শরীয়তপুর গতবছর বর্ষায় নড়িয়ার সাধুর বাজার এলাকায় ২শ ৬০ মিটার জায়গা স্থাপনাসহ পদ্মা নদীতে ধ্বসে যায়। তখন ওই এলাকার সাংসদ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম তা ভরাট করে জমির মালিকদের ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই ২৬০ মিটার নদীর অংশ বালু দিয়ে ভরাট করার কাজ শুরু করেছেন।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে নড়িয়ায় ভয়াবহ ভাঙন হয়েছে। তখন নড়িয়ার আট কিলোমিটার এলাকায় সাড়ে ছয় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়। নড়িয়ার নদী ভাঙন বন্ধ করতে সরকার ১০৯৭ কোটা টাকার প্রকল্প হাতে নেয়। ওই বছর ডিসেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজের মধ্যে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক নদীতে ও তীরে ফেলার কাজ এবং নদীর চর খনন চলছে। গতবছর ২৬ সেপ্টম্বর রাতে ওই প্রকল্পের উত্তর কেদারপুর এলাকায় বাঁধে ধস শুরু হয়। তখন বাঁধের ২৪৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২২০ মিটার প্রশস্ত জায়গা নদীতে বিলীন হয়। তখন ৩২টি পরিবারের স্থাপনাসহ জমি বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বিলীন হওয়া ওই জমি ভরাট করে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই জমি ভরাট করার জন্য পাউবো সে স্থানে সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষার ফলাফল ও নকশা তথ্য-উপাত্ত পাউবোর নকশা পরিদপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর ওই চার একর জমি ভরাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাউবো। বিলীন হওয়া ওই স্থানের ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৬০ মিটার হতে ৩০০ মিটার প্রশস্ত ও ৯০ ফুট গভীর জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ওই স্থানটি ভরাট করতে সাড়ে তিন লাখ ঘনফুট বালু নদীতে ফেলা হবে। পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, নড়িয়ার ভাঙন রোধের প্রকল্পে নদীর চর খনন কাজ চলছে। চরের ওই বালু নদীর দক্ষিন তীরে ভাঙনে বিলীন এলাকায় ফেলা হচ্ছে। ওই বালু নদীতে স্থায়ীভাবে থাকবে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। গত বছর ভাঙনের শিকার উত্তর কেদারপুর গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, নদীতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কল্পনাও করতে পারিনি বিলীন হওয়া জমি ভরাট করা হবে। এখন স্বপ্ন দেখছি ভরাট করা জমিতে আবার বসতি গড়তে পারব। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, নড়িয়ার ভাঙনের ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতায় নদীর তীর রক্ষা কাজটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনে আর কোন মানুষ যাতে গৃহহীন না হয় সে লক্ষ্য নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১
কাজী মনিরুজ্জামান মনির, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর গতবছর বর্ষায় নড়িয়ার সাধুর বাজার এলাকায় ২শ ৬০ মিটার জায়গা স্থাপনাসহ পদ্মা নদীতে ধ্বসে যায়। তখন ওই এলাকার সাংসদ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম তা ভরাট করে জমির মালিকদের ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই ২৬০ মিটার নদীর অংশ বালু দিয়ে ভরাট করার কাজ শুরু করেছেন।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে নড়িয়ায় ভয়াবহ ভাঙন হয়েছে। তখন নড়িয়ার আট কিলোমিটার এলাকায় সাড়ে ছয় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়। নড়িয়ার নদী ভাঙন বন্ধ করতে সরকার ১০৯৭ কোটা টাকার প্রকল্প হাতে নেয়। ওই বছর ডিসেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজের মধ্যে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক নদীতে ও তীরে ফেলার কাজ এবং নদীর চর খনন চলছে। গতবছর ২৬ সেপ্টম্বর রাতে ওই প্রকল্পের উত্তর কেদারপুর এলাকায় বাঁধে ধস শুরু হয়। তখন বাঁধের ২৪৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২২০ মিটার প্রশস্ত জায়গা নদীতে বিলীন হয়। তখন ৩২টি পরিবারের স্থাপনাসহ জমি বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বিলীন হওয়া ওই জমি ভরাট করে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই জমি ভরাট করার জন্য পাউবো সে স্থানে সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষার ফলাফল ও নকশা তথ্য-উপাত্ত পাউবোর নকশা পরিদপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর ওই চার একর জমি ভরাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাউবো। বিলীন হওয়া ওই স্থানের ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৬০ মিটার হতে ৩০০ মিটার প্রশস্ত ও ৯০ ফুট গভীর জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ওই স্থানটি ভরাট করতে সাড়ে তিন লাখ ঘনফুট বালু নদীতে ফেলা হবে। পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, নড়িয়ার ভাঙন রোধের প্রকল্পে নদীর চর খনন কাজ চলছে। চরের ওই বালু নদীর দক্ষিন তীরে ভাঙনে বিলীন এলাকায় ফেলা হচ্ছে। ওই বালু নদীতে স্থায়ীভাবে থাকবে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। গত বছর ভাঙনের শিকার উত্তর কেদারপুর গ্রামের হাসিনা বেগম বলেন, নদীতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কল্পনাও করতে পারিনি বিলীন হওয়া জমি ভরাট করা হবে। এখন স্বপ্ন দেখছি ভরাট করা জমিতে আবার বসতি গড়তে পারব। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, নড়িয়ার ভাঙনের ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতায় নদীর তীর রক্ষা কাজটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনে আর কোন মানুষ যাতে গৃহহীন না হয় সে লক্ষ্য নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।