ক্যামেরুনের গ্রামে হামলা ১৪ শিশুসহ নিহত ২২

মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামে অজ্ঞাতগোষ্ঠীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবারের এ হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি (১৪টি ) শিশু। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে জীবিত পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে জানিয়েছে জতিসংঘ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বিবিসি।

সংবাদ মাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরে স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ক্যামেরুন সরকার। তবে সাম্প্রতিক এই হামলা প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেনি তারাও।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার সমন্বয়ক সংস্থার কর্মকর্তা জেমস নুয়ান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছে। তিনি জানান, নিহত ১৪ শিশুর মধ্যে নয় জনেরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে। তিনি বলেন, ‘যে গোষ্ঠীই এই হামলা চালাক না কেন বোঝাই যাচ্ছে সামনে আরও হামলার হুমকি আছে। আমরা যেসব মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সবাই মানসিক আঘাত পেয়েছেন। এবং তারা এই ধরনের ঘটনার আশা করেননি’।

ক্যামেরুনের অন্যতম বিরোধীদল মুভমেন্ট ফির দ্য রিবার্থ অব ক্যামেরুনের এক বিবৃতিতে ওই হামলার জন্য ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসক’ ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে দায়ী করেছেন। স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ আগবর মাবাল্লাও হামলার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দায়ী করেছেন। তবে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যামেরুনের এক সেনা কর্মকর্তা।

ক্যামেরুনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলন মূলত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের সূত্র ধরে এই অঞ্চলের মানুষ মূলত ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। ওই অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার জেরে ২০১৭ সাল থেকে সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। স্বাধীনতাকামীরা আম্বাজোনিয়া নামে একটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বিয়া তাদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন।

সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলন শুরুর পর ওই অঞ্চলে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে আর ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার বলছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং শত শত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। সংঘাতের সময়ে ক্যামেরুন সরকার মানবাধিকার লংঘন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ক্যামেরুনের গ্রামে হামলা ১৪ শিশুসহ নিহত ২২

সংবাদ ডেস্ক |

image

মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামে অজ্ঞাতগোষ্ঠীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবারের এ হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি (১৪টি ) শিশু। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে জীবিত পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে জানিয়েছে জতিসংঘ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বিবিসি।

সংবাদ মাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরে স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ক্যামেরুন সরকার। তবে সাম্প্রতিক এই হামলা প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেনি তারাও।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার সমন্বয়ক সংস্থার কর্মকর্তা জেমস নুয়ান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছে। তিনি জানান, নিহত ১৪ শিশুর মধ্যে নয় জনেরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে। তিনি বলেন, ‘যে গোষ্ঠীই এই হামলা চালাক না কেন বোঝাই যাচ্ছে সামনে আরও হামলার হুমকি আছে। আমরা যেসব মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সবাই মানসিক আঘাত পেয়েছেন। এবং তারা এই ধরনের ঘটনার আশা করেননি’।

ক্যামেরুনের অন্যতম বিরোধীদল মুভমেন্ট ফির দ্য রিবার্থ অব ক্যামেরুনের এক বিবৃতিতে ওই হামলার জন্য ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসক’ ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে দায়ী করেছেন। স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ আগবর মাবাল্লাও হামলার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দায়ী করেছেন। তবে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যামেরুনের এক সেনা কর্মকর্তা।

ক্যামেরুনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলন মূলত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের সূত্র ধরে এই অঞ্চলের মানুষ মূলত ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। ওই অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার জেরে ২০১৭ সাল থেকে সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। স্বাধীনতাকামীরা আম্বাজোনিয়া নামে একটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বিয়া তাদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন।

সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলন শুরুর পর ওই অঞ্চলে প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে আর ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার বলছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং শত শত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। সংঘাতের সময়ে ক্যামেরুন সরকার মানবাধিকার লংঘন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।