এখন নারীরাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন সুপ্রিম কোর্ট

এবার পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্ব সংক্রান্ত এক মামলায় গতকাল এ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এনডিটিভি।

এক প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, এদিন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং অজয় রাস্তোগিরের দেয়া এই ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছে, ‘নারীদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাদের অধিকারের সম্পর্ক নেই। প্রয়োজনে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।’ এ সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্ব সংক্রান্ত ওই মামলায় সরকার পক্ষের দেয়া যুক্তিকে ‘বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আদালত।

সম্প্রতি যুদ্ধ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন নারী কর্মকর্তা। ওই আবেদনের বিরোধিতায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাধারণত গ্রামীণ এলাকা থেকে আসেন। সংস্কারবদ্ধ মানসিকতার কারণে কোন নারী কর্মকর্তাকে মেনে নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বা কোন দুর্গম জায়গায় বদলির সময় যে শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার দরকার, সেটাও নারীদের খুব একটা থাকে না।

এমন আবেদনের জবাবে গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, লিঙ্গের ভিত্তিতে বিবেচনা করা মর্যাদাবোধ এবং দেশের জন্য এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা। সমানাধিকার থেকে শুরু করে যৌক্তিকতা পর্যন্ত নারীরা যে পুরুষের তুলনায় কম নয় তা বিবেচনা করার সময় এসেছে। রায়ে বলা হয়, ‘নারীরা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক এবং চিরাচরিত ধারণাভিত্তিক। নারী সেনা কর্মকর্তারা দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে’।

সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেলেও ভারতীয় নারীরা যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেতেন না। সেনা সার্ভিস কর্পস, অর্ডিন্যান্স, সেনা শিক্ষা ক্ষেত্র, অ্যাডভোকেট জেনারেল, ইঞ্জিনিয়ার, সিগন্যাল, গোয়েন্দা ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পেতেন তারা।

আরও খবর
৯ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষক প্রশিক্ষণ পেলেও প্রশ্ন নোট-গাইড থেকে
খালেদার প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত আদালতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত করতে সহযোগিতা জরুরি
সরকারি চিকিৎসকদের বাইরে প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
কীভাবে মেট্রোরেলে চড়বেন তথ্য দিতে ঢাকায় মকআপ ট্রেন
গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৭
ক্ষণগণনা : আর ২৭ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা
মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণে ক্ষতির কিছু পাওয়া যায়নি বিটিআরসি
ভোলায় বিশ দিনে ৫ ধর্ষণ
কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা দ্বিগুণ
বন নয়, বাঁশ বাগান
বন নয়, বাঁশ বাগান

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১

এখন নারীরাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন সুপ্রিম কোর্ট

সংবাদ ডেস্ক |

এবার পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্ব সংক্রান্ত এক মামলায় গতকাল এ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এনডিটিভি।

এক প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, এদিন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং অজয় রাস্তোগিরের দেয়া এই ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছে, ‘নারীদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাদের অধিকারের সম্পর্ক নেই। প্রয়োজনে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।’ এ সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নারী নেতৃত্ব সংক্রান্ত ওই মামলায় সরকার পক্ষের দেয়া যুক্তিকে ‘বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আদালত।

সম্প্রতি যুদ্ধ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন নারী কর্মকর্তা। ওই আবেদনের বিরোধিতায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাধারণত গ্রামীণ এলাকা থেকে আসেন। সংস্কারবদ্ধ মানসিকতার কারণে কোন নারী কর্মকর্তাকে মেনে নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বা কোন দুর্গম জায়গায় বদলির সময় যে শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার দরকার, সেটাও নারীদের খুব একটা থাকে না।

এমন আবেদনের জবাবে গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, লিঙ্গের ভিত্তিতে বিবেচনা করা মর্যাদাবোধ এবং দেশের জন্য এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা। সমানাধিকার থেকে শুরু করে যৌক্তিকতা পর্যন্ত নারীরা যে পুরুষের তুলনায় কম নয় তা বিবেচনা করার সময় এসেছে। রায়ে বলা হয়, ‘নারীরা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক এবং চিরাচরিত ধারণাভিত্তিক। নারী সেনা কর্মকর্তারা দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে’।

সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেলেও ভারতীয় নারীরা যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেতেন না। সেনা সার্ভিস কর্পস, অর্ডিন্যান্স, সেনা শিক্ষা ক্ষেত্র, অ্যাডভোকেট জেনারেল, ইঞ্জিনিয়ার, সিগন্যাল, গোয়েন্দা ও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পেতেন তারা।