সরকার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়তে ত্রিদেশীয় আইনি ম্যানুয়াল

সরকার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়তে লিগ্যাল ম্যানুয়াল তৈরি করল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ। ‘বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর জন্য আইনি ম্যানুয়াল’ নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে আরও কার্যকর এবং নিরাপদে কার্যক্রম চালাতে সক্ষম করবে। গতকাল ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তরের (ডিএফআইডি) গভর্নেন্স বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অ্যাশলিন বেকার এবং বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যৌথভাবে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর জন্য নতুন একটি আইনি ম্যানুয়াল উন্মোচন করেন। বাংলাদেশি সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোকে আরও কার্যকরভাবে এবং নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করাই এ ম্যানুয়াল প্রকাশের উদ্দেশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং যুক্তরাজ্যের ডিএফআইডি যৌথভাবে ম্যানুয়ালটি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা নিয়ে এটি তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট-ফর-প্রফিট’ নামে একটি অলাভজনক সংগঠন। ম্যানুয়ালটি স্থানীয় নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশে আইনি মর্যাদা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবে, যা তাদের এদেশের আইনগত ক্ষেত্রের পথ নকশা হিসেবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার সবার জন্য নাগরিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সুশীল সমাজ কিভাবে সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগের সেতুবন্ধ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি সুশীল সমাজকে শক্তিশালী করতে এবং নাগরিকের প্রতি সংবেদনশীল শাসনব্যবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেন যা এই ম্যানুয়াল তৈরির অর্থায়নের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও ম্যানুয়ালটির গুরুত্ব এবং সুশীল সমাজও সরকারের মধ্যে সহযোগিতাকে এগিয়ে নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশকে ৭শ’ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের সম্প্রসারণ, সাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে এগিয়ে নেয়া এবং পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে ২০১৯ সালে ইউএসএআইডি ২০ কোটি ডলারের বেশি সরবরাহ করে।

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৬ ফল্গুন ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সরকার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়তে ত্রিদেশীয় আইনি ম্যানুয়াল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সরকার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়তে লিগ্যাল ম্যানুয়াল তৈরি করল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ। ‘বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর জন্য আইনি ম্যানুয়াল’ নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে আরও কার্যকর এবং নিরাপদে কার্যক্রম চালাতে সক্ষম করবে। গতকাল ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তরের (ডিএফআইডি) গভর্নেন্স বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অ্যাশলিন বেকার এবং বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যৌথভাবে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর জন্য নতুন একটি আইনি ম্যানুয়াল উন্মোচন করেন। বাংলাদেশি সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোকে আরও কার্যকরভাবে এবং নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করাই এ ম্যানুয়াল প্রকাশের উদ্দেশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং যুক্তরাজ্যের ডিএফআইডি যৌথভাবে ম্যানুয়ালটি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা নিয়ে এটি তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট-ফর-প্রফিট’ নামে একটি অলাভজনক সংগঠন। ম্যানুয়ালটি স্থানীয় নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশে আইনি মর্যাদা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবে, যা তাদের এদেশের আইনগত ক্ষেত্রের পথ নকশা হিসেবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার সবার জন্য নাগরিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সুশীল সমাজ কিভাবে সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগের সেতুবন্ধ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি সুশীল সমাজকে শক্তিশালী করতে এবং নাগরিকের প্রতি সংবেদনশীল শাসনব্যবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেন যা এই ম্যানুয়াল তৈরির অর্থায়নের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও ম্যানুয়ালটির গুরুত্ব এবং সুশীল সমাজও সরকারের মধ্যে সহযোগিতাকে এগিয়ে নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি-এর মাধ্যমে ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশকে ৭শ’ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের সম্প্রসারণ, সাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে এগিয়ে নেয়া এবং পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে ২০১৯ সালে ইউএসএআইডি ২০ কোটি ডলারের বেশি সরবরাহ করে।