নভেল করোনাভাইরাস

চীনে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়াল

চীনে আরও ১৩৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে নতুন রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে আসায় ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আসার আশা দেখছেন দেশটির চিকিৎসকরা। প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মঙ্গলবারই প্রথম নতুন রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চীনের মূল ভূখণ্ডে আরও ১ হাজার ৭৪৯ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১৮৫ জনে। আর অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার চীনে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে নতুন এ করোনাভাইরাসে, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ১৩২ জন। তাতে চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০৪ জনে। সব মিলিয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২০১০ জনে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উহানসহ কয়েকটি শহর গত জানুয়ারি থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুতে পুরো হুবেই প্রদেশে যানবাহন চলাচলের ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া অন্য কোন ধরনের যানবাহন বের না করতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কলকারাখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। চীনা চিকিৎসকরা বলছেন, এই কড়াকড়ির ফলেই কমে আসছে নতুন সংক্রমণ। হুবেইয়ের বাইরে অন্য এলাকাগুলোতে নতুন রোগীর সংখ্যা গত ১৫ দিন ধরেই কমছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সে বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা ঠিক হবে না।

সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য নতুন এ করোনাভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আর এর সংক্রমণে ফ্লুর মত উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯।মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়।

নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

নভেল করোনাভাইরাস

চীনে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়াল

সংবাদ ডেস্ক |

image

শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও করোনা থেকে বাঁচতে সন্তানকে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন এক দম্পতি -সিএনএন

চীনে আরও ১৩৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে নতুন রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে আসায় ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আসার আশা দেখছেন দেশটির চিকিৎসকরা। প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মঙ্গলবারই প্রথম নতুন রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চীনের মূল ভূখণ্ডে আরও ১ হাজার ৭৪৯ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১৮৫ জনে। আর অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার চীনে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে নতুন এ করোনাভাইরাসে, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ১৩২ জন। তাতে চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০৪ জনে। সব মিলিয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২০১০ জনে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উহানসহ কয়েকটি শহর গত জানুয়ারি থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুতে পুরো হুবেই প্রদেশে যানবাহন চলাচলের ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া অন্য কোন ধরনের যানবাহন বের না করতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কলকারাখানা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। চীনা চিকিৎসকরা বলছেন, এই কড়াকড়ির ফলেই কমে আসছে নতুন সংক্রমণ। হুবেইয়ের বাইরে অন্য এলাকাগুলোতে নতুন রোগীর সংখ্যা গত ১৫ দিন ধরেই কমছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সে বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা ঠিক হবে না।

সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য নতুন এ করোনাভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আর এর সংক্রমণে ফ্লুর মত উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯।মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়।

নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।