কোচিং বাণিজ্য ও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের আহ্বান

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্কুল-কলেজ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করার প্রস্তাব করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষক নেতারা। তারা জনসংখ্যা অনুপাতে শিক্ষায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ, নিয়মিত যুগোপযোগী শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও সরকারি বেসরকারি নির্বিশেষে সব শিক্ষকের পেশা-সোপান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে স্কুল-কলেজে শিক্ষকতায় চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। সভায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ স্তরে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠন, অভিভাবক ও শিক্ষা উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন ও এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর বেসিক অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন (অ্যাসবে) এর সদস্য-সংগঠন ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) সভাকক্ষে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শক হিসেবে রেখে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকের যৌথ ক্ষমতায়নে দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্কুল কলেজ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা, কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ, জনসংখ্যা অনুপাতে শিক্ষায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ, নিয়মিত যুগোপযোগী শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও সরকারি বেসরকারি নির্বিশেষে সব শিক্ষকের পেশা-সোপান নিশ্চিত করতে হবে।’

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘২০০০ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭ লক্ষ্য অর্জনের জাতিসংঘ ঘোষিত কর্মসূচির প্রাসঙ্গিকতায় শিক্ষা এখন নির্দিষ্ট কোন দেশের পরিধিতে সীমিত নয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্কুল কলেজে শিক্ষকতায় শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনা, কারিকুলাম ও পাঠ্যক্রম যথাযথভাবে অনুসরণের সঙ্গে বিশ^নাগরিকত্ব পাঠদান, সর্বোপরি শিক্ষার সঙ্গে কর্মজগতের নিবিড় সংযোগ স্থাপন ও নাগরিক মূল্যবোধ অর্জন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’

প্রবীণ শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ একেএম আসাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের মাছুম বিল্লাহ, ইউসেপ প্রতিনিধি শরীফ গোলাম কবির, গণসাক্ষরতা অভিযানের কেএম এনামুল হক, ব্লাস্টের আফসানা বেগম, স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক প্রতিনিধিদের মধ্যে অধ্যক্ষ ফয়েজ হোসেন, মহসিন রেজা, সিদ্দিকুর রহমান, ইলিয়াস আল মাহমুদ, অধ্যক্ষ কানাই লাল রায়, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩ ফল্গুন ১৪২৬, ২১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কোচিং বাণিজ্য ও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধের আহ্বান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্কুল-কলেজ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করার প্রস্তাব করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষক নেতারা। তারা জনসংখ্যা অনুপাতে শিক্ষায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ, নিয়মিত যুগোপযোগী শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও সরকারি বেসরকারি নির্বিশেষে সব শিক্ষকের পেশা-সোপান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে স্কুল-কলেজে শিক্ষকতায় চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। সভায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ স্তরে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠন, অভিভাবক ও শিক্ষা উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন ও এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর বেসিক অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশন (অ্যাসবে) এর সদস্য-সংগঠন ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) সভাকক্ষে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শক হিসেবে রেখে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকের যৌথ ক্ষমতায়নে দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্কুল কলেজ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা, কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ, জনসংখ্যা অনুপাতে শিক্ষায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ, নিয়মিত যুগোপযোগী শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও সরকারি বেসরকারি নির্বিশেষে সব শিক্ষকের পেশা-সোপান নিশ্চিত করতে হবে।’

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘২০০০ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭ লক্ষ্য অর্জনের জাতিসংঘ ঘোষিত কর্মসূচির প্রাসঙ্গিকতায় শিক্ষা এখন নির্দিষ্ট কোন দেশের পরিধিতে সীমিত নয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্কুল কলেজে শিক্ষকতায় শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনা, কারিকুলাম ও পাঠ্যক্রম যথাযথভাবে অনুসরণের সঙ্গে বিশ^নাগরিকত্ব পাঠদান, সর্বোপরি শিক্ষার সঙ্গে কর্মজগতের নিবিড় সংযোগ স্থাপন ও নাগরিক মূল্যবোধ অর্জন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।’

প্রবীণ শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ একেএম আসাদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের মাছুম বিল্লাহ, ইউসেপ প্রতিনিধি শরীফ গোলাম কবির, গণসাক্ষরতা অভিযানের কেএম এনামুল হক, ব্লাস্টের আফসানা বেগম, স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক প্রতিনিধিদের মধ্যে অধ্যক্ষ ফয়েজ হোসেন, মহসিন রেজা, সিদ্দিকুর রহমান, ইলিয়াস আল মাহমুদ, অধ্যক্ষ কানাই লাল রায়, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।