগর-রুনি হত্যার ৮ বছর

তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে

৭১ বার পেছাল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ৮ বছর আজ। ৮ বছর পরেও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে। মূলত কোন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ খোঁজেন। এরপর আসামি শনাক্তকরণের চেষ্টা করেন, কোন ধরনের ক্লু পেতে জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এসব একটি মামলা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ের কার্যক্রম, ৮ বছর তদন্তের পরও সাগর-রুনি হত্যা মামলা ঠিক এরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। এখনও আসামি শনাক্তকরণ, জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও নিহতদের খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছে তদন্ত সংস্থা।

এদিকে গতকাল এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে নির্ধা?রিত দিনে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম। তাই ঢাকার মে?ট্রোপ?লিটন ম্যা?জি?স্ট্র্রেট দেবব্রত বিশ্বাস প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফের ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। এ নি?য়ে প্র?তি?বেদন দা?খি?লের তা?রিখ ৭১ বার পেছাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম বলেন, গতকাল প্রতিবেদন দেইনি, আরও সময় লাগবে। তিনি আবার বলেন, সময় চেয়েছি‘ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোর্ট কতো তারিখ ধার্য করেছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা তো কোর্ট সিদ্ধান্ত দিবে, কোর্টের সিদ্ধান্ত এখনও পাইনি।

প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্ব হচ্ছে কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, আসামি শনাক্তকরণ হয়নি, এ কারণে দেরি হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে কে জড়িত? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটি আমার জানা নেই। তবে এ ঘটনায় ৬ জন কারাগারে রয়েছে। চলতি বছরে প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব কিনা, তাও নিশ্চিত নন তিনি। মামলার আইও বলেন, তিনি গত মে মাসে মামলার দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই মামলাটি সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানেন না। তবে মামলার তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই বলেও জানান তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তার মন্তব্যে বুঝা যায়, তিনি এখনও মামলাটি সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল নন। আইও হিসেবে তিনি মামলাটি মাত্র বুঝতে চেষ্টা করছেন। খন্দকার শফিকুল আলমের আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন র‌্যাবের আরেকজন এএসপি মহিউদ্দিন আহমেদ। তার আমলেও কোন আগ্রগতি ছিল না। তিনিও প্রতিবেদন দাখিল করতে না পেরে বার বার সময় চেয়েছিলেন। ৭০ বারের মতো প্রতিবেদন দাখিলে দিন অর্থাৎ গত ১১ ন?ভেম্বর এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ ক?রেন হাইকোর্ট। মামলার আইও র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম সে?দিন উচ্চ আদালতকে জানান, তদন্তে কোন ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি মিলেছে। এ দুটিতে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরের দিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। তবে এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র‌্যাবকে। সেই থেকে ৮ বছর পেরিয়ে গেলে এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। তবে এর আগে দাখিল করা প্রতিবেদনে ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার কথা বলা হলেও চুরি যাওয়া ল্যাপটপ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বঁটি, ছুরির বাঁট, সাগর-রুনির পরনের কাপড়, সাগরের হাত-পা যে কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়েছিল সেই কাপড় ও রুনির পরনের টি-শার্ট পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরিতে।

এর আগে ৫৫ প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পাওয়া গেছে। সে রিপোর্ট ও অপরাধচিত্রের প্রতিবেদন (ক্রাইম সিন রিপোর্ট) পর্যালোচনায় দুইজন পুরুষের ডিএনএর পূর্ণাঙ্গ প্রফাইল পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত ৮ আসামি, নিহত দুইজন এবং স্বজন মিলে ২১ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল। এসব পরীক্ষায় সন্দেহভাজন খুনি শনাক্ত হয়নি। এই মামলায় গ্রেফতারকৃত ৮ জনের মধ্যে পাঁচজন- রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণ মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতার দেখানো হয় পারিবারিক বন্ধু তানভীর এবং বাসার নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও হুমায়ূন কবীর। এদের মধ্যে তানভীর, মিন্টু ও পলাশ হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছে।

ঢিলেঢালাভাবে তদন্ত চলায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবার। মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তো আদালতকে একটা কিছু জানাবেন। কিন্তু কোন ফলোআপই জানাচ্ছেন না, আগ্রগতিই নাই। বরং বার বার সময় নিচ্ছেন, সর্বশেষ গতকালও সময় চেয়েছেন। আদালতও যেখানে বার বার সময় দিচ্ছেন, সেখানে আমাদের আর কী বলার আছে!

image
আরও খবর
গণপরিবহনে লাগামহীন ভাড়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এখনও অনিশ্চিত
সড়ক দুর্ঘটনা ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
বোনের মৃত্যু শোককে শক্তিতে পরিণত করে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে এনেছে আকবর
আনন্দে মেতেছে সারাদেশ
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষে জাতির জন্য উপহার প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের প্লট ও সম্মানি দেয়ার দাবি সংসদে
বিশ্বসেরা আরচার রোমান সানা
আনসার আল ইসলামের ৫ জঙ্গি গ্রেফতার
ফিরতি টিকিট ৫০ শতাংশ করার দাবি
চীন থেকে আর কাউকে আনবে না সরকার
ভোট পুনর্যাচাই ঘুড়ি নয়, ঝুড়ি জিতেছে
চীন থেকে আসা একজনকে রংপুর থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর
দুই কিশোরী ধর্ষণ
কলকাতা বইমেলা ২০২১ বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে
ক্ষণগণনা : আর ৩৪ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৮ মাঘ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সাগর-রুনি হত্যার ৮ বছর

তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে

৭১ বার পেছাল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

মাসুদ রানা |

image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ৮ বছর আজ। ৮ বছর পরেও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে। মূলত কোন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ খোঁজেন। এরপর আসামি শনাক্তকরণের চেষ্টা করেন, কোন ধরনের ক্লু পেতে জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এসব একটি মামলা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ের কার্যক্রম, ৮ বছর তদন্তের পরও সাগর-রুনি হত্যা মামলা ঠিক এরুপ প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। এখনও আসামি শনাক্তকরণ, জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও নিহতদের খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছে তদন্ত সংস্থা।

এদিকে গতকাল এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে নির্ধা?রিত দিনে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম। তাই ঢাকার মে?ট্রোপ?লিটন ম্যা?জি?স্ট্র্রেট দেবব্রত বিশ্বাস প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফের ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন। এ নি?য়ে প্র?তি?বেদন দা?খি?লের তা?রিখ ৭১ বার পেছাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম বলেন, গতকাল প্রতিবেদন দেইনি, আরও সময় লাগবে। তিনি আবার বলেন, সময় চেয়েছি‘ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোর্ট কতো তারিখ ধার্য করেছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা তো কোর্ট সিদ্ধান্ত দিবে, কোর্টের সিদ্ধান্ত এখনও পাইনি।

প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্ব হচ্ছে কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, আসামি শনাক্তকরণ হয়নি, এ কারণে দেরি হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে কে জড়িত? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটি আমার জানা নেই। তবে এ ঘটনায় ৬ জন কারাগারে রয়েছে। চলতি বছরে প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব কিনা, তাও নিশ্চিত নন তিনি। মামলার আইও বলেন, তিনি গত মে মাসে মামলার দায়িত্ব পেয়েছেন। তাই মামলাটি সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানেন না। তবে মামলার তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই বলেও জানান তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তার মন্তব্যে বুঝা যায়, তিনি এখনও মামলাটি সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল নন। আইও হিসেবে তিনি মামলাটি মাত্র বুঝতে চেষ্টা করছেন। খন্দকার শফিকুল আলমের আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন র‌্যাবের আরেকজন এএসপি মহিউদ্দিন আহমেদ। তার আমলেও কোন আগ্রগতি ছিল না। তিনিও প্রতিবেদন দাখিল করতে না পেরে বার বার সময় চেয়েছিলেন। ৭০ বারের মতো প্রতিবেদন দাখিলে দিন অর্থাৎ গত ১১ ন?ভেম্বর এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ ক?রেন হাইকোর্ট। মামলার আইও র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম সে?দিন উচ্চ আদালতকে জানান, তদন্তে কোন ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি মিলেছে। এ দুটিতে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরের দিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। তবে এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র‌্যাবকে। সেই থেকে ৮ বছর পেরিয়ে গেলে এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। তবে এর আগে দাখিল করা প্রতিবেদনে ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার কথা বলা হলেও চুরি যাওয়া ল্যাপটপ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বঁটি, ছুরির বাঁট, সাগর-রুনির পরনের কাপড়, সাগরের হাত-পা যে কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়েছিল সেই কাপড় ও রুনির পরনের টি-শার্ট পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরিতে।

এর আগে ৫৫ প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পাওয়া গেছে। সে রিপোর্ট ও অপরাধচিত্রের প্রতিবেদন (ক্রাইম সিন রিপোর্ট) পর্যালোচনায় দুইজন পুরুষের ডিএনএর পূর্ণাঙ্গ প্রফাইল পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত ৮ আসামি, নিহত দুইজন এবং স্বজন মিলে ২১ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল। এসব পরীক্ষায় সন্দেহভাজন খুনি শনাক্ত হয়নি। এই মামলায় গ্রেফতারকৃত ৮ জনের মধ্যে পাঁচজন- রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণ মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতার দেখানো হয় পারিবারিক বন্ধু তানভীর এবং বাসার নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও হুমায়ূন কবীর। এদের মধ্যে তানভীর, মিন্টু ও পলাশ হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছে।

ঢিলেঢালাভাবে তদন্ত চলায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবার। মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তো আদালতকে একটা কিছু জানাবেন। কিন্তু কোন ফলোআপই জানাচ্ছেন না, আগ্রগতিই নাই। বরং বার বার সময় নিচ্ছেন, সর্বশেষ গতকালও সময় চেয়েছেন। আদালতও যেখানে বার বার সময় দিচ্ছেন, সেখানে আমাদের আর কী বলার আছে!