কাশ্মীর ইস্যু

মধ্যস্থতার প্রস্তাব জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তবে জাতিসংঘের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। আল-জাজিরা।

সংবাদ মাধ্যমটির গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিনের সফরে বর্তমানে ইসলামাবাদে অবস্থান করেছন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কোরেশির সঙ্গে ইসলামাবাদে সাক্ষাতের পর গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে করেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দু’দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় সাত দশক ধরে চলমান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। এ সময় বিতর্কিত এ বিষয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে মহাসচিব গুতেরেস এ অঞ্চলের অসন্তোষ নিরসনে ভারতকে ‘মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার’ প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুতেরেসের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি

পাশাপাশি সামরিক পদক্ষেপ ও বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা প্রশমনেরও আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি। একইদিন (রোববার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলানোর পরিবর্তে পাকিস্তান বেআইনিভাবে ভারতের যে অঞ্চল দখল করে রেখেছে, তা মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছে। এর পর যদি কোন বিষয় থাকে, সেটি দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এখানে তৃতীয় কোন পক্ষের মধ্যস্থতা করার কোন সুযোগ নেই বলে মনে করে ভারতের মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার। তিনি আরও বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ অবসানে বিশ্বাসযোগ্য, টেকসই এবং অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের আবশ্যিক ভূমিকার ওপর জাতিসংঘ মহাসচিব জোর দেবেন বলে আশা করে নয়াদিল্লি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার। এ ঘটনায় পাকিস্তান সর্বোচ্চ প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তুললেও তা পাকিস্তান ও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মতামত দিয়েছিল জাতিসংঘ। উভয়দেশকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে কাশ্মীরের যৌক্তিক সমাধান খোঁজারও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোও কাশ্মীর বিষয়কে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে সম্মতি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কাশ্মীর ইস্যু

মধ্যস্থতার প্রস্তাব জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের

সংবাদ ডেস্ক |

image

রোববার ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস ও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কোরেশি -আল জাজিরা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তবে জাতিসংঘের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। আল-জাজিরা।

সংবাদ মাধ্যমটির গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিনের সফরে বর্তমানে ইসলামাবাদে অবস্থান করেছন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কোরেশির সঙ্গে ইসলামাবাদে সাক্ষাতের পর গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে করেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দু’দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় সাত দশক ধরে চলমান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। এ সময় বিতর্কিত এ বিষয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে মহাসচিব গুতেরেস এ অঞ্চলের অসন্তোষ নিরসনে ভারতকে ‘মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার’ প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুতেরেসের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি

পাশাপাশি সামরিক পদক্ষেপ ও বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা প্রশমনেরও আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি। একইদিন (রোববার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলানোর পরিবর্তে পাকিস্তান বেআইনিভাবে ভারতের যে অঞ্চল দখল করে রেখেছে, তা মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছে। এর পর যদি কোন বিষয় থাকে, সেটি দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এখানে তৃতীয় কোন পক্ষের মধ্যস্থতা করার কোন সুযোগ নেই বলে মনে করে ভারতের মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার। তিনি আরও বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ অবসানে বিশ্বাসযোগ্য, টেকসই এবং অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের আবশ্যিক ভূমিকার ওপর জাতিসংঘ মহাসচিব জোর দেবেন বলে আশা করে নয়াদিল্লি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার। এ ঘটনায় পাকিস্তান সর্বোচ্চ প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তুললেও তা পাকিস্তান ও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মতামত দিয়েছিল জাতিসংঘ। উভয়দেশকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে কাশ্মীরের যৌক্তিক সমাধান খোঁজারও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোও কাশ্মীর বিষয়কে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে সম্মতি জানিয়েছে।