বিশেষ তহবিল গঠন অনুমোদনে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে

ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১০৮ পয়েন্ট মূলধন ফিরেছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

টানা পাঁচ দিন পতনের পর হঠাৎ বড় উত্থান হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। গতকাল দেশের দুই বাজারেই সূচকের বড় ত্থানের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১০৮ পয়েন্ট বা প্রায় দুই শতাংশ। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ২৫১ পয়েন্ট। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বাজার মূলধন। গতকাল ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে তফসিলি ব্যাংককে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়ায় গতকাল পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। শেয়ারবাজার নিয়ে সারকারের ওপর মহল উদ্যোগ নেয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। তাদের মতে, স্টেকহোল্ডারদের একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানাচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শেয়ারবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে তহবিল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছিল না। এখন তহবিল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সোমবার পর্যন্ত টানা পাঁচ কার্যদিবস পতন হলে ওই দিন রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেক ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সুবিধা দেয়ায় মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধান দাঁড়ায় তিন লাখ ৪১ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। যা আগের দিন ছিল তিন লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে পাঁচ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। মূলধন বাড়ার অর্থ হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম সম্মেলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

বড় অঙ্কের বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান ঘটে। মাত্র পাঁচ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সমতলে বাড়তে থাকে সূচক।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৪৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৫১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২৯৬টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪০টির। আর ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের গতি। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৫০৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ২৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০২টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৩০টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এর আগে গত ৫-১৪ জানুয়ারি শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঘটে। এর প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বিএসইসির শীর্ষ কর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফিরে বিএসইসি ঘোষণা দেয়, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে শেয়ারবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর ১৯ জানুয়ারি শেয়াবাজারে বড় উত্থান হয়। এতে একদিনেই ডিএসইতে ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন বাড়ে। আর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে সাড়ে পাঁচ শতাংশের ওপরে। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে আবার পতনে পতিত হয় শেয়ারবাজার।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ১১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৫২ লাখ ৭৪ হাজার ৬২১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের। ব্যাংক এশিয়া ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা উত্তরা ব্যাংক ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইস্টার্ন কেবলস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, এমএল ডাইং, এসকে ট্রিমস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকম লিমিটেড।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৯ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বিশেষ তহবিল গঠন অনুমোদনে বড় উত্থান পুঁজিবাজারে

ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১০৮ পয়েন্ট মূলধন ফিরেছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

image

টানা পাঁচ দিন পতনের পর হঠাৎ বড় উত্থান হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। গতকাল দেশের দুই বাজারেই সূচকের বড় ত্থানের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১০৮ পয়েন্ট বা প্রায় দুই শতাংশ। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ২৫১ পয়েন্ট। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বাজার মূলধন। গতকাল ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে তফসিলি ব্যাংককে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়ায় গতকাল পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। শেয়ারবাজার নিয়ে সারকারের ওপর মহল উদ্যোগ নেয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। তাদের মতে, স্টেকহোল্ডারদের একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানাচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শেয়ারবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে তহবিল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছিল না। এখন তহবিল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সোমবার পর্যন্ত টানা পাঁচ কার্যদিবস পতন হলে ওই দিন রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেক ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সুবিধা দেয়ায় মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধান দাঁড়ায় তিন লাখ ৪১ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। যা আগের দিন ছিল তিন লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে পাঁচ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। মূলধন বাড়ার অর্থ হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম সম্মেলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

বড় অঙ্কের বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান ঘটে। মাত্র পাঁচ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সমতলে বাড়তে থাকে সূচক।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৪৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৫১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২৯৬টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪০টির। আর ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের গতি। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৫০৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৩৪০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ২৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০২টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৩০টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এর আগে গত ৫-১৪ জানুয়ারি শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঘটে। এর প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বিএসইসির শীর্ষ কর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফিরে বিএসইসি ঘোষণা দেয়, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে শেয়ারবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর ১৯ জানুয়ারি শেয়াবাজারে বড় উত্থান হয়। এতে একদিনেই ডিএসইতে ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন বাড়ে। আর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে সাড়ে পাঁচ শতাংশের ওপরে। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে আবার পতনে পতিত হয় শেয়ারবাজার।

ব্লক মার্কেট : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার ব্লক মার্কেটে মোট ১১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৫২ লাখ ৭৪ হাজার ৬২১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের। ব্যাংক এশিয়া ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা উত্তরা ব্যাংক ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইস্টার্ন কেবলস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, এমএল ডাইং, এসকে ট্রিমস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকম লিমিটেড।