বিডিওএসএনের উদ্যোগে নারীদের জন্য ক্যারিয়ার টক

লেখাপড়ার গন্ডি পেরোনোর আগেই নিজের লক্ষ্য এবং চাকরির ক্ষেত্রের সম্যক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা থাকলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে টিকে থাকা সহজ হয়ে যায়। নারীদের সেই সময়ের জন্য প্রস্তুত করতে এবং সঠিক নির্দেশনা দিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) আয়োজন করেছে এই ক্যারিয়ার টক এবং নারীদের নিয়ে জব এক্সপোজার ভিজিট।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও বিডিওএসএন এর যৌথ আয়োজনে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে আয়োজিত হয় এই ক্যারিয়ার টক। ক্যারিয়ার টকের মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি প্রধান মুনির হাসান।

অনুষ্ঠানে মুনির হাসান বলেন, “আমাদের চারপাশে তথ্যপ্রযুক্তির ধরন এবং এর ব্যবহারের দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতের কাজের ধারা কেমন হবে আমরা সঠিকভাবে বলতে পারিনা, কিন্তু ধারণা করতে পারি। ২০২২ সালের মাঝে পৃথিবীজুড়ে প্রায় ২ মিলিয়ন প্রোগ্রামার এর সংকট দেখা দেবে, কমপক্ষে ৬০% ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইটি নির্ভর হয়ে যাবে, ৪০% ব্যবসায়িক লেনদেন হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে তৈরি হবে প্রায় ৬ মিলিয়ন কাজের সুযোগ, ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার ছাড়াও সুযোগ বাড়বে বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং কিংবা ডেটা মাইনিং এর কাজের। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার তখনই সম্ভব যখন তথ্যপ্রযুক্তির ওপর থাকবে সম্পূর্ণ দখল”। কিভাবে প্রস্তুত হতে হবে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নিজের দক্ষতার এবং আগ্রহের জায়গা খুঁজে বের করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত তা পরিচর্যা করতে হবে। আজ যে দক্ষতা প্রয়োজন কাল তার কদর নাও থাকতে পারে। তাই তথ্যপ্রযুক্তির চলমান ধারার সঙ্গে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ থাকতে হবে যাতে সময়ের সঙ্গে নিজের দক্ষতার পরিধি বাড়ানো যায়, না হলে অনেক কাজের সুযোগ থাকলেও দেশের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে আর সেই সুযোগগুলো বিদেশিরা নিয়ে নিবে”।

ক্যারিয়ার টকে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মো. মাহফুজুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আয়নাল হক, ড. মো. আমিনুল হক প্রমুখ।

একইদিন বিকেলে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সাজগোজ পরিদর্শন করে বিডিওএসএন। সাজগোজের অনলাইনভিত্তিক প্রচারণা, ব্যবসায়িক প্রসার এবং সব কার্যক্রম ঘুরে দেখেন শিক্ষার্থীরা। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে সাজগোজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সারা দেশে তাদের পণ্য ভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে তা ঘুরে দেখেন শিক্ষার্থীরা এবং জেনে আসেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাদের কাজের সুযোগ সম্পর্কে।

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা করছেন এমন নারী শিক্ষার্থীরা যাতে যথাযত দক্ষতা এবং নির্দেশনার অভাবে ঝরে না পড়ে, সেজন্য বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের ৩ বছর মেয়াদি ইএসডিজি প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রমগুলো আয়োজন করছে বিডিওএসএন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৮ মাঘ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বিডিওএসএনের উদ্যোগে নারীদের জন্য ক্যারিয়ার টক

image

লেখাপড়ার গন্ডি পেরোনোর আগেই নিজের লক্ষ্য এবং চাকরির ক্ষেত্রের সম্যক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা থাকলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে টিকে থাকা সহজ হয়ে যায়। নারীদের সেই সময়ের জন্য প্রস্তুত করতে এবং সঠিক নির্দেশনা দিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) আয়োজন করেছে এই ক্যারিয়ার টক এবং নারীদের নিয়ে জব এক্সপোজার ভিজিট।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও বিডিওএসএন এর যৌথ আয়োজনে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে আয়োজিত হয় এই ক্যারিয়ার টক। ক্যারিয়ার টকের মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি প্রধান মুনির হাসান।

অনুষ্ঠানে মুনির হাসান বলেন, “আমাদের চারপাশে তথ্যপ্রযুক্তির ধরন এবং এর ব্যবহারের দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতের কাজের ধারা কেমন হবে আমরা সঠিকভাবে বলতে পারিনা, কিন্তু ধারণা করতে পারি। ২০২২ সালের মাঝে পৃথিবীজুড়ে প্রায় ২ মিলিয়ন প্রোগ্রামার এর সংকট দেখা দেবে, কমপক্ষে ৬০% ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইটি নির্ভর হয়ে যাবে, ৪০% ব্যবসায়িক লেনদেন হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে তৈরি হবে প্রায় ৬ মিলিয়ন কাজের সুযোগ, ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার ছাড়াও সুযোগ বাড়বে বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং কিংবা ডেটা মাইনিং এর কাজের। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার তখনই সম্ভব যখন তথ্যপ্রযুক্তির ওপর থাকবে সম্পূর্ণ দখল”। কিভাবে প্রস্তুত হতে হবে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নিজের দক্ষতার এবং আগ্রহের জায়গা খুঁজে বের করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত তা পরিচর্যা করতে হবে। আজ যে দক্ষতা প্রয়োজন কাল তার কদর নাও থাকতে পারে। তাই তথ্যপ্রযুক্তির চলমান ধারার সঙ্গে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ থাকতে হবে যাতে সময়ের সঙ্গে নিজের দক্ষতার পরিধি বাড়ানো যায়, না হলে অনেক কাজের সুযোগ থাকলেও দেশের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে আর সেই সুযোগগুলো বিদেশিরা নিয়ে নিবে”।

ক্যারিয়ার টকে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মো. মাহফুজুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আয়নাল হক, ড. মো. আমিনুল হক প্রমুখ।

একইদিন বিকেলে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সাজগোজ পরিদর্শন করে বিডিওএসএন। সাজগোজের অনলাইনভিত্তিক প্রচারণা, ব্যবসায়িক প্রসার এবং সব কার্যক্রম ঘুরে দেখেন শিক্ষার্থীরা। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে সাজগোজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সারা দেশে তাদের পণ্য ভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে তা ঘুরে দেখেন শিক্ষার্থীরা এবং জেনে আসেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাদের কাজের সুযোগ সম্পর্কে।

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা করছেন এমন নারী শিক্ষার্থীরা যাতে যথাযত দক্ষতা এবং নির্দেশনার অভাবে ঝরে না পড়ে, সেজন্য বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের ৩ বছর মেয়াদি ইএসডিজি প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রমগুলো আয়োজন করছে বিডিওএসএন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।