বাগদাদে মার্কিন জোটের ঘাঁটিতে রকেট হামলা

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক ঘাঁটির সুরক্ষিত গ্রিন জোনে আবারও রকেট হামলা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোররাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় কেউ হতাহত বা কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাগদাদের গ্রিন জোনের ভিতরে এই ঘাঁটির পাশেই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। প্রায়ই এই দূতাবাসের কাছে বা কখনো কখনো দূতাবাসটিতেও রকেট হামলা হয়। কোনো পক্ষ এসব হামলার দায় স্বীকার না করলেও যুক্তরাষ্ট্র ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে এসব হামলার জন্য দায়ী করে আসছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাছে বেশ কয়েকটি রকেট আঘাত হেনেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। হামলার সময় সতর্কতামূলক সাইরেনও বাজানো হয় বলে জানা গেছে। এর আগে, ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক ঘাঁটি কে-ওয়ানে রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক সৈন্য নিহত হওয়ার পর তার জের অনেকদূর গড়ায়। সৈন্য হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হাশেদ আল শাবি মিলিশিয়ার বাহিনীর একটি উপদলের ওপর বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ৩০ জনেরও বেশি মিলিশিয়া নিহত হয়।

এর কয়েকদিনের মধ্যেই বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সুলেইমানি ও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হাশেদের উপপ্রধান আবু মাহদি আল মুহান্দিসও নিহত হন। তখনই এই দুই কমান্ডারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করে ইরান ও ইরাকের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারা।

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বাগদাদে মার্কিন জোটের ঘাঁটিতে রকেট হামলা

সংবাদ ডেস্ক |

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক ঘাঁটির সুরক্ষিত গ্রিন জোনে আবারও রকেট হামলা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোররাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় কেউ হতাহত বা কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাগদাদের গ্রিন জোনের ভিতরে এই ঘাঁটির পাশেই যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। প্রায়ই এই দূতাবাসের কাছে বা কখনো কখনো দূতাবাসটিতেও রকেট হামলা হয়। কোনো পক্ষ এসব হামলার দায় স্বীকার না করলেও যুক্তরাষ্ট্র ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে এসব হামলার জন্য দায়ী করে আসছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাছে বেশ কয়েকটি রকেট আঘাত হেনেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। হামলার সময় সতর্কতামূলক সাইরেনও বাজানো হয় বলে জানা গেছে। এর আগে, ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক ঘাঁটি কে-ওয়ানে রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক সৈন্য নিহত হওয়ার পর তার জের অনেকদূর গড়ায়। সৈন্য হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হাশেদ আল শাবি মিলিশিয়ার বাহিনীর একটি উপদলের ওপর বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ৩০ জনেরও বেশি মিলিশিয়া নিহত হয়।

এর কয়েকদিনের মধ্যেই বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সুলেইমানি ও তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হাশেদের উপপ্রধান আবু মাহদি আল মুহান্দিসও নিহত হন। তখনই এই দুই কমান্ডারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করে ইরান ও ইরাকের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারা।