বড় পরিসরে বন্দী বিনিময়ে সম্মত ইয়েমেনে যুদ্ধরত দুই পক্ষ

ইয়েমেনে যুদ্ধরত দুই পক্ষ বড় পরিসরে বন্দী বিনিময় করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে দেশটির হাউথি বিদ্রোহী ও ইয়েমেন সরকারের মধ্যে সাত দিনব্যাপী বৈঠকের পর গত রোববার এই বন্দী বিনিময়ের ঘোষণা দেয়া হয়। ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শীঘ্রই বন্দীদের তালিকা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। ওয়াশিংটন টাইমস।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রায় ছয় বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে সম্প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেশটির উত্তরাঞ্চলে সৌদি আরবের একটি টর্নেডো বিমান ভূপাতিত হয়। বিমানটি ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করে হাউথি বিদ্রোহীরা। এর জবাবে ইয়েমেন সরকারকে সমর্থন দেয়া সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় দেশটির ৩১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সহিংসতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সংকট সমাধানে আলোচনা অব্যাহত রাখে দুই পক্ষ।

গত রোববার ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত মার্টিন গ্রিফিথ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ পক্ষগুলো আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে মাঠ পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ বাড়তে থাকলেও তাদের ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনার আত্মবিশ্বাস রয়েছে’। তবে কতজন বন্দী বিনিময় করা হবে সেই বিষয়ে কিছু জানাননি জাতিসংঘ দূত। তবে বন্দী সংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল করা হাউথি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল মুর্তজা এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে দুই পক্ষ ১৪শ’রও বেশি বন্দী বিনিময় করবে। তালিকা চূড়ান্ত করতে আরও দুই দিন আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হাউথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হাউথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হাউথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। তারপর থেকে এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে পুরো ইয়েমেন।

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বড় পরিসরে বন্দী বিনিময়ে সম্মত ইয়েমেনে যুদ্ধরত দুই পক্ষ

ইয়েমেনে যুদ্ধরত দুই পক্ষ বড় পরিসরে বন্দী বিনিময় করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে দেশটির হাউথি বিদ্রোহী ও ইয়েমেন সরকারের মধ্যে সাত দিনব্যাপী বৈঠকের পর গত রোববার এই বন্দী বিনিময়ের ঘোষণা দেয়া হয়। ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শীঘ্রই বন্দীদের তালিকা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। ওয়াশিংটন টাইমস।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রায় ছয় বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে সম্প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেশটির উত্তরাঞ্চলে সৌদি আরবের একটি টর্নেডো বিমান ভূপাতিত হয়। বিমানটি ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করে হাউথি বিদ্রোহীরা। এর জবাবে ইয়েমেন সরকারকে সমর্থন দেয়া সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় দেশটির ৩১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সহিংসতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সংকট সমাধানে আলোচনা অব্যাহত রাখে দুই পক্ষ।

গত রোববার ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত মার্টিন গ্রিফিথ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ পক্ষগুলো আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে মাঠ পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ বাড়তে থাকলেও তাদের ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনার আত্মবিশ্বাস রয়েছে’। তবে কতজন বন্দী বিনিময় করা হবে সেই বিষয়ে কিছু জানাননি জাতিসংঘ দূত। তবে বন্দী সংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল করা হাউথি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল মুর্তজা এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে দুই পক্ষ ১৪শ’রও বেশি বন্দী বিনিময় করবে। তালিকা চূড়ান্ত করতে আরও দুই দিন আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হাউথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হাউথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হাউথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। তারপর থেকে এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে পুরো ইয়েমেন।