খালেদার মুক্তি দাবি করেও কোন সাড়া পাইনি ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, আমরা বার বার তার মুক্তি দাবি করেছি, জামিন চেয়েছি এবং মুক্তির মধ্য দিয়ে তার চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। তবে আমরা সরকারের কাছে থেকে কোন সাড়া পাইনি। আমরা আশা করব, অতি দ্রুত মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।

গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দুপুর ২টায় নয়াপল্টন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল বিএনপির। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে তা পারেনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেলের সভাপত্বিতে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মইন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আ. সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুই বছর সাত মাস তাকে বিনা অপরাধে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। জনগণের কোন ম্যানডেড না নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য সরকার নির্যাতন-নিপীড়নকে বেছে নিয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে তারা খুন, গুম করেছে।

তিনি বলেন, বিক্ষোভ মিছিল পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশ সকাল থেকেই এ এলাকায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ফজলুল হক মিলনসহ প্রায় ১০-১২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এসবের মাধ্যমে সরকার জনগণের প্রাণের দাবি খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির দাবিকে দমিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে জনগণের মতো দাবিকে দমন করা যায় না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে দু’বছর ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়া বন্দী মানে পুরো বাংলাদেশ বন্দী।

মির্জা আব্বাস বলেন, এ জনসমুদ্র দেশনেত্রীর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। গুম করে জেলে বন্দী করে প্রতিবাদ বন্ধ করা যাবে না। দেশনেত্রী বন্দী, স্বাধীনতা বন্দী, গণতন্ত্র বন্দী, পুরো বাংলাদেশ আজ বন্দী। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বাংলাদেশ মুক্ত করতে হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, মায়ের মুক্তি বাংলাদেশের মুক্তি। মায়ের মুক্তি গণতন্ত্রের মুক্তি। সুতরাং গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

আরও খবর
কর্মকর্তাদের বেপরোয়া গাড়িবিলাস
আ’লীগ সরকার সার্বিক উন্নয়নে বিশ্বাসী : প্রধানমন্ত্রী
কোয়ারেন্টাইন শেষে বাড়ি ফিরছেন ৩১৬ জন
৭৯২ জন নাগরিকের নিরাপত্তায় একজন পুলিশ
নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত
অবৈধ আড়াইশ’ ইটভাটা
স্বামী ও বন্ধুর হাতে বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে শিক্ষক রমজান আলী বহিষ্কার
‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ কমাবে খরচ বাঁচাবে কৃষি
মাকে হাতুড়ির আঘাতে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা
শামীমাকে গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ২২৬০টি কলেজে আনন্দ র‌্যালি হবে
ক্ষণগণনা : আর ২৯ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা
চলচ্চিত্র তারকাসহ ২০ হাজার আইডি হ্যাক
আগামী মাসেই তীব্র গরমের পূর্বাভাস

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩ ফল্গুন ১৪২৬, ২১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

খালেদার মুক্তি দাবি করেও কোন সাড়া পাইনি ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, আমরা বার বার তার মুক্তি দাবি করেছি, জামিন চেয়েছি এবং মুক্তির মধ্য দিয়ে তার চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। তবে আমরা সরকারের কাছে থেকে কোন সাড়া পাইনি। আমরা আশা করব, অতি দ্রুত মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।

গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দুপুর ২টায় নয়াপল্টন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল বিএনপির। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে তা পারেনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেলের সভাপত্বিতে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মইন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আ. সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুই বছর সাত মাস তাকে বিনা অপরাধে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। জনগণের কোন ম্যানডেড না নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য সরকার নির্যাতন-নিপীড়নকে বেছে নিয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে তারা খুন, গুম করেছে।

তিনি বলেন, বিক্ষোভ মিছিল পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। এ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশ সকাল থেকেই এ এলাকায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ফজলুল হক মিলনসহ প্রায় ১০-১২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এসবের মাধ্যমে সরকার জনগণের প্রাণের দাবি খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির দাবিকে দমিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে জনগণের মতো দাবিকে দমন করা যায় না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে দু’বছর ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়া বন্দী মানে পুরো বাংলাদেশ বন্দী।

মির্জা আব্বাস বলেন, এ জনসমুদ্র দেশনেত্রীর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। গুম করে জেলে বন্দী করে প্রতিবাদ বন্ধ করা যাবে না। দেশনেত্রী বন্দী, স্বাধীনতা বন্দী, গণতন্ত্র বন্দী, পুরো বাংলাদেশ আজ বন্দী। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বাংলাদেশ মুক্ত করতে হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, মায়ের মুক্তি বাংলাদেশের মুক্তি। মায়ের মুক্তি গণতন্ত্রের মুক্তি। সুতরাং গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।