ভেনিজুয়েলায় রাজনৈতিক সংকট

গুইদোকে গ্রেফতারের আভাস প্রেসিডেন্ট মাদুরোর

ভেনিজুয়েলার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, আদালতের আদেশ না থাকায় স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোকে এতদিন গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাকে গ্রেফতার করা যাবে কিনা বা কখন করা যাবে- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশে বিদ্যমান বিচার ব্যবস্থা। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক বৈঠকে গুইদোকে গ্রেফতারের এমন ইঙ্গিত দেন মাদুরো। আল-জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সফর করে ভেনিজুয়েলায় ফিরেছেন ৩৬ বছর বয়সী দেশটির বিরোধী নেতা গুইদো। তার পক্ষ থেকে পরিচালিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি এ বিদেশ সফর করেছেন। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণই তার একমাত্র লক্ষ্য।

তার দেশত্যাগের ওপর আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তাকে দেশে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছে। গুইদোর দেশে ফেরার তিন দিন পর সাংবাদিকদের সঙ্গে শুক্রবারের এ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। সেখানে তিনি বলেন, ‘গুইদো যেসব অপরাধ করেছেন সেজন্য তাকে কারাবন্দী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেনিজুয়েলার বিচার ব্যবস্থা। তবে সেই সময় এখনও আসেনি। কিন্তু শিগগিরই আসবে।’ এ প্রসঙ্গে রাজনীতি বিশ্লেষক ও মাদুরোবিরোধীদের অভিমত, ভেনিজুয়েলার বিচার ব্যবস্থাকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে দেখা হয় না। আর এটা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সক্রিয় অংশ বলে বিবেচিত হয়। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে গত বছর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হলে তার সুযোগ নিয়ে নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ার গুইদো। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন মাদুরো সরকার অভিযোগ করে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন গুইদো।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩ ফল্গুন ১৪২৬, ২১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ভেনিজুয়েলায় রাজনৈতিক সংকট

গুইদোকে গ্রেফতারের আভাস প্রেসিডেন্ট মাদুরোর

সংবাদ ডেস্ক |

image

ভেনিজুয়েলার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, আদালতের আদেশ না থাকায় স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোকে এতদিন গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাকে গ্রেফতার করা যাবে কিনা বা কখন করা যাবে- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশে বিদ্যমান বিচার ব্যবস্থা। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক বৈঠকে গুইদোকে গ্রেফতারের এমন ইঙ্গিত দেন মাদুরো। আল-জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ সফর করে ভেনিজুয়েলায় ফিরেছেন ৩৬ বছর বয়সী দেশটির বিরোধী নেতা গুইদো। তার পক্ষ থেকে পরিচালিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি এ বিদেশ সফর করেছেন। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণই তার একমাত্র লক্ষ্য।

তার দেশত্যাগের ওপর আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তাকে দেশে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছে। গুইদোর দেশে ফেরার তিন দিন পর সাংবাদিকদের সঙ্গে শুক্রবারের এ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো। সেখানে তিনি বলেন, ‘গুইদো যেসব অপরাধ করেছেন সেজন্য তাকে কারাবন্দী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেনিজুয়েলার বিচার ব্যবস্থা। তবে সেই সময় এখনও আসেনি। কিন্তু শিগগিরই আসবে।’ এ প্রসঙ্গে রাজনীতি বিশ্লেষক ও মাদুরোবিরোধীদের অভিমত, ভেনিজুয়েলার বিচার ব্যবস্থাকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে দেখা হয় না। আর এটা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সক্রিয় অংশ বলে বিবেচিত হয়। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে গত বছর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হলে তার সুযোগ নিয়ে নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ার গুইদো। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন মাদুরো সরকার অভিযোগ করে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন গুইদো।