ঢাবির জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে চলছে যৌথ চিত্র প্রদশর্নী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে ৭ দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী ‘ইমপ্রেশন অব নেচার চলছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রতিবাদে প্রকৃতিকে উপজীব্য করে ২১ চিত্রশিল্পীর অংশগ্রহণে এই প্রদর্শনীর আয়োজক আউটডোর কমিউনিটি। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এই প্রদর্শনীটি কালো ক্যানভাসে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন ম্যাগনাম ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিনেব জীনাত লতিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল রিসার্চার মিস. তাসলিমা ইয়াসমিন এবং গ্রিন সেভারসের প্রতিষ্ঠাতা ও নগর কৃষক আহসান রনি। ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট, ছাত্রছাত্রীদের আর্ট গ্রুপ আউটডোর কমিউনিটির পক্ষ থেকে চিত্রশিল্পী তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা বলেন, আমরা আমাদের ধ্বংস নিজেরাই ডেকে আনছি। প্রকৃতি হারাচ্ছে তার রং, রূপবৈচিত্র। এখন বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা কি রেখে যাচ্ছি? সবাইকে প্রকৃতি নিয়ে একটু ভাবা দরকার। প্রকৃতি আমাদের বাঁচতে দিচ্ছে। আমরা প্রকৃতিকে কি দিচ্ছি? একটু সচেতনতার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।

ম্যাগনাম ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিনেব জীনাত লতিফ বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি। কিন্তু এই প্রকৃতিই ছিল আমাদের প্রকৃত ক্যানভাস। পরিবেশ দূষণের তীব্রতা এতই বেড়ে গেছে যে, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকছে না। পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদ হিসেবে এই প্রদর্শনী যথার্থ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল রিসার্চার মিস. তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের সবারই সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। প্রকৃতি নিয়ে যেমন আমরা ভাবছি। তেমনি নারীর ক্ষমতায়ন, বৈষম্যসহ নানান সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। প্রকৃতি নিয়ে এমন এই বিষন্নতার গল্প আজ উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছর পর আমরা প্রকৃতির রং নিয়ে গল্প শুনবো। এখনও আশা হারিয়ে যায়নি।

গ্রিন সেভারসের ফাউন্ডার ও নগর কৃষক আহসান রনি বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র পরিবেশকর্মী হিসেবে বুঝি ঢাকা শহরে অনেক গাছের পরিচিতি আছে। সেগুনবাগিচা, তালতলা, কাঁটাবন, গাবতলীসহ আরও অনেক জায়গার নামকরণ গাছের নামে। কোন না কোন এক সময় এগুলো সেখানে ছিল। আমরা এগুলো মেরে ফেলেছি। ঢাকা শহরেও বিভিন্ন সময়ে বৃক্ষরোপণ হয় কিন্তু সেগুলো লালন হয় না। গাছ আমাদের গরম বাতাস নিয়ে আর ঠা-া বাতাস দিতে পারছে না। আমার আহ্বান আসুন আমরা সবাই সবুজ মনস্ক হই।

‘ইমপ্রেশন অব নেচার’ যৌথ প্রদর্শনীর ২১ জন শিল্পী হচ্ছেন আজমল হোসেন, দীপ্র বণিক, হেলাল শাহ, খাদিজাতুন নোমানী, খিং সাই মারমা, লিজা শরিফা, মধুবন্তী রায়া, মানিক বণিক, মারজান কবির, মহসিন কবির হিমালয়, মৃণাল বণিক, নুসরাত জাহান তিতলী, প্রীতম মজুমদার, প্রদীপ সাহা, রাজিব মাহবুব, শক্তিমোহিত সুবীর, সীমা মন্ডল , সাজিয়া রহমান সন্ধ্যা, শক্তি নোমান, তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা, তারিকুল ইসলাম হিরক।

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৬ ফল্গুন ১৪২৬, ২৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ঢাবির জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে চলছে যৌথ চিত্র প্রদশর্নী

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে ৭ দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী ‘ইমপ্রেশন অব নেচার চলছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রতিবাদে প্রকৃতিকে উপজীব্য করে ২১ চিত্রশিল্পীর অংশগ্রহণে এই প্রদর্শনীর আয়োজক আউটডোর কমিউনিটি। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এই প্রদর্শনীটি কালো ক্যানভাসে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন ম্যাগনাম ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিনেব জীনাত লতিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল রিসার্চার মিস. তাসলিমা ইয়াসমিন এবং গ্রিন সেভারসের প্রতিষ্ঠাতা ও নগর কৃষক আহসান রনি। ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট, ছাত্রছাত্রীদের আর্ট গ্রুপ আউটডোর কমিউনিটির পক্ষ থেকে চিত্রশিল্পী তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা বলেন, আমরা আমাদের ধ্বংস নিজেরাই ডেকে আনছি। প্রকৃতি হারাচ্ছে তার রং, রূপবৈচিত্র। এখন বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা কি রেখে যাচ্ছি? সবাইকে প্রকৃতি নিয়ে একটু ভাবা দরকার। প্রকৃতি আমাদের বাঁচতে দিচ্ছে। আমরা প্রকৃতিকে কি দিচ্ছি? একটু সচেতনতার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।

ম্যাগনাম ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিনেব জীনাত লতিফ বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি। কিন্তু এই প্রকৃতিই ছিল আমাদের প্রকৃত ক্যানভাস। পরিবেশ দূষণের তীব্রতা এতই বেড়ে গেছে যে, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকছে না। পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদ হিসেবে এই প্রদর্শনী যথার্থ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল রিসার্চার মিস. তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের সবারই সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। প্রকৃতি নিয়ে যেমন আমরা ভাবছি। তেমনি নারীর ক্ষমতায়ন, বৈষম্যসহ নানান সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। প্রকৃতি নিয়ে এমন এই বিষন্নতার গল্প আজ উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছর পর আমরা প্রকৃতির রং নিয়ে গল্প শুনবো। এখনও আশা হারিয়ে যায়নি।

গ্রিন সেভারসের ফাউন্ডার ও নগর কৃষক আহসান রনি বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র পরিবেশকর্মী হিসেবে বুঝি ঢাকা শহরে অনেক গাছের পরিচিতি আছে। সেগুনবাগিচা, তালতলা, কাঁটাবন, গাবতলীসহ আরও অনেক জায়গার নামকরণ গাছের নামে। কোন না কোন এক সময় এগুলো সেখানে ছিল। আমরা এগুলো মেরে ফেলেছি। ঢাকা শহরেও বিভিন্ন সময়ে বৃক্ষরোপণ হয় কিন্তু সেগুলো লালন হয় না। গাছ আমাদের গরম বাতাস নিয়ে আর ঠা-া বাতাস দিতে পারছে না। আমার আহ্বান আসুন আমরা সবাই সবুজ মনস্ক হই।

‘ইমপ্রেশন অব নেচার’ যৌথ প্রদর্শনীর ২১ জন শিল্পী হচ্ছেন আজমল হোসেন, দীপ্র বণিক, হেলাল শাহ, খাদিজাতুন নোমানী, খিং সাই মারমা, লিজা শরিফা, মধুবন্তী রায়া, মানিক বণিক, মারজান কবির, মহসিন কবির হিমালয়, মৃণাল বণিক, নুসরাত জাহান তিতলী, প্রীতম মজুমদার, প্রদীপ সাহা, রাজিব মাহবুব, শক্তিমোহিত সুবীর, সীমা মন্ডল , সাজিয়া রহমান সন্ধ্যা, শক্তি নোমান, তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা, তারিকুল ইসলাম হিরক।