সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা

আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২০-২০২১) থেকেই দেশের সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে কীভাবে ও কোন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা হবে, সে কাজ শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় ভর্তিপরীক্ষা নিয়ে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে। ভর্তির এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে ইউজিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার রূপরেখা ও পরীক্ষা পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় যথাসময়ে জানানো হবে।’

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রাবি) মোট ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

যদিও ঢাবি, বুয়েট, চবি ও জাবি-এই চার বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ায় আসবে কিনা, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা বলেছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।

বৈঠক শেষে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিমত পোষণ করেনি। তারা বলেছে, প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বৈঠক শেষে ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। একই সিদ্ধান্তের কথা জানান, চবি জাবি ও বুয়েটের উপাচার্যরা।

গত মঙ্গলবার ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সভা করে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তিপরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে একমত হন। এছাড়া ভর্তিপরীক্ষা নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার ব্যাপারেও একমত হন।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ইউজিসির এক সভায় সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করে এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয় ভর্তিপরীক্ষা’।

গতকালের সভায় অন্যদের মধ্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, জাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩০ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই

সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০২০-২০২১) থেকেই দেশের সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে কীভাবে ও কোন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা হবে, সে কাজ শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় ভর্তিপরীক্ষা নিয়ে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে। ভর্তির এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে ইউজিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার রূপরেখা ও পরীক্ষা পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় যথাসময়ে জানানো হবে।’

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রাবি) মোট ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

যদিও ঢাবি, বুয়েট, চবি ও জাবি-এই চার বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ায় আসবে কিনা, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা বলেছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।

বৈঠক শেষে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিমত পোষণ করেনি। তারা বলেছে, প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বৈঠক শেষে ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। একই সিদ্ধান্তের কথা জানান, চবি জাবি ও বুয়েটের উপাচার্যরা।

গত মঙ্গলবার ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সভা করে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তিপরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে একমত হন। এছাড়া ভর্তিপরীক্ষা নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার ব্যাপারেও একমত হন।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ইউজিসির এক সভায় সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করে এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয় ভর্তিপরীক্ষা’।

গতকালের সভায় অন্যদের মধ্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, জাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।