খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে পেরোলের আবেদন করতে হবে তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জিঘাংসা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, বরং বিএনপি এটা করে। ২০০৪ সালে বিএনপির আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করার পরেই কেবল পেরোলের জন্য আবেদন করতে পারেন। এরপর সরকার তার আবেদনের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ প্রাঙ্গণে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মচারীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামস-উল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার কর্তৃত্ব সরকারের নেই। যদি সরকার এই কর্তৃত্ব খাটাতে চায়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে, যা সংবিধান অনুমোদন দেয় না। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্দোলন অথবা রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির কোন পথ নেই। তার জেল থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।

বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে ফোনালাপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় তারা (বিএনপি) বলেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনে যাবেন, অন্যদিকে, তার মুক্তির জন্য আমাদের সাধারণ সম্পাদককে ফোন দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলের কোন আবেদন করা হয়নি। তার পরিবারের বরাত দিয়ে এক ধরনের কথা, আবার দলের পক্ষ থেকে আরেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) আসলে কি চান, সেটা এখনও তারা স্পষ্ট করতে পারেননি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়মিত তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসা বিশ্বমানের। সরকার তাকে কারাগারে না রেখে হাসপাতালে রেখেছে। তার পছন্দের গৃহ-পরিচারিকাকে সঙ্গে থাকতে দেয়া হয়েছে। তার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বদা আন্তরিক।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জিঘাংসা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, বরং বিএনপি এটা করে। ২০০৪ সালে বিএনপির আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার দ্বিতীয় পুত্রের মৃত্যুতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার বাড়ির দরজায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি (খালেদা জিয়া) দরজা খোলেননি। এগুলো আমরা মনে রাখিনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে রাখেননি।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৩ ফল্গুন ১৪২৬, ২১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে পেরোলের আবেদন করতে হবে তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জিঘাংসা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, বরং বিএনপি এটা করে। ২০০৪ সালে বিএনপির আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করার পরেই কেবল পেরোলের জন্য আবেদন করতে পারেন। এরপর সরকার তার আবেদনের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ প্রাঙ্গণে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মচারীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সামস-উল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার কর্তৃত্ব সরকারের নেই। যদি সরকার এই কর্তৃত্ব খাটাতে চায়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে, যা সংবিধান অনুমোদন দেয় না। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্দোলন অথবা রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির কোন পথ নেই। তার জেল থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।

বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে ফোনালাপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় তারা (বিএনপি) বলেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনে যাবেন, অন্যদিকে, তার মুক্তির জন্য আমাদের সাধারণ সম্পাদককে ফোন দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলের কোন আবেদন করা হয়নি। তার পরিবারের বরাত দিয়ে এক ধরনের কথা, আবার দলের পক্ষ থেকে আরেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) আসলে কি চান, সেটা এখনও তারা স্পষ্ট করতে পারেননি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়মিত তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসা বিশ্বমানের। সরকার তাকে কারাগারে না রেখে হাসপাতালে রেখেছে। তার পছন্দের গৃহ-পরিচারিকাকে সঙ্গে থাকতে দেয়া হয়েছে। তার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বদা আন্তরিক।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা জিঘাংসা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, বরং বিএনপি এটা করে। ২০০৪ সালে বিএনপির আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার দ্বিতীয় পুত্রের মৃত্যুতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার বাড়ির দরজায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি (খালেদা জিয়া) দরজা খোলেননি। এগুলো আমরা মনে রাখিনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে রাখেননি।