পাকিস্তানের করাচিতে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ১৪ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচির একটি আবাসিক এলাকায় অজ্ঞাত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় তিন দিনে অনন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শহরটির চার শতাধিকেরও বেশি মানুষ। অসুস্থদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এদিকে, ওই বিষাক্ত গ্যাসের উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ডন।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। সেখানে হয়তো গ্যাসের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তবে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস পাকিস্তান সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, বাতাসের মাত্রাতিরিক্ত সয়াবিন ডাস্টের উপস্থিতি শ্বাসকষ্টের একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রোববার থেকে শহরের কামারি এলাকার বাসিন্দারা গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হতে শুরু করেন। তাদের সবাই শ্বাসকষ্টে, নাক-চোখ ও গলা জ্বলার মতো সমস্যা হওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে করাচির পুলিশ প্রধান আদিল মালিক বলেছেন, এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, সে বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

এদিকে প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ নাসির হুসাইন শাহ মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গ্যাসের উৎস নিয়ে কয়েক রকম ধারণা নিয়ে তারা কাজ করছেন ফলে এ বিষয়ে একটি তদন্তও শুরু করেন তারা। তবে ওই গ্যাসের ধরন ও বৈশিষ্ট সম্পর্কে এখনও তেমন তথ্য তারা জানাতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

পাকিস্তানের করাচিতে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ১৪ জনের মৃত্যু

সংবাদ ডেস্ক |

পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচির একটি আবাসিক এলাকায় অজ্ঞাত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় তিন দিনে অনন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শহরটির চার শতাধিকেরও বেশি মানুষ। অসুস্থদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এদিকে, ওই বিষাক্ত গ্যাসের উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ডন।

সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। সেখানে হয়তো গ্যাসের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তবে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস পাকিস্তান সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, বাতাসের মাত্রাতিরিক্ত সয়াবিন ডাস্টের উপস্থিতি শ্বাসকষ্টের একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রোববার থেকে শহরের কামারি এলাকার বাসিন্দারা গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হতে শুরু করেন। তাদের সবাই শ্বাসকষ্টে, নাক-চোখ ও গলা জ্বলার মতো সমস্যা হওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে করাচির পুলিশ প্রধান আদিল মালিক বলেছেন, এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, সে বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

এদিকে প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ নাসির হুসাইন শাহ মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গ্যাসের উৎস নিয়ে কয়েক রকম ধারণা নিয়ে তারা কাজ করছেন ফলে এ বিষয়ে একটি তদন্তও শুরু করেন তারা। তবে ওই গ্যাসের ধরন ও বৈশিষ্ট সম্পর্কে এখনও তেমন তথ্য তারা জানাতে পারেননি।