ছুটি কাটাতে যাওয়া

বাংলাদেশে কর্মরত চীনা নাগরিকদের ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে চীনা রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশে কাজ করা চীনা আট হাজার নাগরিকের মধ্যে এক হাজার ছুটি কাটাতে দেশে (চীন) গেছেন। আপাতত তাদের ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের ফেরত না আসার কারণে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হতে পারে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’-এ তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ডিক্যাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মোট ১০ হাজারের মতো চীনা নাগরিক আছেন। এরমধ্যে প্রায় আট হাজারের মতো বিভিন্ন প্রকল্পে জড়িত। এই আট হাজার চীনা নাগরিকের মধ্যে এক হাজার চীনে ফেরত গেছেন। তাদেরকে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এই এক হাজার লোক বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের ফেরত না আসার কারণে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হতে পারে।

উহানে অবস্থান করা ১৭১ জন বাংলাদেশির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এদের ফিরে আসার বিষয়ে চীনের অনুমোদন তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু কয়েকটি টেকনিক্যাল কারণে তাদের দেশে আসা পিছিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ৩১২ জনকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে আনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ বিমান তাদের ফ্লাইট আর চীনে পাঠাতে চাচ্ছে না। আমরা এখন বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদেরকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীনা দূতাবাসের একজন কর্মী ১৪ দিন আগে ঢাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে আলাদা করে ফেলি। ওই কর্মকর্তা গত রোববার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশিদের (যারা বিদেশ থেকে ঢাকায় আসেন) সবার ক্ষেত্রে এটা করা হয় না। এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

চীনে বর্তমানে কী পরিমাণ বাংলাদেশি রয়েছে, জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার জানা মতে, শুধুমাত্র কুনমিংয়ে ২০ হাজারের মতো বাংলাদেশি আছেন। এছাড়া বেইজিংসহ অন্য জায়গায়ও আরও বাংলাদেশি রয়েছেন।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার বিরোধ অনেকটা স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মতো। আর কোন দম্পতি যদি তৃতীয় পক্ষের কাছে যান, তাহলে তাদের সমস্যার সমাধান হয় না। চীন মায়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ এবং বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়। মায়ানমার ও বাংলাদেশ উভয়ই চীনের ভালো বন্ধু। পশ্চিমাদের চাপের পরিবর্তে দু’দেশের মধ্যে আরও আলোচনা চায় চীন। মায়ানমার বহু বছর ধরে পশ্চিমাদের চাপে ছিল। তারা এখন আর এসব চাপ নিতে চায় না।

image

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় -সংবাদ

আরও খবর
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউশন আইন অনুমোদন
নজরদারিতে নজর নেই
নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে
দক্ষ কর্মী নিতে চায় কাতার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে ৩ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ
‘অদৃশ্য কারণে পাচার করা টাকা ফেরতের উদ্যোগ থেমে গেছে’
আইনি সেবা নিতে আসা নাগরিকদের সহযোগিতা করতে হবে
ছন্দ-কবিতা, গল্পে বইমেলা মাতাচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
রাজধানীতে ভাষা সংগ্রামীদের মিলনমেলা
জীবনানন্দ দাশ বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ
রেললাইনে দুই যুবকের লাশ
দিনে গার্মেন্ট কর্মী রাতে খুনি
খালেদার স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ মুক্তি দিন রিজভী

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৫ ফল্গুন ১৪২৬, ২৩ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ছুটি কাটাতে যাওয়া

বাংলাদেশে কর্মরত চীনা নাগরিকদের ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে চীনা রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় -সংবাদ

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশে কাজ করা চীনা আট হাজার নাগরিকের মধ্যে এক হাজার ছুটি কাটাতে দেশে (চীন) গেছেন। আপাতত তাদের ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের ফেরত না আসার কারণে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হতে পারে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’-এ তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ডিক্যাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মোট ১০ হাজারের মতো চীনা নাগরিক আছেন। এরমধ্যে প্রায় আট হাজারের মতো বিভিন্ন প্রকল্পে জড়িত। এই আট হাজার চীনা নাগরিকের মধ্যে এক হাজার চীনে ফেরত গেছেন। তাদেরকে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এই এক হাজার লোক বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের ফেরত না আসার কারণে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হতে পারে।

উহানে অবস্থান করা ১৭১ জন বাংলাদেশির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এদের ফিরে আসার বিষয়ে চীনের অনুমোদন তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু কয়েকটি টেকনিক্যাল কারণে তাদের দেশে আসা পিছিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ৩১২ জনকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে আনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ বিমান তাদের ফ্লাইট আর চীনে পাঠাতে চাচ্ছে না। আমরা এখন বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদেরকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীনা দূতাবাসের একজন কর্মী ১৪ দিন আগে ঢাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে আলাদা করে ফেলি। ওই কর্মকর্তা গত রোববার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশিদের (যারা বিদেশ থেকে ঢাকায় আসেন) সবার ক্ষেত্রে এটা করা হয় না। এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

চীনে বর্তমানে কী পরিমাণ বাংলাদেশি রয়েছে, জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার জানা মতে, শুধুমাত্র কুনমিংয়ে ২০ হাজারের মতো বাংলাদেশি আছেন। এছাড়া বেইজিংসহ অন্য জায়গায়ও আরও বাংলাদেশি রয়েছেন।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যকার বিরোধ অনেকটা স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মতো। আর কোন দম্পতি যদি তৃতীয় পক্ষের কাছে যান, তাহলে তাদের সমস্যার সমাধান হয় না। চীন মায়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ এবং বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়। মায়ানমার ও বাংলাদেশ উভয়ই চীনের ভালো বন্ধু। পশ্চিমাদের চাপের পরিবর্তে দু’দেশের মধ্যে আরও আলোচনা চায় চীন। মায়ানমার বহু বছর ধরে পশ্চিমাদের চাপে ছিল। তারা এখন আর এসব চাপ নিতে চায় না।