কীভাবে মেট্রোরেলে চড়বেন তথ্য দিতে ঢাকায় মকআপ ট্রেন

মেট্রোরেল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে সাধারণ মানুষের জন্য মার্চে খুলে দেয়া হচ্ছে মেট্রোরেলের নমুনা ট্রেন (মকআপ)। রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ী এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শনীকেন্দ্রে স্থাপন করা হবে ট্র্রেনটি। এর মাধ্যমে মেট্রোরেলের টিকিট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, নামা, ট্রেনের ভেতরে এবং স্টেশনের নির্দেশিকাগুলো কেমন থাকবে-এসব বিষয়ে মানুষকে ধারণা দেয়া হবে। গত রোববার নমুনা ট্রেনটি জাপান থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এই ট্রেনের কোন যাত্রী বহন করা হবে না। চলতি বছরের ১৫ জুন জাপান থেকে ঢাকায় আনা হবে মেট্রোরেলে প্রথম সেট। একটি ট্রেনের ৬টি করে কোচ থাকবে। প্রতি ৪ মিনিট পর পর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। দেশের প্রথম মেট্রোরেল বা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-৬) ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খুলে দেয়া হবে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক সংবাদকে বলেন, মেট্রোরেল সম্পর্কে ঢাকাবাসীকে ধারণা দিতে জাপান থেকে এই নমুনা কোচটি (মকআপ) আনা হয়েছে। রোববার এটি দিয়াবাড়ীতে রাখা হয়েছে। মার্চে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে। এটি যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে মেট্রোরেল ছিল না মানুষকে ধারণা দিতেই এটা আমরা ডিপোতে বসাবো। মেট্রোরেলের এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে এই ‘মকআপ ট্রেন’ রাখা হবে বলে জানা গেছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে তা কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বৃদ্ধি করা হয়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলছে। আর কমলাপুর অংশের ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে। প্রকল্পের আয়তন বৃদ্ধি করা হলেও ব্যয় বৃদ্ধি হবে না। নির্ধারিত ব্যয়ে বর্ধিত অংশের কাজ শেষ করা হবে। বর্তমানে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলর নির্মাণ কাজ চলছে। গত ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে রেলপাত বসানোর কাজ। উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রেলপাত বসানোর কাজ চলছে। এমআরটি-৬ প্রকল্পটি আটটি প্যাকেজে ভাগ করে পরিচালনা করা হচ্ছে। ১ নম্বর প্যাকেজের আওতায় দিয়াবাড়ী এলাকায় ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ করা হচ্ছে প্যাকেজ-২ এর আওতায়। এর মধ্যে ডিপোতে ট্রেন রাখার স্থান, ট্রেন মেরামত ও মালামালের গুদাম, প্রধান ওয়ার্কশপসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) এবং ৯টি স্টেশন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে ৩ ও ৪ প্যাকেজে। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ও তিনটি স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে প্যাকেজ ৫-এর আওতায়। এ অংশের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট। কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৪টি স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে প্যাকেজ ৬-এর আওতায়। এছাড়া মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ পরিচালনা ও যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্যাকেজ ৭-এর আওতায়। রেলের কোচ এবং ডিপোর যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্যাকেজ ৮-এর অধীনে। বর্ধিত অংশসহ দিয়াবাড়ী-কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের পুরো অংশ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর খুলে দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানায়।

image
আরও খবর
৯ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষক প্রশিক্ষণ পেলেও প্রশ্ন নোট-গাইড থেকে
খালেদার প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত আদালতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত করতে সহযোগিতা জরুরি
সরকারি চিকিৎসকদের বাইরে প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
এখন নারীরাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে পারবেন সুপ্রিম কোর্ট
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৭
ক্ষণগণনা : আর ২৭ দিন
আ-মরি বাংলা ভাষা
মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণে ক্ষতির কিছু পাওয়া যায়নি বিটিআরসি
ভোলায় বিশ দিনে ৫ ধর্ষণ
কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বন্দীর সংখ্যা দ্বিগুণ
বন নয়, বাঁশ বাগান
বন নয়, বাঁশ বাগান

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কীভাবে মেট্রোরেলে চড়বেন তথ্য দিতে ঢাকায় মকআপ ট্রেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

মেট্রোরেল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে সাধারণ মানুষের জন্য মার্চে খুলে দেয়া হচ্ছে মেট্রোরেলের নমুনা ট্রেন (মকআপ)। রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ী এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শনীকেন্দ্রে স্থাপন করা হবে ট্র্রেনটি। এর মাধ্যমে মেট্রোরেলের টিকিট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, নামা, ট্রেনের ভেতরে এবং স্টেশনের নির্দেশিকাগুলো কেমন থাকবে-এসব বিষয়ে মানুষকে ধারণা দেয়া হবে। গত রোববার নমুনা ট্রেনটি জাপান থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এই ট্রেনের কোন যাত্রী বহন করা হবে না। চলতি বছরের ১৫ জুন জাপান থেকে ঢাকায় আনা হবে মেট্রোরেলে প্রথম সেট। একটি ট্রেনের ৬টি করে কোচ থাকবে। প্রতি ৪ মিনিট পর পর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। দেশের প্রথম মেট্রোরেল বা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-৬) ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খুলে দেয়া হবে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক সংবাদকে বলেন, মেট্রোরেল সম্পর্কে ঢাকাবাসীকে ধারণা দিতে জাপান থেকে এই নমুনা কোচটি (মকআপ) আনা হয়েছে। রোববার এটি দিয়াবাড়ীতে রাখা হয়েছে। মার্চে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে। এটি যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে মেট্রোরেল ছিল না মানুষকে ধারণা দিতেই এটা আমরা ডিপোতে বসাবো। মেট্রোরেলের এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে এই ‘মকআপ ট্রেন’ রাখা হবে বলে জানা গেছে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে তা কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বৃদ্ধি করা হয়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলছে। আর কমলাপুর অংশের ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে। প্রকল্পের আয়তন বৃদ্ধি করা হলেও ব্যয় বৃদ্ধি হবে না। নির্ধারিত ব্যয়ে বর্ধিত অংশের কাজ শেষ করা হবে। বর্তমানে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলর নির্মাণ কাজ চলছে। গত ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে রেলপাত বসানোর কাজ। উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রেলপাত বসানোর কাজ চলছে। এমআরটি-৬ প্রকল্পটি আটটি প্যাকেজে ভাগ করে পরিচালনা করা হচ্ছে। ১ নম্বর প্যাকেজের আওতায় দিয়াবাড়ী এলাকায় ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ করা হচ্ছে প্যাকেজ-২ এর আওতায়। এর মধ্যে ডিপোতে ট্রেন রাখার স্থান, ট্রেন মেরামত ও মালামালের গুদাম, প্রধান ওয়ার্কশপসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) এবং ৯টি স্টেশন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে ৩ ও ৪ প্যাকেজে। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ও তিনটি স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে প্যাকেজ ৫-এর আওতায়। এ অংশের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট। কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৪টি স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে প্যাকেজ ৬-এর আওতায়। এছাড়া মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ পরিচালনা ও যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্যাকেজ ৭-এর আওতায়। রেলের কোচ এবং ডিপোর যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্যাকেজ ৮-এর অধীনে। বর্ধিত অংশসহ দিয়াবাড়ী-কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের পুরো অংশ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর খুলে দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানায়।