জলবায়ু ফান্ডে বেজোসের হাজার কোটি ডলারের অনুদান

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এক হাজার কোটি ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫ হাজার ১১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সোমবার ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে এ অনুদানের ঘোষণা দেন বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ তহবিলের নাম দেয়া হয়েছে ‘বেজোস আর্থ ফান্ড’। জেফ বেজোস জানান, এ তহবিল থেকে আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম থেকেই অনুদান দেয়া শুরু হবে। এর আগেও অনেক ধনকুবের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করতে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, মিডিয়া উদ্যোক্তা ও নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ডের টম স্টেয়ার প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।

জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি করেন সাড়ে সাত লাখ মানুষ, যা ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন ই-কমার্স সাইটটি থেকে কেনা যায় না; এমন পণ্যের সংখ্যা বিরল। দুনিয়ার যে কোনও প্রান্ত থেকে পোষা বিড়ালের খাবার থেকে শুরু করে দামি ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে স্ট্রিমিং টিভি, এমনকি নিজস্ব অ্যারোস্পেস কোম্পানি।

ই-কমার্স কিং

১৯৯৫ সালে অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন চালু করেন জেফ বেজোস। মাত্র এক মাসের মধ্যেই তার ব্যবসা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এক মাসের মধ্যেই অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ৪৫টি দেশে অর্ডার পাঠায়। পাঁচ বছর পর তাদের ক্রেতার সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার থেকে বেড়ে এক কোটি ৭০ লাখে পৌঁছায়। শুরুর দিকে বিক্রি ছিল ৫ লাখ ১১ হাজার ডলার। পাঁচ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ডলার। বড় বড় কোম্পানি অ্যামাজনের দরজায় ছুটে আসতে শুরু করে।

১৯৯৭ সালে অ্যামাজন পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হলো। অর্থ উঠল ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বয়স ৩৫ হবার আগেই জেফ বেজোস হয়ে গেলেন পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে ‘কিং অব সাইবার-কমার্স’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

জলবায়ু ফান্ডে বেজোসের হাজার কোটি ডলারের অনুদান

সংবাদ ডেস্ক |

image

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এক হাজার কোটি ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫ হাজার ১১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সোমবার ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে এ অনুদানের ঘোষণা দেন বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ তহবিলের নাম দেয়া হয়েছে ‘বেজোস আর্থ ফান্ড’। জেফ বেজোস জানান, এ তহবিল থেকে আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম থেকেই অনুদান দেয়া শুরু হবে। এর আগেও অনেক ধনকুবের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করতে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, মিডিয়া উদ্যোক্তা ও নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ডের টম স্টেয়ার প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।

জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি করেন সাড়ে সাত লাখ মানুষ, যা ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন ই-কমার্স সাইটটি থেকে কেনা যায় না; এমন পণ্যের সংখ্যা বিরল। দুনিয়ার যে কোনও প্রান্ত থেকে পোষা বিড়ালের খাবার থেকে শুরু করে দামি ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে স্ট্রিমিং টিভি, এমনকি নিজস্ব অ্যারোস্পেস কোম্পানি।

ই-কমার্স কিং

১৯৯৫ সালে অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন চালু করেন জেফ বেজোস। মাত্র এক মাসের মধ্যেই তার ব্যবসা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এক মাসের মধ্যেই অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ৪৫টি দেশে অর্ডার পাঠায়। পাঁচ বছর পর তাদের ক্রেতার সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার থেকে বেড়ে এক কোটি ৭০ লাখে পৌঁছায়। শুরুর দিকে বিক্রি ছিল ৫ লাখ ১১ হাজার ডলার। পাঁচ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ডলার। বড় বড় কোম্পানি অ্যামাজনের দরজায় ছুটে আসতে শুরু করে।

১৯৯৭ সালে অ্যামাজন পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হলো। অর্থ উঠল ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বয়স ৩৫ হবার আগেই জেফ বেজোস হয়ে গেলেন পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে ‘কিং অব সাইবার-কমার্স’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।