আইপিও’র অর্থ ব্যবহারের আগে বোনাস ইস্যু নয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ যথাযথ ব্যবহার সম্পন্ন না হওয়া পরযন্ত কোম্পানির পর্ষদ কোন প্রকার বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র জানায়, এছাড়া আজকের সভায় কোম্পানির আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের ৬৩ কোটি টাকা ব্যবহারের সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর আগে রানার অটোমোবাইলসের এজিএমে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা ৬৩ কোটি টাকা ব্যবহারের সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

জানা গেছে, সংশোধিত প্রস্তাব অনুসারে কোম্পানিটি সিএনজি ও এলপিজি চালিত তিন চাকার যান উৎপাদনের প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। গত ২৮ অক্টোবর, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইপিওর প্রসপেক্টাসে যেসব খাতে টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল, তার পরিবর্তে তা নতুন থ্রি হুইলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা বিদ্যমান টু হুইলার (মোটরসাইকেল ও স্কুটি) যানের পাশাপাশি থ্রি হুইলার উৎপাদন করবে। এতে একদিকে উৎপাদন উপকরণের ব্যয় কমবে, অন্যদিকে বিকাশমান এই বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করা যাবে। তাতে কোম্পানির বিক্রি, আয় ও মুনাফা বাড়বে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি মাসে ৩ হাজার এবং বছরে ৩০ হাজার থ্রি হুইলার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

রানার অটোমোবাইলস আইপিওর মাধ্যম বাজার থকে ১০০ কোট টাকা সংগ্রহ করেছিল। এই অর্থ থেকে কোম্পানিটি ৩৩ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছে। আইপিওতে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। বাকি রয়েছে ৬৩ কোটি টাকা। আইপিওর প্রসপেক্টাস অনুসারে, এই টাকা রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, নতুন মেশিনারি ক্রয়, ডাই অ্যান্ড মোল্ড ক্রয়, বিদ্যমান ৮০ সিসি ও ১১০ সিসি মোটরসাইকেলের উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে ব্যয় করার কথা ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আলোচিত অর্থ এই খাতে ব্যয় না করে থ্রি হুইলার উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে ব্যয় করা হবে।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৯ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

রানার অটো

আইপিও’র অর্থ ব্যবহারের আগে বোনাস ইস্যু নয়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ যথাযথ ব্যবহার সম্পন্ন না হওয়া পরযন্ত কোম্পানির পর্ষদ কোন প্রকার বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র জানায়, এছাড়া আজকের সভায় কোম্পানির আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের ৬৩ কোটি টাকা ব্যবহারের সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর আগে রানার অটোমোবাইলসের এজিএমে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা ৬৩ কোটি টাকা ব্যবহারের সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

জানা গেছে, সংশোধিত প্রস্তাব অনুসারে কোম্পানিটি সিএনজি ও এলপিজি চালিত তিন চাকার যান উৎপাদনের প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। গত ২৮ অক্টোবর, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইপিওর প্রসপেক্টাসে যেসব খাতে টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল, তার পরিবর্তে তা নতুন থ্রি হুইলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা বিদ্যমান টু হুইলার (মোটরসাইকেল ও স্কুটি) যানের পাশাপাশি থ্রি হুইলার উৎপাদন করবে। এতে একদিকে উৎপাদন উপকরণের ব্যয় কমবে, অন্যদিকে বিকাশমান এই বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করা যাবে। তাতে কোম্পানির বিক্রি, আয় ও মুনাফা বাড়বে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি মাসে ৩ হাজার এবং বছরে ৩০ হাজার থ্রি হুইলার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

রানার অটোমোবাইলস আইপিওর মাধ্যম বাজার থকে ১০০ কোট টাকা সংগ্রহ করেছিল। এই অর্থ থেকে কোম্পানিটি ৩৩ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছে। আইপিওতে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। বাকি রয়েছে ৬৩ কোটি টাকা। আইপিওর প্রসপেক্টাস অনুসারে, এই টাকা রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, নতুন মেশিনারি ক্রয়, ডাই অ্যান্ড মোল্ড ক্রয়, বিদ্যমান ৮০ সিসি ও ১১০ সিসি মোটরসাইকেলের উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে ব্যয় করার কথা ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আলোচিত অর্থ এই খাতে ব্যয় না করে থ্রি হুইলার উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে ব্যয় করা হবে।