কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রিসভায় রদবদল কাদের

পারফরম্যান্স বা গতির জন্য সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় একটা রদবদল হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের কাজের গতি বাড়াতেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আর রদবদলের সম্ভবনা নেই। কাজের গতির জন্য, কাজের সুবিধার জন্য করা হয়েছে। হয়তো আমি যে স্থানে আছি প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন আমাকে অন্য আরেকটা স্থানে দিলে পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিমের ‘ডিমোশন’ হলো কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ডিমোশন-প্রমোশনের কোন বিষয় না। মন্ত্রী মন্ত্রীই, মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ই। গৃহায়ন মন্ত্রী তিনি যে মন্ত্রণালয় পেয়েছেন, এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশের মাছের বাজার খুবই বর্ধমান। মাছ থেকে আয়ের ক্ষেত্রে আমাদের পজিশন অনেক হাই। সেদিক থেকে বিচার করলে এই মন্ত্রণালয়কে খাটো করে দেখা যায় না। গণপূর্তে এক রকমের কাজ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে আরেক রকম কাজ। সব জায়গাতে কাজ আছে। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে কাকে দিয়ে কোন জায়গায় পারফরম্যান্স বেশি হবে সেটা প্রধানমন্ত্রী ভালো জানেন। যাকে দিয়ে কাজটা ভালো হবে সেটা প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। হয়তো তিনি মনে করেছেন গণপূর্তের চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে গৃহায়ন মন্ত্রী আরও ভালো কাজ করবেন, কাজে আরও গতি আসবে।

দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দেয়া নিয়ে পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার, এটি কোন রাজনৈতিক মামলা নয়। বিনা বিচারে তো ডিটেনশনে দেয়া হয়নি। দুর্নীতির মামলা আদালতের এখতিয়ার। মানবিক বিবেচনা করতে পারে একমাত্র আদালত। পর্দার অন্তরালে কিছুই নেই, সবকিছু ওপেন সিক্রেট। কোনোটারই সিক্রেসি থাকবে না, সিক্রেসির কালচার নেই। মুক্তির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। তার মুক্তির ব্যাপারে আলাপ করতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমি জানাবো এটা স্বাভাবিক, এটি রাজনৈতিক শালিনতা বিরোধী নয়। এখানে গোপনীয়তার কি আছে? মির্জা ফখরুল আবেদন করতেই পারেন। তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্য, আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি অবহিত করেছি। মানবিক কারণে মুক্তি চান, মুক্তি চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। তার কোন গোপনীয়তা নেই যে ফাঁস করে দিয়ে অন্যায় করেছি।

প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না আমাকে কিছু বলেননি। খালেদার প্যারোলের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। প্যারোল আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে করবেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখনও লিখিত এ আবেদন পাননি। প্যারোলের নিয়ম আছে একটি যুক্তিযুক্ত কারণে মুক্তি পায়। যুক্তিযুক্ত কিনা তা তো বিবেচনা করতে হয়।’ বিএনপি তাহলে কি ভুল পথে হাঁটছে-এমন প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভুল পথ না সঠিক পথ আপনারাই বলুন। আমি বলছি বিএনপি কোন পথে হাঁটছে, পথের তো জানা নেই। পথ মাঝে মাঝে বেঁকে যায়, কেউ বলছে আন্দোলন করে আবার কেউ মানবিক কারণে তার মুক্তি চায়। তাদের আগে ঠিক করতে বলুন কোন পথে মুক্তি চায়।

মহিউদ্দিন-নাসির বলয় ভাঙার জন্য আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এম রেজাউল করিমকে প্রার্থী করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে কোন বলয়ের বিষয় না। এখানে বিষয়টা হচ্ছে আমরা চেইঞ্জ করেছি, প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা রেজাউল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তার খুবই ক্লিন ইমেজ, সে কারণে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলবো ব্যাপারটি তদন্ত করে কোন প্রকার দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক।

