বিশ্বজয়ী আকবরদের রাজসিক বরণ

বীরের মতো দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের বিশ্বজয়ী যুবারা। আকবর, হৃদয়, শরিফুলদের বহন করা এমিরেটসের বিমানটি গতকাল বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়া যুবাদের জমকালো আয়োজনে বরণ করে নেয় বিসিবি। বিমানবন্দরই উদযাপনের ব্যবস্থা করে তারা। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু আয়োজন বাদ দেয় বিসিবি। দমকল বাহিনীর রংধনু বানিয়ে গার্ড অব অনার দেয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। বিমানবন্দর থেকে নামার পর বিজয়ী দলের সবাইকে মিষ্টিমুখ করিয়ে ফুলের মালা পরানো হয়। পরে ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি লাউঞ্জে। এরপর সেখান আকবরদের বহনকারী গাড়ি রহনা হয় বিসিবির উদেশ্যে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেই গাড়িতে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বিসিবির পরিচালকরা। এদিকে বিমানবন্দরে লাউঞ্জের বাইরে ক্রিকেটারদের স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেয় হাজারও ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিমানবন্দর থেকে বিসিবিতে যাওয়ার পথেও বিশেষ পরিকল্পনা ছিল বিসিবির। কিন্তু দিনের আলো নেই বলে এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে তারা। ক্রীড়াপ্রেমীরা রাস্তায় মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে আকবের শুভেচ্ছা জানতে ভুলিনি। আকবরেদের গাড়ি আশপাশে ছিল হাজার খানেক মোটরসাইকেল।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল বলেন, ‘যে সাফল্য আমরা পেয়েছি তাতে পুরো দেশ আনন্দিত। অতীতে এত বড় সাফল্য আমরা পাইনি। এই সাফল্যের ধারা অব্যহত রাখতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা করব। শুক্রবার সংবর্ধনার কথা ভাবলেও বিসিবি সময় চেয়েছে। পরের শুক্রবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আমরা সংবর্ধনা করে ফেলব।’

বিসিবিতে দল পৌঁছানের পর ছোট্ট একটি বৈঠক করে কর্মকর্তা ও খেলোয়াররা। মিডিয়ার সামনে নিজেদের অনুভূতি জানায় বিসিবির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের একটাই কথা, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছে। এখন এই উদিত সূর্যের পরিচর্যা করতে হবে ভালোভাবে। সামনে এগিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।’ মিডিয়ার সামনে উদ্ভাসিত সাফল্য এবং যুবাদের বিশ্বসেরা হওয়া নিয়ে কথা বলেন বিসিবি পরিচালক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির, আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জালাল ইউনুস ও নাদের চৌধুরী। তাদের সবার কথার একটাই ভাব ছিল যে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অবিস্মরণীয় অর্জন। ক্রিকেটে নতুন সূর্যের দেখা। তবে এই সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে দেশের ক্রিকেট উত্তরণ ও উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ। বোর্ড সে চিন্তা-ভাবনাই করছে এখন থেকে।’

image

গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটজয়ী আকবরদের অভ্যর্থনা জানায় বিসিবি -সংবাদ

আরও খবর
প্রতি মাসে এক লাখ টাকা করে পাবেন আকবররা
মুজিববর্ষে দেশের সব ঘরে আলো জ্বালাব : প্রধানমন্ত্রী
ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলবে না
সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অর্থনীতি ও মেগা প্রকল্পে প্রভাব পড়বে না চীনা রাষ্ট্রদূত
এক মশার কামড়ে চার ধরনের ভাইরাস ছড়ায়
১৯ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা
১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা ইলিয়াস কাঞ্চনের
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৌদি সরকার কিছু বলেনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্ষণগণনা : আর ৩২ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩০ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বিশ্বজয়ী আকবরদের রাজসিক বরণ

মো. ইমরান হোসেন

image

গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটজয়ী আকবরদের অভ্যর্থনা জানায় বিসিবি -সংবাদ

বীরের মতো দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের বিশ্বজয়ী যুবারা। আকবর, হৃদয়, শরিফুলদের বহন করা এমিরেটসের বিমানটি গতকাল বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়া যুবাদের জমকালো আয়োজনে বরণ করে নেয় বিসিবি। বিমানবন্দরই উদযাপনের ব্যবস্থা করে তারা। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু আয়োজন বাদ দেয় বিসিবি। দমকল বাহিনীর রংধনু বানিয়ে গার্ড অব অনার দেয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। বিমানবন্দর থেকে নামার পর বিজয়ী দলের সবাইকে মিষ্টিমুখ করিয়ে ফুলের মালা পরানো হয়। পরে ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি লাউঞ্জে। এরপর সেখান আকবরদের বহনকারী গাড়ি রহনা হয় বিসিবির উদেশ্যে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেই গাড়িতে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বিসিবির পরিচালকরা। এদিকে বিমানবন্দরে লাউঞ্জের বাইরে ক্রিকেটারদের স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেয় হাজারও ক্রীড়াপ্রেমীরা। বিমানবন্দর থেকে বিসিবিতে যাওয়ার পথেও বিশেষ পরিকল্পনা ছিল বিসিবির। কিন্তু দিনের আলো নেই বলে এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে তারা। ক্রীড়াপ্রেমীরা রাস্তায় মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে আকবের শুভেচ্ছা জানতে ভুলিনি। আকবরেদের গাড়ি আশপাশে ছিল হাজার খানেক মোটরসাইকেল।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল বলেন, ‘যে সাফল্য আমরা পেয়েছি তাতে পুরো দেশ আনন্দিত। অতীতে এত বড় সাফল্য আমরা পাইনি। এই সাফল্যের ধারা অব্যহত রাখতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা করব। শুক্রবার সংবর্ধনার কথা ভাবলেও বিসিবি সময় চেয়েছে। পরের শুক্রবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আমরা সংবর্ধনা করে ফেলব।’

বিসিবিতে দল পৌঁছানের পর ছোট্ট একটি বৈঠক করে কর্মকর্তা ও খেলোয়াররা। মিডিয়ার সামনে নিজেদের অনুভূতি জানায় বিসিবির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের একটাই কথা, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছে। এখন এই উদিত সূর্যের পরিচর্যা করতে হবে ভালোভাবে। সামনে এগিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।’ মিডিয়ার সামনে উদ্ভাসিত সাফল্য এবং যুবাদের বিশ্বসেরা হওয়া নিয়ে কথা বলেন বিসিবি পরিচালক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির, আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জালাল ইউনুস ও নাদের চৌধুরী। তাদের সবার কথার একটাই ভাব ছিল যে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অবিস্মরণীয় অর্জন। ক্রিকেটে নতুন সূর্যের দেখা। তবে এই সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে দেশের ক্রিকেট উত্তরণ ও উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ। বোর্ড সে চিন্তা-ভাবনাই করছে এখন থেকে।’