ছয় হাজার মৃতদেহের সন্ধান বুরুন্ডির গণকবরে

আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিতে ছয়টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির কারসুরি প্রদেশের এসব গণকবরে ছয় হাজারেরও বেশি মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব গণকবরে মৃতদেহ ছাড়াও কয়েক হাজার গুলি পাওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটির সত্য ও পুনর্বাসন কমিশন।

বুরুন্ডির জনগোষ্ঠী তুতসি ও হুতু দুটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ২০০৫ সালে দেশটির গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে নিহত হয় প্রায় তিন লাখ মানুষ। উপনিবেশিক শোষণ, গৃহযুদ্ধ ছাড়াও ১৯৭২ সালে বুরুন্ডিতে বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ চলে। ধারণা করা হয়, দেশটির নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হুতুদের লক্ষ্য করে এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ওই হত্যাযজ্ঞের দিকে ইঙ্গিত করে দেশটির সত্য ও পুনর্বাসন কমিশনের চেয়ারম্যান পিয়েরে ক্লেভার নাদিয়েক্যারিয়ে বলেন, নিহতদের পরিবার ৪৮ বছর পর এসে নিরবতা ভাঙতে পারবে। পোশাক, চশমা ও আনুষঙ্গিক জিনিস ব্যবহার করে বেশ কিছ মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০১৪ সালে সত্য ও পুনর্বাসন কমিশন গঠন করে বুরুন্ডি সরকার। এ কমিশন ১৮৮৫ সালে বিদেশিদের আগমন থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সহিংসতার তদন্ত শুরু করে। এখনও পর্যন্ত কমিশনটি দেশটিতে চার হাজারেরও বেশি গণকবরের হদিস পেয়েছে। এতে ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মরদেহ পাওয়া গেছে।

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ছয় হাজার মৃতদেহের সন্ধান বুরুন্ডির গণকবরে

সংবাদ ডেস্ক |

image

আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিতে ছয়টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির কারসুরি প্রদেশের এসব গণকবরে ছয় হাজারেরও বেশি মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব গণকবরে মৃতদেহ ছাড়াও কয়েক হাজার গুলি পাওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটির সত্য ও পুনর্বাসন কমিশন।

বুরুন্ডির জনগোষ্ঠী তুতসি ও হুতু দুটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ২০০৫ সালে দেশটির গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে নিহত হয় প্রায় তিন লাখ মানুষ। উপনিবেশিক শোষণ, গৃহযুদ্ধ ছাড়াও ১৯৭২ সালে বুরুন্ডিতে বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ চলে। ধারণা করা হয়, দেশটির নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হুতুদের লক্ষ্য করে এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ওই হত্যাযজ্ঞের দিকে ইঙ্গিত করে দেশটির সত্য ও পুনর্বাসন কমিশনের চেয়ারম্যান পিয়েরে ক্লেভার নাদিয়েক্যারিয়ে বলেন, নিহতদের পরিবার ৪৮ বছর পর এসে নিরবতা ভাঙতে পারবে। পোশাক, চশমা ও আনুষঙ্গিক জিনিস ব্যবহার করে বেশ কিছ মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০১৪ সালে সত্য ও পুনর্বাসন কমিশন গঠন করে বুরুন্ডি সরকার। এ কমিশন ১৮৮৫ সালে বিদেশিদের আগমন থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সহিংসতার তদন্ত শুরু করে। এখনও পর্যন্ত কমিশনটি দেশটিতে চার হাজারেরও বেশি গণকবরের হদিস পেয়েছে। এতে ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মরদেহ পাওয়া গেছে।