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রিসভায় রদবদল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পারফরম্যান্স বা গতির জন্য সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় একটা রদবদল হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের কাজের গতি বাড়াতেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আর রদবদলের সম্ভবনা নেই। কাজের গতির জন্য, কাজের সুবিধার জন্য করা হয়েছে। হয়তো আমি যে স্থানে আছি প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন আমাকে অন্য আরেকটা স্থানে দিলে পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিমের ‘ডিমোশন’ হলো কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ডিমোশন-প্রমোশনের কোন বিষয় না। মন্ত্রী মন্ত্রীই, মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ই। গৃহায়ন মন্ত্রী তিনি যে মন্ত্রণালয় পেয়েছেন, এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশের মাছের বাজার খুবই বর্ধমান। মাছ থেকে আয়ের ক্ষেত্রে আমাদের পজিশন অনেক হাই। সেদিক থেকে বিচার করলে এই মন্ত্রণালয়কে খাটো করে দেখা যায় না। গণপূর্তে এক রকমের কাজ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে আরেক রকম কাজ। সব জায়গাতে কাজ আছে। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে কাকে দিয়ে কোন জায়গায় পারফরম্যান্স বেশি হবে সেটা প্রধানমন্ত্রী ভালো জানেন। যাকে দিয়ে কাজটা ভালো হবে সেটা প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। হয়তো তিনি মনে করেছেন গণপূর্তের চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে গৃহায়ন মন্ত্রী আরও ভালো কাজ করবেন, কাজে আরও গতি আসবে।

দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দেয়া নিয়ে পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার, এটি কোন রাজনৈতিক মামলা নয়। বিনা বিচারে তো ডিটেনশনে দেয়া হয়নি। দুর্নীতির মামলা আদালতের এখতিয়ার। মানবিক বিবেচনা করতে পারে একমাত্র আদালত। পর্দার অন্তরালে কিছুই নেই, সবকিছু ওপেন সিক্রেট। কোনোটারই সিক্রেসি থাকবে না, সিক্রেসির কালচার নেই। মুক্তির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। তার মুক্তির ব্যাপারে আলাপ করতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমি জানাবো এটা স্বাভাবিক, এটি রাজনৈতিক শালিনতা বিরোধী নয়। এখানে গোপনীয়তার কি আছে? মির্জা ফখরুল আবেদন করতেই পারেন। তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্য, আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি অবহিত করেছি। মানবিক কারণে মুক্তি চান, মুক্তি চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। তার কোন গোপনীয়তা নেই যে ফাঁস করে দিয়ে অন্যায় করেছি।

প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না আমাকে কিছু বলেননি। খালেদার প্যারোলের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। প্যারোল আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে করবেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখনও লিখিত এ আবেদন পাননি। প্যারোলের নিয়ম আছে একটি যুক্তিযুক্ত কারণে মুক্তি পায়। যুক্তিযুক্ত কিনা তা তো বিবেচনা করতে হয়।’ বিএনপি তাহলে কি ভুল পথে হাঁটছে-এমন প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভুল পথ না সঠিক পথ আপনারাই বলুন। আমি বলছি বিএনপি কোন পথে হাঁটছে, পথের তো জানা নেই। পথ মাঝে মাঝে বেঁকে যায়, কেউ বলছে আন্দোলন করে আবার কেউ মানবিক কারণে তার মুক্তি চায়। তাদের আগে ঠিক করতে বলুন কোন পথে মুক্তি চায়।

মহিউদ্দিন-নাসির বলয় ভাঙার জন্য আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এম রেজাউল করিমকে প্রার্থী করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে কোন বলয়ের বিষয় না। এখানে বিষয়টা হচ্ছে আমরা চেইঞ্জ করেছি, প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করে নতুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা রেজাউল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তার খুবই ক্লিন ইমেজ, সে কারণে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলবো ব্যাপারটি তদন্ত করে কোন প্রকার দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক।